সমকালীন কাব্যের জটিলতা || খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম

সমকালীন কাব্যের জটিলতা || খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম

দুষ্প্রাপ্য রচনা / খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম :: সংগ্রহ ও গ্রন্থনা / সরোজ মোস্তফা


কবি খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম চল্লিশের দশকের গুরুত্বপূর্ণ সারস্বত। মফস্বলবাসী হয়ে নিজস্ব মগ্নতায় সে সময়ের সব সাময়িকী ও পত্রিকায় লিখে গেছেন কবি। ‘নীলকপোত’ কবির একমাত্র গীতিকাব্য। বাউল-সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ সাহেবের একমাত্র পুত্র হলেও পিতার অর্জিত ধ্যান ও মগ্নতার অনুগামী না হয়ে আধুনিক বাংলা কবিতার উত্তরাধিকারী হয়েছেন। কবি রওশন ইজদানীর ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। কিন্তু চল্লিশের পাকিস্তানপন্থী লেখকদের ভাষা ও কল্পনা থেকে অনেক আধুনিক ও দূরবর্তী ছিল কবির কলম। পল্লিকবি কিংবা ইসলামি ভাবধারার বাইরে এসে সময় ও দেশকেই হাজির করেছেন কবিতায়। আজকের অনেক তরুণ কিংবা প্রবীণের কাছেও তিনি পরিচিত নন। মূলত উনাদের সময়ে উনারা শুধু লেখালেখিটাই করেছেন; পরিচয়ের ডামাডোলে নাম লেখাননি। তাই, অনেকটা বিস্মৃতি এবং ইতিহাসের অন্তরালেই চলে গেছেন এই মহৎ লেখক। যতীন সরকারের লেখা ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু-দর্শন’ গ্রন্থের অনেকাংশেই আছেন তিনি। অনেকে বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু-দর্শন’ গ্রন্থের নায়ক খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। তিনি মূলত যতীন সরকারের অগ্রজ বন্ধু ছিলেন। তাই, এই কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে যতীন সরকারের মননচর্চার সত্য-প্রভাবক ছিলেন খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। আসুন পাঠক, এই লেখকের একটি প্রবন্ধ পাঠ করি। প্রবন্ধের ভেতরে স্পষ্ট হবে কবির চিন্তা ও কবিত্ব-পদ্ধতি। লেখকের ভাষাও খুব স্বচ্ছ ও স্নিগ্ধ। আধুনিক কবি ও কবিতার অভিযাত্রীদের সম্পর্কে ছোট্ট এই গদ্যে তিনি একটা স্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

১৯৬৮ সালে পাক্ষিক ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণায় সাধারণ গণগ্রন্থাগারে একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনদিনব্যাপী এই সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ হিসেবে লেখাটি উপস্থাপন করেন কবি খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। তিনি এই সম্মেলনের একজন সংগঠকও ছিলেন। সেই সময় ‘উত্তর আকাশ’ এবং ‘সিদ্দিক প্রেস’-কেন্দ্রিক মোক্তারপাড়ায় নিয়মিতই সাহিত্যের আড্ডা হতো। সে-আড্ডার সচল আড্ডারু হয়ে, সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবী হয়ে ছোট শহর নেত্রকোণায় মহৎ একটি সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষগণ। — সরোজ মোস্তফা


সমকালীন কাব্যের জটিলতা || খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম
দুষ্প্রাপ্য রচনা ।। সংগ্রহ ও গ্রন্থনা / সরোজ মোস্তফা


