কী হবে দুঃখ করে, আমরা তো এতেই খুশি…
ইহকালে কেউ না-জানুক, আমরা তো এ-ই চেয়েছি…
বাপব্যাটা দু-ভাই মিলে, পিককের পর্যটনে…
আমরাই শেরেবাংলা, আমরাই শেরশায়েরি…
গোসাঁইয়ের নুন কবিতায়, আমাদের গোলাপচারা…
ফুল কি হবেই তাতে, সে-কথায় আসছি না আজ…
বাবুদের তালপুকুরে, হাবুদের ডালকুকুরে…
সে যে কী মনোলোভানো, অপরূপ রাইবিনোদন…
ছেপেছে দৈনিকেতে, গোটাতিন পদ্য আমার…
কী দারুণ বক্সট্রিটমেন্ট, কী দারুণ কাইয়ুমরেখা…
মাঝে মাঝে প্রেম ছুটে যায়, মাঝে মাঝে রাগগোস্বা…
মাঝে মাঝে মান-অভিমান, ফেসবুকে গোষ্ঠী কিলাই…
কিন্তু অতল তলে, উমেদারি ঠিকই চলে…
ফের আবার প্রেম এসে যায়, ফের আবার স্বামীর সোহাগ…
ফের আবার স্পেস্ পেয়ে যাই, ফের আবার বুকরিভিয়্যু…
হা হা হা তালিয়া বাজাও, থ্রিচিয়ার্স তাকধিনাধিন…
কী হনু কবি হে আমি, কী হনু বুকরিভিয়্যুয়ার…
হো হো হো দশকশ্রেষ্ঠ, তু নে কী কামাল কিয়া…
আমরা তো এ-ই চেয়েছি, সুতো থাক আমার হাতে…
নয়া মসনবদার আমি, দৈনিক সুপ্রভাতে…
পেয়েছি সিঁড়ির হদিশ, ওই তো পরম পাওয়া…
যে আমায় কয় না কবি, দে ধোলাই কর্ রে ধাওয়া…
আমরা তো অল্পে খুশি, ভান করি দুঃখী দারুণ…
জিন্দেগি জিনে-কে-লিয়ে, অতএব গাই প্রভুগুণ…
তবু যারা লাইন মানে না, তারা সব মহা উজবুক…
মহাকালে জুম্মাবারে, আমাদের নাম ছাপা হোক…
মহাকালে জুম্মাবারে আমাদের নাম ছাপা হোক…
মহাকালে জুম্মাবারে, আমাদের নাম ছাপা হোক…
জাহেদ আহমদ ২০১১
দ্রষ্টব্য (তবে বিশেষ নয়) : জিনিশটা সঞ্জীব চৌধুরীর জীবদ্দশায় বাইর হওয়া লাস্ট অ্যালবাম জোছনাবিহার-এর ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ গানের আদলে পড়ে/ গেয়ে যাওয়া যায়। মৃত্যুর অব্যবহিত একমাসকাল আগে রিলিজড সঞ্জীব চৌধুরী সৃজিত দলছুট গানদলের অন্তিম অ্যালবামের মৃত্যুমুখর গানগুলার মধ্যে একটি, ঠিক যদি মনে পড়ে তো ওই ভীষণ সঞ্জীবিত মদ্যগলায় গাওয়া গানটির নাম ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ বা এমনকিসু, সেই গানের ঢঙে প্যারোডিপ্রতিম প্রোক্ত গদ্যাংশটুকু গাওয়া সম্ভব হতে পারে, কিংবা অন্য কোনো উপাদেয় উপায়ে। ভেংচি কাটতে কাটতে, সার্টেইনলি। ইন অ্যাডিশন, সঞ্জীবরহিত দলছুট অকল্পনীয়। ইন দ্যাট কেইস্, চাঁদ-ফুল-জোছনা-দুষ্টুমেয়ে-জিনপরি কি জুলফিকার রাসেল গীতিকারিগরী কিংবা বাপ্পা মজুমদার বড়জোর। কবি তো, ভাই, মরে যেয়ে চিরজীবিতের কাতারে শামিল হয়, যেমন হইসেন সঞ্জীব চৌধুরী।
ঠিক প্রাসঙ্গিক না হলেও মনে পড়সে যেহেতু, পরে ভুলে যেতে পারি, টুকে রাখি এখানেই। সঞ্জীবের জীবদ্দশায় লাস্ট রিলিজড অ্যালবামটার নাম ‘জোছনাবিহার’। সুন্দর নাম, সন্দেহ নাই, দলছুটের পূর্ববর্তী অ্যালবামগুলার নামকরণের ধারা বজায় রেখেই (ডেব্যু-অ্যালবাম আহ্ আলাদা অবশ্য)। কিন্তু, মনে পড়ল, তখনকার দৈনিকের কোনো-একটায় অ্যালবামের প্রোমো দেখসিলাম দলছুটের আপকামিং অ্যালবাম/ক্যাসেট ‘মাছে মাছে কোলাহল’। পরে অ্যালবাম রিলিজ হলে দেখি ‘হৃদয়চুরি’, ‘আকাশচুরি’ ইত্যাদি সিলসিলায় ‘জোছনাবিহার’ রাখা হইসে। অ্যানিওয়ে। এই গানটায়, ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’, দেখবেন মাছে মাছে কোলাহলের ফিলটা পাওয়া যায়। আপাতত বলে বিদেয় হই যে একটা অ্যালবামের নামকরণ যদি ম্যাটার করে তাইলে জোছনাবিহার আর মাছে মাছে কোলাহল দুইটা দুই কিসিমের জিনিশই হবার কথা। শেষোক্ত নামে অ্যালবাম শোনার অভিজ্ঞতা আমাদের হয় নাই যদিও। কপাল আমাদের চাঁদফুলজোছনার, মাছে মাছে কোলাহলের নয়। এইটা ফ্যাক্ট, জাজমেন্ট নয়। — জাহেদ আহমদ
- ভোটবুথ, ভূতভোট, বজরঙবলি ও বেবুন - November 26, 2024
- ক্বারী আমীর উদ্দিন সান্নিধ্যে সেদিন || তারেক আমিন - November 20, 2024
- পোয়েট ও তার পার্টনার - October 19, 2024
COMMENTS