গ্রাসরুটসের গান, অনিয়মিত অসাহিত্যিক অবদমনাখ্যান ২৮

গ্রাসরুটসের গান, অনিয়মিত অসাহিত্যিক অবদমনাখ্যান ২৮

Was I born for this end?

এর জন্যই জন্মাইসিলাম তবে? এইভাবে শেষ হয়া যাব বলে? এই তা-না-না-না করে?

কিটস্ ছুঁড়ে দিসিলেন কথাটা তার স্বল্পায়ু জীবনে শেষের দিনগুলাতে। আমারও একই জিজ্ঞাসা আজকে। এর জন্যই জন্মাইসিলাম তাইলে! এইধারা জান্তব পরিসমাপ্তি!

কীটের মতন, কুকুরের মতন, দুইহাজারচব্বিশে এসে, বাংলাদেশে, লেখকের মতন সকরুণ এই যাপন! মঞ্চে মঞ্চে ধঞ্চেদের ধীশক্তি বিবশ করা বাইঞ্চোদের মতো অবনমিত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন! সারমেয়সদৃশ মনিবের মুখাপেক্ষী থেকে এই বিভীষণশাহি দিন-গুজরান! এই জীবিকাশায়িত করুণ কলরব করেটরে ফুরায়ে যেতে এসেছিনু ভবে! এই রাজার পক্ষে শিঙে ফুঁকিয়ে, এঁটো চেটে রাজার থালের, এই হ্যাঁ-হ্যাঁ-বলা ভাঁড় হয়ে ষাঁড়তান্ত্রিক রাজপর্ষদে… এইভাবে বেহায়া বাতাসে ভেসে… এই নির্বিকার হাসি-ইয়ার্কি-ইড়িঙ্গি দিয়ে দিয়ে ও সয়ে সয়ে কেটে যেতে দিতে এবং কাটায়া যাইতে মন চায় শীতে গ্রীষ্মে বারিষায়… যায় দিন বড়হুজুরের বগলতলে চ্যাপ্টা চান্দু হয়ে…

বইতেসে ধরামাঝে বিবমিষাবারি…

এই প্রেম এই পরিণয় এই কাঁদা-হাসা-ভালোবাসা এই ধুলা আর আরও তার মণিহার নীলকণ্ঠ সংসার এই মনিবতোষণ-মালকিনতুলোতুলো অথবা এইধারা পারলৌকিক মুলো… এসবের কিসুই তো শেষমেশ থাকবে না তোমার, কিসুই তো কইবে না কথা তোমার হয়ে তোমার সন্তানসন্ততি-নাতিপুতিদের কাছে… এইসব মরীচিকাধাবনে বেফিকিরি বৃথা দিনব্যয়! জেনো শুধু চোরাগোপ্তা আন্তরিকের জন্য পরামর্শ একটাই মাত্র : তোমাকে তোমার গানটা, তোমাকে তোমার নাচটা, তোমাকে তোমার কবিতাটা, তোমাকে তোমার তাম্বুরাবাদনটা, তোমাকে তোমার লেখাটা, তোমাকে তোমার মিনমিনে বা গনগনে দিনলিপিটা, তোমাকে তোমার কাজটা তো করে যেতে হবে!

সরোষ-সগর্জন বলিলেন ঈশ্বর : যাও তবে, লেজবাঁকা ত্যাঁদড়, বাকি জিন্দেগিভর দোজখভোগ করো!

তথাস্তু!

জাহেদ আহমদ


গ্রাসরুটসের গান প্রিভিয়াস

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you