শিল্পীর চিন্তাধারা ও শিল্পকর্ম, তার গতি সুর ও কাঠামো বদলাচ্ছে যুগের অগ্রসরমানতা ও নবতর মূল্যবোধের পরিপ্রেক্ষিতে। আধুনিক যুগের জটিলতা, নগরকেন্দ্রিক যান্ত্রিক জীবনের অভিঘাত সমকালীন সাহিত্যে জন্ম দিয়েছে সংশয়, আত্মবিরোধ, অবিশ্বাস, আশঙ্কা ও অনিকেত মনোভাবের।  রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা সংস্কৃতির সমন্বয়ধর্মিতায় বিশ্বাস শিল্পীর চেতনায় আজ প্রায় অপসৃত। মানুষ চায় নিরাপদ সুখী পরিবেশের মধ্যে সম্পূর্ণ সচ্ছল জীবন-যাপন অথচ প্রতিকূলতায় আবর্তিত  নৈরাশ্যময় বর্তমান তাকে শেলবিদ্ধ ও আলোড়িত করে তোলে। আর সেই বিক্ষোভ থেকেই তার  নৈর্ব্যক্তিক চেতনা নবতর শিল্পরূপের জন্ম দেয়। তার বিপর্যস্ত জীবনের নগ্ন ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত পরিচয়ের অনুভূতি থেকে তখন সে গ্রহণ করে তার চিত্রকল্প বা প্রতীক। বহির্জগতের চেতনাকে সুস্পষ্ট ভাষা ও প্রতীকে ফুটিয়ে তোলার জন্য সমকালীন কবিরা আজ অন্য এক ধ্যানের জগতে আত্মমগ্ন। আর আধুনিক কাব্যের দুরূহতার উৎস-মূল এখানেই। এই নতুন অন্বেষার সূত্রপাত অবশ্য পাশ্চাত্য সাহিত্যের আলোকবর্তিকা থেকেই আমাদের কাব্যসাহিত্যে পৌঁছেছে। যদিও তা আকৃতি-প্রকৃতিতে এখনও তত স্পষ্ট নয়। তবে মোটামুটি সমকালীন বাংলা কাব্যে আঙ্গিকের পরিবর্তন ও প্রকাশের নতুন রীতিতে ভাষা পেয়েছে তির্যক গতি আর তাতে সঞ্চারিত হয়েছে গূঢ়তর ব্যঞ্জনা। ঐতিহ্যবাদী কবি টি. এস. এলিয়ট, নিরঞ্জন মালার্মে ও পোল ভেরলেনই এ পথের পথিকৃৎ। এলিয়টের ভাষায় চেতনার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রয়োজনীয়তা সুন্দর হয়ে ফুটে উঠেছে :

Our civilization comprehends great variety and complexity, and this variety and complexity, playing upon a refined sensibility, must        produce various and complex results. The poet must become more and more comprehensive, more allusive, more indirect, in order to force, to dislocate if necessary, language into his meaning.
(T.S. Eliot; Selected Essays)

কবির কাজ হচ্ছে মানুষের অনুভূতিকে অধিকতর মুকুলিত ও প্রস্ফুটিত করা, অনুভূতির ক্ষেত্রকে প্রসারিত করা। তার যুগকে নিবিড়িতমভাবে প্রকাশ করতে, কখনও নৈর্ব্যক্তিকতার পথে কখনও নিজের বিচ্ছিন্নতাবোধকে তীব্রতর করার মধ্যে তাকে মুক্তিপ্রয়াসী হতে হয়। এদিক থেকে বিচার করলে যে-শিল্পকর্ম অধিকতর অনুভূতিবহ তার আক্ষরিক ব্যাখ্যা বা নির্দিষ্ট ছক-মিলানো হিসাব কখনও সম্ভবপর হতে পারে না। আধুনিক কাব্যের দুরূহতা তাই যুগ-মানসেরই প্রতিবিম্ব। তাকে সম্পূর্ণরূপে এড়ানো হয়ত সম্ভবপর নয়।

বাংলা কাব্যে গদ্যগন্ধি তুচ্ছতা নিয়ে এবং জীবনে শূন্যতা, নৈরাশ্য ও সংশয়-বিস্ময়ের জাগরণে অন্তর্মুখিতার নতুন সুরের সূচনা করেছিলেন যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত । তাই রবীন্দ্রযুগে বাস করেও   রবীন্দ্র-উৎসারী আধুনিক বলে তিনি চিহ্নিত হতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর —

চেরাপুঞ্জির থেকে
একখানি মেঘ ধার দিতে পার গোবি সাহারার
বুকে?

অথবা

জীবন একটা হেঁয়ালী
যত-না নিয়ম তত অনিয়ম গোঁজামিল খামখেয়ালী

— বিশেষভাবে স্মর্তব্য। অবশ্য রবি ঠাকুরের অনেক কবিতা যে আধুনিক কবিতার পর্যায়ে পড়ে না তা নয়; কিন্তু কোনো কবির মূল সুর নির্মিত হয় তার সামগ্রিক রচনার উপর নির্ভর করেই।

