দুর্ব্বিন শা-র সরাসরি শিষ্যত্ব পাওয়া একমাত্র জীবিত বাউল ছিলেন তিনি। বাউলা মনে গান করাটাই এই ধরণীতে তাঁর প্রধান কর্ম। সাংসার তাঁকে কখনোই ছুঁতে পারেনি, যার কারণে জেলা প্রশাসন সহ সরকারি কর্তাব্যক্তিরা বারবার তাঁকে গৃহনির্মাণ করে দিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।
তাঁর পুরো নাম মকদ্দস আলম উদাসী। উদাসী নামেই তিনি বহুল পরিচিত। সুনামগঞ্জের এই বাউলের দর্শন তাঁর গানে ও কথায় প্রকাশ পায়।
বাউল হওয়া যেনতেন কাজ নয়। অনেক সাধনা ও কঠিন পথ পাড়ি দিয়েই বাউল হতে হয়। এ-পথে অর্জনের চেয়ে যেন ত্যাগই বেশি।
রঙের বাজারে প্রকৃত বাউলের খোঁজ পাওয়া যেন আরো দুষ্কর!
বাউল মকদ্দস আলম উদাসী ছিলেন তেমনি এক খাঁটি বাউল। গৃহ, সংসার, বিত্ত ত্যাগ করে লোভ-হিংসা-যশ-খ্যাতি ছেড়ে উর্ধে উঠেছিলেন তিনি যখন বেঁচে ছিলেন তখনও! আর আজকে জীবনের মায়াও ত্যাগ করে পরপারেই চলে গেলেন।
পরপারে নিশ্চয় ভালো থাকবেন বাউল মকদ্দস আলম উদাসী। আপনার ‘উদাসী সংগীত’ নিশ্চয় বেঁচে থাকবে আরো বহুদিন। আমার এই ছোট্ট জীবনে এমন দার্শনিকের সাক্ষাৎ পেয়েছি সেও-বা কম কিসে!
কাজী ইব্রাহিম পিয়াস রচনারাশি
মকদ্দস আলম উদাসী মূল্যায়ন
- মধ্যনগরে বঙ্গাব্দবরণ ১৪৩২ || বিমান তালুকদার - April 18, 2025
- অতি সাধারণ ঋণ বা ন্যানো ক্রেডিট || হুমায়ূন আকাশ - April 17, 2025
- গাজায় মৃত শিশুর ভর্ৎসনা || মোহাম্মদ জায়েদ আলী - April 12, 2025
COMMENTS