টিল্ডা টোল্ড (৩) 

টিল্ডা টোল্ড (৩) 

ভালো অভিনয়শিল্পী না আমি, এবং সেইজন্যে একটা মার্জনার্থী ভাব ধরে রাখি নিজের মধ্যে সবসময়। ফিল্মশিল্পের সঙ্গে সেই অর্থে কোনোদিনই নিজেরে জড়ানোর অভিপ্রায় আমার ছিল না, দুইতিনটা ব্যতিক্রম বাদে এখনও ম্যুভিইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তেমন দহরমমহরম নাই আমার।

তেরো বছর বয়স থেকে বাউয়ির সঙ্গে আমার সম্পর্ক, শ্রবণসম্পর্ক বলুন বা আত্মাসম্পর্ক যা-ইচ্ছে। ওই বয়সেই আমার মনে আছে ‘আলাদিন সেইন্’ অ্যালবামের একটা কপি কিনি যখন কিনা আমার রেকর্ডপ্লেয়ারই ছিল না বাজাইবার। স্পষ্ট মনে আছে রেকর্ড কিনেছি কিন্তু প্লেয়ার নাই, কিনবার পাক্কা একবছর বাদে একটা রেকর্ডপ্লেয়ার জোগাড় করি এবং অ্যালবামটা বাজাই। কিন্তু আওয়াজ নয়, সাউন্ড নয়, এর ইমেইজ আমায় আবিষ্ট করে। অ্যাট্র্যাক্ট করে এর ছবি, এর চিত্ররূপ। ছবি দেখেই, ইমেইজটা দেখে, ডেভিড বাউয়িরে আমার কাজিন মনে হয়েছিল পয়লা দিনেই।

এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল সম্প্রতি যে তার স্বপ্নের হিরোদের সঙ্গে কোনোদিনই মিট করতে চায় না এবং এই ব্যাপারে সে একেবারেই ডিটার্মাইন্ড। আমার আরেক বন্ধু অবশ্য দুয়েকবার তার স্বপ্ননায়কদের সঙ্গে দেখা করে খুবই হতাশ হয়েছিল। তবে আমার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। আমার জীবনে যারা হিরো তাদের সঙ্গে দেখা করে আমি হতাশ হই নাই, উল্টো উদ্বোধিত হয়েছি। ডেভিড বাউয়ি তাদের মধ্যে একজন। বাউয়িকে দেখে মনে হয়েছিল আমরা রিয়্যালি কাজিন পরস্পরের, যদিও অমন কোনো কাজিন আমার নাই বা ছিল না কোনোদিনই।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you