শাকিরাভাষ

শাকিরাভাষ

ভরভরন্ত রৌদ্রালোকিত দিনের বেলায় আমি সূর্যাস্তের চিন্তায় অস্থির হয়া যাই না।

আল্লার কাছে শুকরিয়া জানাই যে আমি আমার এই বাপমায়ের প্রোডাক্ট। তারা আমার ভিতরে মেধার প্রতি তীব্র যেই তৃষ্ণা আর জীবনশক্তি ইনফেক্ট করে দিয়েছেন, তাদের প্রেম আর তাদের অনুসন্ধিৎসা আমার ভিতরে পুরে দিয়েছেন, এর লাইগা তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার অন্ত নাই। আমি কোত্থেকে এসেছি এইটা জানায়েছেন বলে আমি তাদের কাছে আজীবন ঋণী।

আমি বহুস্বপ্নগামী একটা মানুষ। কিন্তু যখনই আমার একটা স্বপ্ন বাস্তবে এসে যায়, দৌড়াই আরেকটার দিকে। এইটাই আমার নিয়তি, নির্দিষ্ট ভবিতব্য, কিছুটা কিম্ভুত ন্যাচার আমার। মানুষ তার স্বপ্নেরই দাসত্ব করে আসলে, জন্ম থেকেই সে স্বপ্নগোলাম, আমিও। স্বপ্ন বলতে এখন আমার একটাই, আর তা হচ্ছে আমার মিউজিক্যাল সামগ্রিক প্রস্তাবনাটা দুনিয়ার সামনে একটাবার সম্পূর্ণ উপস্থাপন করা।

আমি কি করছি আমি তা ভালোভাবেই জানি। এমনকি একটা পেন্সিলস্কার্ট পরেও যখন করি তখনও।

ফ্যুটবলের একটা মাঠের নামই জীবন, আপনারও তা মনে হয় না?

বাচ্চাদের যে এত ঘনঘন ডায়াপার বদলাতে হয় এইটা আগে মনে আসে নাই। বাচ্চা নেবার আগে কেউ আমারে বলেও নাই যে এত অজস্র ডায়াপার লাগে একটা বাচ্চা পালতে গেলে।

প্যারেন্টিং রেস্পোন্সিবিলিটিগুলা আমি আর জেরার্ড দুইজনে ভাগেযোগে পালন করি। ডিসিপ্লিন্যারিয়্যান কে এইটা বলতে বললে সেইটা আমিই।

একটা আর্টিস্ট হিশেবে এবং একটা ব্যক্তি হিশেবে স্যংরাইটিং জিনিশটা আমার কাছে খুবই নিবিড় একটা জায়গা। আমি ছাড়া আর-কেউ এই নিবিড় জায়গাটায় হাত দিক আমি চাই না।

আমি হচ্ছি মশার মতো। মশামানুষ। আদ্রতা আমার পছন্দ। আমি ঘামি না।

আমি যখন গাই তখন আমার শ্রোতাদের চোখ দেখতে চাই।

সুন্দর মিথ্যার চেয়ে কুৎসিত সত্যটা আমি প্রেফার করি। কেউ সত্যটা না দিলে আমিও তো তারে আমার হৃদয় দিতে পারি না।

একটাকিছু স্যাক্রিফাইস ছাড়া জিন্দেগিতে কিচ্ছুটি অ্যাচিভ করা যায় না।

মনের মানুষটাকে পয়লাবার মিট করার সময় আপনি ঠিকই টের পাবেন যে একটা বরফঝড় ধেয়ে আসছে আপনার দিকে।

তুমি নিজে একটা গান। এই গানের গীতিকার তোমার আল্লা।

লম্বাদৌড়ের সম্পর্ক যদি চান তাইলে আপনাদের মধ্যে একটা গিভ অ্যান্ড টেইকের ব্যবস্থা থাকতেই হবে।

মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা তারা করে ফেলে যখন তারা কিচেনে পা ফালায়। এরপরে এই কিচেন থেকে বেরোতে বেচারিরা আর পারে না।

নিজেকে সেক্সি এবং সেন্সুয়্যাল ভাবার সুবিধাটা আমি পাই ভালোমতোই। এই-যে আমি নিজেকে সেক্সি ভাবছি, সেন্সুয়্যাল ভাবছি, এই ভাবাটাই ভীষণ এম্পাওয়ার্ড একটা অবস্থা তৈরি করে ভিতরে। এখন বাইরের দুনিয়া আপনারে সেক্সি ভাবল কি ভাবল না তা তো গণ্য হতে পারে না। আমি মনে করি এমন সব নারীই সেক্সি এবং সেন্সুয়্যাল এবং সেই কারণে এম্পাওয়ার্ডও যারা নাকি নিজেদের ফেমিনিটি এবং সেন্সুয়্যালিটির লগে পরিচিত এবং তারা তাদের আচরণেও সেই পরিচয়ের ছাপ রাখেন।

এই জিন্দেগিতে নিজের জায়গাটা পাইতে গেলে সেইটার লিগা ফাইট দিতে হয়।

সংকলন, চয়ন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

পরের পোষ্ট

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you