তিরিশের কবিদের মধ্যে যাঁরা নতুন সমাজ সৃষ্টির আশায় বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হতে চেতনা গ্রহণে অনিকেত ও অনিশ্চিত জীবনধারার প্রকাশে নবতম সুরের সাধনায় রোমান্টিসিজমের পুরানো মূল্যবোধকে পিছনে ফেলে নতুন কাব্যধারার সংযোজন করেন বাংলা কাব্যে তাদের মধ্যে জীবনানন্দ ও সুধীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র-উৎসারী যুগের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁরা প্রতিভার ক্ষেত্রে সূর্য-সংকাশ প্রতিভা না হলেও এঁদের সৃষ্টি গুণের দিক দিয়ে অপরিমিত। জীবনানন্দ পরিচিত পটভূমিকায় সহজ সরল শব্দে আলো-আঁধারীর কাব্যজগৎ গড়ে তুলেছেন। তাঁর কবিতায় কিছুটা ফ্রয়েডিয় মনোবিজ্ঞানের সাথে এ দেশের শ্যামল প্রকৃতি ও তার সুঘ্রাণ মিশে আছে। তাঁর কবিতা যতটুকু দুর্বোধ্য তাও পাঠককে একটা সুখ ও তৃপ্তির আমেজ দেয় ও তন্ময়তা আনে।

সুধীন দত্ত তাঁর স্বকীয়তায় একান্ত উজ্জ্বল হলেও জীবনানন্দের সঙ্গে তাঁর ব্যবধান অত্যন্ত স্পষ্ট।  বৈদান্তিক দার্শনিকের পুত্র সুধীন দত্ত অত্যন্ত কঠিন ও অপরিচিত শব্দের ব্যবহারে কবিতাকে আপাত জটিল করে তুলেছেন। তবে ভাল অভিধানের আশ্রয়ে তাঁর কাব্যের দুরূহতা অনেক সময় অতিক্রম করা যায়। তাঁর কবিতা অন্যান্য কবিদের রচনা হতে অধিকতর সংহত ও সংযত। কিন্তু তাঁর অনেক কবিতায় আবার এমন সব শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায় যার সন্ধান অভিধানেও মিলে না এবং কখনও কখনও রচনায় এমন জটিল গ্রন্থির সাক্ষাৎ পাওয়া যায় যা উন্মোচন করতে পাঠককে মাথায় হাতুড়ি ঠুকতে হয়। যেমন :

রন্ধ্রহীন বিস্মৃতির প্রতন পাতালে
অতিক্রান্ত বিলাসের, অস্থাবর প্রমোদের শব
|অনুর্বর সাম্প্রতেরে করিবারে চায় পরাভব
জোগায়ে জীয়নরস অপুষ্পক বীজে।
(নরক)

কবিতা যতই উচ্চাঙ্গের হোক আমাদের বর্তমান জটিল জীবনযাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের জটিলতা আমাদের অভিপ্রেত হতে পারে না। কারণ যুগ-যন্ত্রণার আবেগকে নিবিড়তম প্রকাশের মাধ্যমে উপস্থাপিত করা যেমন লেখকের দায়িত্ব, তা গণমনে সঞ্চারিত করার দায়িত্বও তাঁর কম নয়। অথচ এদিকে পাঠক-সমাজের মন এ ধরনের জটিলতার খোসা ছাড়িয়ে শাঁস গ্রহণ করতে যথেষ্ট তৈরি নয়। কাব্যের প্রতি একনিষ্ঠতায় তিনি যে পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করেছেন বর্তমানের পৃথিবীতে তা ক-জনের আছে! জটিলতা সৃষ্টিতে বিষ্ণু দে আরও মারাত্মক। সমকালীন কাব্যে বাক্যরীতি ও কাব্যরীতির অবাধ  মেলামেশা অবস্থা দোষের নয় কিন্তু তাঁর কাব্যে আঞ্চলিক শব্দ প্রয়োগের এত বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যে সেগুলি পড়ে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। আঞ্চলিক শব্দগুলি যখন কাব্যে ব্যবহৃত হয় তখন তা এমন হওয়া আবশ্যক যেন তার ধ্বনি-ব্যঞ্জনার টানেই আসল অর্থ বোধগম্য হয়। পাঠক-সমাজ সৃজনে শিল্পীর দায়িত্বের কথা কিছুতেই ভুললে চলবে না। সুখের বিষয় আমাদের তরুণদের মধ্যে অধিক সংখ্যক ব্যক্তির কবিতা লিখার ও পাঠের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্ধুবর রওশন ইজদানী একদিন গল্পচ্ছলে বলেছিলেন — ‘পূর্ব-পাকিস্তানে এখন কবির সংখ্যা এত অধিক যে একজনকে অন্যজনের ঘাড়ে বসিয়ে দিলে আকাশ স্পর্শ করা যাবে।’ সমকালীন কাব্যের উল্লম্ফনমুখী রীতির সুযোগে অপেক্ষাকৃত কম শক্তিমানদের দ্বারা রচিত সঙ্গতিবিহীন কবিতা ও কবির অসারতার প্রতিই তিনি এই শ্লেষোক্তি করেছিলেন। যা-হোক আমাদের সাহিত্যে নতুন ধারায় একটা চেষ্টা যে কিছুটা ব্যাপক আকারে চলছে তাতে ক্লেদ যতই থাক সুধা একদিন উঠবে এ আশা করা অন্যায় নয়।

