সিস্টেমের যে ভূত থাকে তা সেন্ট্রাল কাঠামো বা নিউক্লিয়ার কমান্ড সেল জানে। এইটা তো বিদিত বিষয়।
কিন্তু অপোনেন্ট যদি হয় মার্সেইনারি — তারা প্রফেশনালিজম আশা করে। মিত্রতার মধ্যে থেকেই আশা করে।
ভাগনার গ্রুপ তো দেখতেছি বহুদিন ধরেই গাঁইগুঁই জানায়ে যাচ্ছিল। আর পুতিনের সেন্ট্রাল কমান্ড এইগুলা আন্ডারমাইন করছে। ফিল্ডসোলজারদের প্রাপ্ত ক্রেডিটও নাকি দেয় না। আর ইউক্রেন যুদ্ধের অস্ত্র সরবরাহও নাকি ঠিকঠাক নাই। মানে অপ্রতুল।
এই মার্সেইনারি কোম্পানি পুতিনেরই আইডিয়া। গইড়া উঠাও তার তত্ত্বাবধানে। এখন এর এর প্রধান, বিদ্রোহী প্রিগোশিন কী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হইতে চান? পুতিনের সাথে দরকষাকষি?
নাহ মনে হয়।
পুতিনের আচরণ আবার এইখানে হিরোয়েটিক লাগতেছে। অ্যাজ ইউজুয়াল ফরমাল স্পিচ। গোয়েন্দা কাহিনি কোন্ দিকে যে যায়!
তবে পুতিনের প্রতি সরাসরি বিদ্রোহ এইটা। এইখানে অনেক কিছুই দেখার বিষয়। দেখা যাক। তবে পুতিনের নিজেরই লোক যেহেতু, শেষতক কাঁটা দিয়া কাঁটা তোলার কিচ্ছাও হইতে পারে। আমেরিকা বা বাইরের কোনো ইন্টেলিজেন্স মনে হয় না এইগুলা ঘটানোর মুরোদ আর রাখে।
আই অ্যাম কিপিং মাই আই অন পুতিন অনলি। রিডিং হিম ইজ রিয়েলি ওয়র্থ, সাচ অ্যান ইন্ট্রেস্টিং ম্যান।
***
হা হা হা পুতিন!
আনরিয়ালিটিকে ম্যানুফ্যাকচার্ড রিয়ালিটিতে পর্যবসিত করানো এবং এমন মারপ্যাঁচ খুবই স্পোর্টি, ম্যান!
ক্ষমতার জ্যান্ত মুভমেন্ট এবং প্রতিমুহূর্তের ইঞ্জিনিয়ারিঙের রুদ্ধশ্বাস খেলা এতই আদিম যে — তা আর কী বলব।
পুতিন কী কখনোই ভুল করবে না? এমন অতিমানবীয় ট্যাকটিক্টস আর ভেল্কিবাজি তো তাকে আসমানী বানায়ে ফেলছে অলরেডি।
২৫ জুন ২০২৩
COMMENTS