ন্যাশনালিজমের হাতিয়ার খেলাধুলা হইতেছে একটা অভিনয়। কিসের? যেন ছোট দেশ – বড় দেশ আসলে নাই, খেলাধুলার মাধ্যমে তারা ধরণীতে নাইমা আইসা সকলেই এক ও অভিন্নতার সম্প্রীতিরে মোলাকাত করতেছে।
বাস্তবে তা নয়। বরং এক দেশের আরেক দেশের প্রতি বিদ্যমান ঘৃণার স্যাডিস্ট বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় খেলায়।
আমি এই বহিঃপ্রকাশের পক্ষে। এইটা মানবীয় গুণ। যেহেতু বড় দেশ শোষণ ও নিপীড়ন করে, সেহেতু ছোট দেশ ক্ষোভ ও ক্রোধ দেখাইতে পারবে।
কিন্তু ওই হুদা হুদা সকলেই এক বা সম্প্রীতির অভিনয়টুকুর বিপক্ষে আমি।
আগে যখন রাষ্ট্রগুলা এখনকার মতো এত স্বৈরাচারী, দখলদার ও ফ্যাসিস্ট ছিল না, তখন এত ঘৃণার বহিঃপ্রকাশও ছিল না। কলোনিয়ালদের হারাইতে পারলে যেটুকু জোশ পাইত, সেইটুকু ছাড়া অবশ্য। এখন সবই অই ন্যাশনালিজমের রিফ্লেকশন। খেলার আর কোনো নিজস্ব চরিত্র নাই।
আরেকটা কথা, বড় দেশ তার বড়ত্বের জেরে যেই আস্ফালন ও পিষে ফেলার গেইজ দেখায় — সেইটা কেন দেখাইবে না?
—১৯/১০/২০২৩
আনম্য ফারহান রচনারাশি
গানপারে খেলাধুলা
- যেভাবে হয়ে ওঠে ‘এসো আমার শহরে’ || শিবু কুমার শীল - March 6, 2025
- Basudeb Dasgupta’s ‘Randhanshala’ The Cooking Place translated by Sourav Roy - March 4, 2025
- ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনা ও যুদ্ধদিনের ইউক্রেনীয় কবিতা || জয়দেব কর - February 17, 2025
COMMENTS