মরণোত্তর ফোক মিউজিক ও বাংলা গানের নাগরিক || প্রবর রিপন

মরণোত্তর ফোক মিউজিক ও বাংলা গানের নাগরিক || প্রবর রিপন

কালিকাপ্রসাদের মৃত্যুতে বিরাট শোকসভার আয়োজন করা হলো। দু-দেশের বড় বড় মনুমেন্টাল মানুষেরা বিরাট ড্রামসের তালে কাঁদলেন, কেঁদে ভাসিয়ে দিলেন শিল্পকলার শুকনা ড্রেন।

আসলেই ফোক মিউজিক বেশি ভালো, নাগরিক গান খুবই খারাপ। কেমন যেন শয়তানের পাদ, আর বিশেষ করে ভারতীয়রা বেশি ভালো। উনারা তো শিল্পসাহিত্য বেশি বোঝে, গুরুজি তো শান্তিনিকেতন ওখানেই বানিয়েছে, এই অচ্ছুৎ বাঙ্গালদের ভূখণ্ডে তো গুরুজি তা বানাননি, – কারণ এদের হয় না, হয় সব ভারতীয়দের, শিল্পের চিনিভরা আখ সব উনারা, উনাদের অধ্যবসায় বেশি বলে মরণের পর উনাদের কবরের উপর বেশি করে স্তূপ করে রাখা হয় গোলাপ; আহা, অর্ঘ্য!!! মানো আর না-ই মানো আমরা যে ভারতের একটি প্রদেশ!

আর লাকী আখান্দের মৃত্যুতে কি হলো? কী দরকার, উনি তো বাংলাদেশী! তারপর আবার পাশ্চাত্য সংগীতের দ্বারা অনুপ্রাণিত, এত বড় শোক সংবর্ধনা বহন করার ক্ষমতা উনার লাশের নেই, আপনাদের বুঝতে হবে ক্যান্সারে তার শরীর কতটা শীর্ণকায় হয়ে গিয়েছিল। তাই রাষ্ট্রের উচিত হবে উনাকে আর বড় আয়োজনে স্মরণ না করা, ক্যান্সারের একজন রোগীর জন্য এটাই রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অনুদান, ক্যান্সারে হাড়গুলি এতই দুর্বল হয়ে গেছে যে মরণোত্তর ফুলের ভার তার হাড় বইতে পারবে না।

কিন্তু কালিকা, আমাদের প্রাণের কলিকাতার কালিকা, ও কিন্তু মৃত্যুর সময় সামর্থবান ছিল, সুস্বাস্থ্য ছিল তার, আর মৃত্যুর আগে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গানও করেছে, ওর মৃতদেহের সামর্থ্য আছে এত ফুলের সংবর্ধনা বহন করার, তাই ওকে নিয়ে দুইবাংলার এত বিরাট আয়োজন।

ফোক মিউজিক ভালো আর-সব গান খারাপ। বিশেষ করে নাগরিক গান তো কেমন অপ-শয়তানের পাদ।

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you