পিপল, যাঁরা পলিটিক্স করেন, পলিটিক্স নিয়া খুববেশি কথা বলতে রাজি না।
যেইটা আমি করতেই পারি, সেইটা নিয়া বলার কি আছে বা যেই আর্ট আমরা করি সেইখানে এই বলাবলিগুলির কোনো মিনিং নাই, থাকতেও পারে না। এইগুলা তো আমি করি-ই! যা করি, সেইটা নিয়া আর্ট করার কী আছে! আর্ট হইল যা যা আমি করতে পারতাম কিন্তু করি না বা করার কথা ভাবি কিন্তু কাউরে কইতে পারি না। যেইটা বলতে গিয়া বলা গেল না বা বলা গেল না-বলার ভিতর দিয়া, সেইটাই আর্ট। একটা তো আছে যে পারা যায় না, কিন্তু না-পারাগুলারে ইনভেন্ট করাও পসিবল। আর্ট আসলে খুবই হেল্পফ্যুল একটা টুল নিজের পার্সোন্যাল বেদনার ভিতর পাব্লিক ক্রাইমটারে হাইড করার লাইগা। একজন অ্যারিয়া কমান্ডার কী দুর্দান্তভাবে বিরহের গানটা গাইতেছিল! এর উল্টাটাও হইতে পারে একটা পার্সোন্যাল গিল্টরে/প্লেজাররে একটা গ্রেটার পলিটিক্যাল আইডিওলজির ভিতর নিয়া ফালাইয়া দিলাম। এই উদাহারণটা কিছুটা আছে যখন আঙ্কেলটা বলে যে, আমি তো আমার ডিউটি করতেছিলাম, আমি কী করব! ডিউটি করার মধ্যে তো কোনো প্লেজার নাই বা প্লেজার থাকলে সেইটা ডিউটি হইতে পারে না আর!
যা-কিছু নাই, সেইটাই আছে খালি; আর যা-কিছু আছে, সেইটা আর্ট তো না-ই, আর্টের মিমিক-ই।
আমরা বাঁইচা থাকি আর্টের কনজাম্পশনের ভিতর দিয়া। সেল্ফরে এক-ধরনের রি-প্রডিউস করার অ্যাবিলিটির ভিতর দিয়া সার্ভাইব করতে থাকি। ধরেন, বলা কথাগুলিরে আরেকবার বললাম, এতে কইরা রিয়ালিটিটা ক্রিয়েট হইতে পারল। যখন আমরা করতেছিলাম তখন তো সেল্ফ ইনভল্বড ছিল প্লেজারের অ্যাক্টিভিটিটাতে, পরে যখন বলতেছি তখন তো এই একই সেল্ফ আগের সেল্ফটারে রি-প্রডিউস করতেছে, এইটা আমি-ই, অথচ দেখেন, এখনকার আমি তো না! প্লেজার অফ সেল্ফ এমবেডেড হইতে থাকে আর্টের গেইমে।
এই কারণে সিনেমাতে বারবার এই কথাটাই আসে যে, পাস্ট ইজ পাস্ট! অথচ ‘প্রেজেন্ট’ জিনিশটা এক্সিস্টই করে না যদি-না এইটা পাস্টরে কোনো-না-কোনোভাবে চেইঞ্জ করতে থাকতে পারে, কন্টিন্যুয়াসলি। এখন আমরা প্রেজেন্টে আছি, পাস্ট আর নাই, ফিউচারও নাই — এই-রকম ভেইগ একটা জিনিশরে রিয়ালিটি বইলা চালাইতে থাকি।
যারা খুন করছে তাদের ক্লেইমটা খুবই নৈতিক এবং পার্সোন্যাল, একজন বইলাই ফেলে, যে, এঁরা (কমুনিস্টরা) একজন আরেকজনের বউয়ের সাথে ঘুমায়, (ভুল কইরা কেউ-একজন বা কেউ কেউ এইটা করতেই পারে …) আর এইটারে জায়েজ মনে করে! (লাস ভেগাসে টেররিস্ট অ্যাটাক করার কিছু নাই, কারণ এইটা পার্ট অফ দ্য সিন-বিজনেস; হ্যাং-ওভার পার্ট টু বা ওয়ানেই আছে যে, আপনি একরাতের লাইগা বিয়া করতে পারবেন লাস ভেগাসে, এইটা পসিবল … কিন্তু প্যারিসের ক্ষেত্রে এইটা তো ওয়ে অফ লাইফ) ব্যাপারটা রিলিজিয়াস তো না কোনোমতেই সেইটার চাইতে ক্লেইমটা হইল যে, রিলিজিয়াস ওয়েতে জিনিশটা ডিল করা হয় না। এইটা প্রপাগান্ডা ঠিকাছে, কিন্তু একজন আরেকজনের বউয়ের সাথে ঘুমানো বা না-ঘুমানোটা কেন ইশ্যু? কিভাবে? মানে, আপনি আমার নৈতিকতাতে (রিলিজিয়নে/পলিটিক্সে) সাবস্ক্রাইব করেন না, এর মানে হইল আপনার কোনো নৈতিকতাই (রিলিজিয়ন/পলিটিক্স) নাই! এই-রকম একস্ট্রিমিজমই খালি? এইখানে ডাউট আছে আসলে। হইতেই পারে এইটা একটা ওয়ে-আউট, নিজেরে সেইভ করার; কিন্তু এই ওয়ে-আউটগুলিই তো লাইফের পাৎলা সুতাটা, যার উপর ভর দিয়া খাড়াইয়া থাকতে হইতেছে। এইটারে ডিল করতে না-চাওয়াটা একটা এস্কেইপ পয়েন্টই।
প্লেজারটাও সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসিগুলি নিয়াই — পেনিস নিয়া, বুবস নিয়া। একজন বলে যে, একজন মানুষরে দুইবার কাটা যাবে না, একবার কাটতে হবে, এইটা নিয়ম; তখন আবার বলে যে, যখন একটা মাই কাইটা ফেলল সে একটা মাইয়ার, দেখল যে জায়গাটাতে একটা হোল; তারে দুইবার কাটতে হইল তার; সব নিয়ম-নৈতিকতাগুলিই আবার চেইঞ্জেবল। এইজন্য চেইঞ্জগুলিতে সাবস্ক্রাইব করতে চান না তারা বা পারেন না — এইটা ট্রু না। হয়তো কনভিনিয়ন হয় না আর কি!