বিভাগোত্তর যুগে আমাদের পূর্ব-পাকিস্তানে যে ক-জন কবির কাব্য প্রতিশ্রুতির পরিচয়বহ তাঁদের মধ্যে ফররুখ আহমদ, আহসান হাবীব, শামসুর রাহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, আবদুস সাত্তার প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমরা এমন এক নিষ্ঠুর সময়ে বাস করছি যখন আবেগ ও প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিল্পীর পক্ষে আত্মস্থ হওয়ার সুযোগ অত্যন্ত কম। জীবিকার গোলকধাঁধায় বন্দিত্বই এর প্রধান কারণ। তবুও তাদের মধ্যে অনেকের রচনার সহজ সাবলীলতা ও কাব্যের মূল বেদনাকে উপস্থাপনের কারচুপি লক্ষণীয়।

যেমন :—

বর্ষার দিনগুলি
একটি আক্ষেপ রেখে গেছে
জীবনের থমকে যাওয়া পদক্ষেপের প্রান্তে।
কতবার
জীবনে কত বর্ষায়
এক-একদিন
বর্ষণক্লান্ত বাইরের পানে তাকিয়ে
হঠাৎ এ-কথা মনে হয়েছে।
একটা রেনকোট যদি থাকতো আমার।’
(রেনকোট / আহসান হাবীব)

অথবা

রোববার
ছুটিবার
দুপুরের অসহ্য গরমে
আদ্দির পাঞ্জাবী, গেঞ্জি
খুলে রাখি
কাঠের ঝুলানো আলনায়
অথচ তোমার নাম কোন ক্রমে
মন থেকে নামানো না যায়।
(নাম / আবদুস সাত্তার)

আমাদের পূর্ব-পাকিস্তানী কবিরা এখনও নতুন আঙ্গিকে নানারূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিতর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন।  একদিন মহৎ রচনা এখানেও দানা বাঁধবে এ আশাই করতে পারি।  তবে নতুনদের মধ্যে সবাই যে অনন্যসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিচ্ছেন তা নয়, জগতে সাধারণ আর মাঝারিরাই বিভিন্ন ধরনের রচনায় গড়ে তোলেন সাহিত্যের বিরাট ইমারত। এঁদের একাগ্র সাধনাতেই সাহিত্যের হয় প্রকৃত শ্রীবৃদ্ধি।

বিভাগোত্তর যুগের পরিবর্তিত মনোভঙ্গিমায় আজ আমাদের রচনায় জাতির আত্মা ও জীবন-জিজ্ঞাসা প্রতিফলিত হওয়া একান্ত কর্তব্য। যে ঐতিহ্যকে অবলম্বন করে শিল্পীর আবেগ ও কল্পনা চেতনায় আবর্তিত হয়ে মহৎ সৃষ্টির প্রাণ সঞ্চার করে আমাদের তার অভাব আছে তেমন মনে করার কোন কারণ নেই। আমাদের ইতিহাস পুঁথি ও লোকসাহিত্যেই সে অভাব পূরণ করতে যথেষ্ট। আর আমাদের কাব্যসাহিত্যের দুরূহতা আংশিক এড়াতে হলে সংস্কৃতঘেঁষা শব্দের আমদানী হ্রাস, রচনাপ্রকরণে উল্লম্ফনমুখিতার কম প্রয়োগ ও লোকসাহিত্য হতে ঐতিহ্য সচেতনভাবে গ্রহণের প্রয়াস যত বেশি হবে ততই সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয়।


সরোজ মোস্তফা রচনারাশি

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you