মৃস’র জন্য এক্সিবিশন || মেহেরাব ইফতি

মৃস’র জন্য এক্সিবিশন || মেহেরাব ইফতি

প্রার্থনা


ইমেজ-এর অধিকতর সম্ভাবনাটি, আমাগো সামনে হাজির অয় কোনো আর্টগ্যালারির অন্ধকার করিডোরে নিজেরে পেহচানের মধ্যে দিয়া না; পয়লাবার যখন মোরা কাগজের পত্রিকায় ইমেজগুলা দেখি, তাগো দিকে চোখ ফেরাই, আর অবিস্কার করি এর পুনরুৎপাদনের সমূহ সম্ভাবনার দিকে এবং বলপেন দিয়া জ্যামিতির গড় হিসাবগুলা বদলাইয়া দিই; সেই হইতে পার্সস্পেক্টিভ-এর সূচনা।

মৃস কি? উলানবাটরে দেখিয়াছিলাম এক গাছ — সারি সারি ঘুপচি গলির রাস্তা আর আত্কা লম্বা বাড়িগুলির বগলে মোচড় দিয়ে বেঁকে যাওয়া গুঁড়োদুধের পাহাড়ের মুখে — তাহার নাম মৃস। তারপর দজলা ফোরাতের, সিন্ধু বুড়িগঙ্গার বহু আদম এবং ইভ আমারে ফিরা ফিরা জিগাইছেন, উহার পাইনিকো দেখা। ঠিকই; ‘লোকটা মারিতে মারিতে তাহার পুত্রধনটিকে জাহান্নামের চৌরাস্তা দেখাইয়া দিলেন (১৮৭৭)’ পুস্তিকাটির হদিস আজতক পাই নাই কোনো সার্চবারে।

সেই থেকে মৃস’র জন্য ছবি আঁকা অর্থাৎ,
নন্দনতত্ত্বের গালে চোপাড়
ছায়া ছায়া মাঠের ভিত্রে দি যাইতেছে বাড়ি
সে ভালোবাসে মাইয়ারে
আর খোয়াব দেহে ইয়োলো মুন
ব্লু গাছের নেকাব খুলি পড়ি গেছে গত বারিশের দিনে
আজ্ঞে একখান রফা করি যান—
যা বলা হয়ে গেছে
যারে আর লুকানি যাবে না
আগামী পরেরদিন
[হ্যাশট্যাগ] বসন্ত আইসে গেছে বসন্ত আইসে গেছে বসন্ত আইসে গেছে
এম এফ হুসেনের মন্তাজ পেটে
লোকজীবনের ছড়ায় ছড়ায়
আইজেনস্টাইন (A×B=C) মানবো না গো
কুলেশভ (A+B=C) মানিবো ক্যারে
হারায়ে যাইয়েন না যেন
রাস্তার বিখাউজ ভাঙ্গারির ভিড়ে


টেরাটোমার্টা, অর্থাৎ আমাদের মুখ : এন্টি-ভাইরাল চিত্রপ্রদর্শনী

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you