কিন্তু মিথগুলি চেইঞ্জ হয় না, মিনিং পাল্টাইতে পারে বইলা দরকার পড়ে না। যেমন, যারে মারা হবে তার রক্ত খাইতে হবে তা না-হইলে পাগল হইয়া গাছের মাথায় উইঠা বইসা থাকতে হবে। অলমোস্ট এভরিওয়ান ডিড দ্যাট। কেউ বলে, কেউ বলে না। মিথগুলিতে আর্টের প্লেজারটা পাওয়া যায়। রি-ক্রিয়েট করার ব্যাপারটা। খুন কইরা যত-না প্লেজার তার চাইতে বেশি খুন নিয়া বইটা লিইখা; “দেখেন, ছবিগুলাও আমি আঁকছি …” হি ওয়াজ হ্যাপি। তার হ্যাপি থাকাটাই আসলে পেইন দেয় যে, তার কোনো পেইন নাই ক্যান, সে তো খুন করছে! কিন্তু তার নিজের কাছে সে তো আসলে দুনিয়ারে সেইভ করছে, একটা ইমম্যোরালিটির হাত থিকা। রেভোল্যুশন করছে। আম্রিকা শ্যুড রিওয়ার্ড দেম। ‘মানুষ’ — এই সাইলেন্ট ধারণাটারে বাঁচাইতে গিয়া কিছু মানুষরে মারছে।
এখন অতিথি ভাইবা যারে জায়গা দিছিল বাসায়, সে-ই কিনা অ্যাকুইজ করতেছে তাদেরকে। এইটা তো দুইনাম্বারি!
ঘটনাটা বেশ সাইলেন্টলিই ঘটছে। সিনেমাটাও বেশ সাইলেন্টলি বানাইতে হইছে। আমরাও সিনেমাটা দেখতেছি সাইলেন্টলি অ্যাজ অ্যা ভিয়্যুয়ার। এই সাইলেন্সগুলি প্রভোক করতেই থাকতেছে টু স্পিক-আউট, স্পিক-আউট লাউড! কিন্তু আমরা যা বলি সেইটা চুপচাপ ধরনের জিনিশই। কারণ কি বলতেছেন সেইটার কোনো মিনিং নাই আর; যা আপনি বলতেছেন না, সেইটাই ঘটতেছে। অনলি ইউর ল্যুক ডিফাইন্স মি থ্রু দ্য অ্যাক্ট অফ ইউর সাইলেন্স।
আপনার নীরব চোখের চাউনি সবই তো দেখি বইলা ফেলতেছে!
Film Title: The Look of Silence ।। Released Year: 2014 ।। Genre: Documentary, Biography, History।।Duration: 1h 43 min ।। IMDb Score: 8.3/10 ।। Director: Joshua Oppenheimer ।। Stars: Adi Rukun, M.Y. Basrun, Amir Hasan ।। Music Score: Seri Banang, Mana Tahan ।। Net profit approximately $153,516
দ্য অ্যাক্ট অফ কিলিং নিয়ে আলোচনা, পড়ুন এইখানে : দ্য অ্যাক্ট অফ কিলিং || ইমরুল হাসান
- এন্ড্রু কিশোর আর ক্যাসেটে বন্দী আমাদের গানের জীবন || ইমরুল হাসান - July 22, 2020
- বাংলাদেশি সিনেমা : অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি ১ || ইমরুল হাসান - July 15, 2020
- আবারও কবিতার নয়া বই || ইমরুল হাসান - September 14, 2019
COMMENTS