বুলবুলি গান গায় বকুলেরও ডালে
ভ্রাম্যমাণ ভ্রমর বসে গন্ধরাজগালে —
এই লাইনদুইটা ঘাঁই দিয়া উঠল আৎখা
মাঝরাত্তিরের একটু আগে, সাঁঝমায়া ফুরাইবার বহুক্ষণ পরে
কেন যে, কে জানে, এখনও সঞ্জীবসুরগুলো ভোলা যাইল না!
পাতালপুরের জলের গান আর তাদের মনোটোনাস নাট্য শুনতে শুনতে সঞ্জীবমুখ মনে ভেসে উঠল আলতো ঔদাস্যে
কেন, রইস্য কি, কী বিত্তান্ত — জিগায়ো না সজনী
ব্যাখ্যা চেয়ো না, চাও যদি নিতে পারো সঞ্জীবসুরেলা লাইনদুটো, লো হরিণী! —
‘কালা পাখি’ নামে ডাকা গানটা আস্থায়ীতে এ-রকম :
কালা পাখি শোন তোর চোখ-কান কিছু নাই
মনেরও ভেতরে মাঝি তোমার রাঙা নাও বাই
গীতিকার কে জানা নাই
কিন্তু সুরকার সম্ভবত সঞ্জীবদাই
নিজের গলায় যে-কয়টা গানই সঞ্জীব গেয়েছেন
অতুলনীয় সব-কয়টাই
বিষণ্ণ বনভোজনের বান্ধবীশ্রী
বিপুলা হাওরের ঝিমলাগা রাত্রি
কিংবা সামুদ্রিক সৈকতনিবাসে একটা আশ্চর্য নৌজাহাজের খোয়াবে কেঁপে জেগে দেখা মাছমানবীর মুখ
সম্বোধনের তুই-তুমি চণ্ডালপনায়
গানে তার ইন্দ্রধনু উদ্ভাসিয়া যায়
নাই তার চক্ষু-কর্ণ-নাসিকার লেশ
সুরে শুধু সঞ্জীবদেহ অনসূয় অফুরান অশেষ বিশেষ।
লেখা : ফখরুল যুলকার্নাইন
… …
- গল্পের বর্ণ, গন্ধ, ছন্দ ও গীতি || জিহাদ মুনতাছির সাইম - August 17, 2025
- শুকিয়ে যাওয়া ফুলেরা || মাহমুদুর রহমান - July 30, 2025
- জীবনের ঋতুসমুদয় || শিলামনি - July 20, 2025
COMMENTS