ইনিয়েস্তা, বব ডিলান || ইমরুল হাসান

ইনিয়েস্তা, বব ডিলান || ইমরুল হাসান

বব ডিলান যখন বুইড়া হইছেন, মানে ওইরকম নতুন গান আর গাইতে পারেন না, (এইটা বেশ স্ট্রাগলিং জিনিসই যে একজন মানুষ জীবনের সবসময় তো আর ক্রিয়েটিভ থাকেন না …) তখন ম্যাডোনা বা এইরকম কোনো ইয়াং সিঙ্গাররে প্রেইজ করতেছিলেন, অনেক সুন্দর গান গায় মেয়েটা, এই সেই …  এইরকম কথা দেইখা মনে হইতেছিল, ডিলান এইসব করতেছেন যদি তারে কোনোরকম ব্রেক দেয়, ইয়াং আর্টিস্টটা! মানে, ঘটনা যে এইটা  —  তা না; কিন্তু মনে হইতেছে এক ধরনের ফেভার চাইতেছেন বা নজরে পড়তে চাইতেছেন বা উনি যে এইটুকও পারেন না  —  এইটাও বলতেই চাইতেছেন।

তো, বব ডিলানের এই ব্যাপারটা মনে হইতেছিল ইনিয়েস্তার (Andre Iniesta) কথা ভাবতে ভাবতে। উনার অবস্থা বব ডিলানের চাইতে বেটার। কিন্তু একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ যে তার বেস্ট কাজটা করে ফেলছেন, কিন্তু বাঁইচা আছেন আর ট্রাই করে যাইতেছেন   … ব্যাপারটা বাজে না; কেমন একটু জানি মায়া লাগে, মনেহয় অবুঝ কোনো-একটা গরুবাছুর বা কুত্তাবিলাই বা হিমেনেথের প্লাতেরোর মতন কোনো গাধা, গায়ে হাত বুলায়া আদর কইরা দেই; বলি, ইউ হ্যাভ ট্রাইড এনাফ, মন-খারাপ কইরো না। আর সে আমার কথা কোনোদিনই শুনতে পাইব না!

২.
এইখানে বয়সের ব্যাপারটা তো আছেই। কবিতা যেহেতু বেশিরভাগ সময়েই ইমোশনাল একটা ব্যাপার, বা খেলাতে তো ফিজিক্যাল ফিটনেস লাগেই; তো, একটা বয়সের পরে না-পারার বা রিটায়ার করার ঘটনাগুলি আসে। এই কারণে অনেকে, ইয়াং বয়সে মইরা যাইতে চান, যেহেতু ক্রিয়েটিভ কাজটাই করতে পারতেছেন না, যেইটা তার বাঁইচা থাকার কোর আইডেন্টিটি সেইটাই যখন নাই, কেন উনি বাঁইচা থাকবেন!

তো, বাঁচা-মরা ব্যাপারটা তো এতটা নিজের হাতে নাই। কিন্তু দুইটা জিনিস খেয়াল করা যাইতে পারে এইখানে। এক হইল, সিঙ্গুলার একটা আইডেন্টিটি, বব ডিলান  —  গায়ক [অ্যাবিউসিভ লাভার না (আবার প্রেম ব্যাপারটার সাথেই একরকমের অ্যাবিউসিভনেস থাকে মেবি, অ্যাভোয়ড তো করাই যায় …)]; বা ইয়েনেস্তা  —  ফুটবলপ্লেয়ার (কোনো রেস্টুরেন্টের মালিক না, মানে উনার কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কি-না জানি না, কিন্তু থাকতে পারে হয়তো …  এই জায়গা থিকা বললাম)। আবার এইখান থিকাই সেকেন্ড পয়েন্টটা ইমার্জ করে যে আরেকটা আইডেন্টিটিতে শিফট কইরা গেলেন। কবি, কিন্তু ছবি আঁকেন বা সিনেমা বানাইলেন; প্লেয়ার, কোচ হইয়া গেলেন। নিজেরে বাঁচায়া ফেলতে রাজি হইলেন!

আর লাস্ট বা থার্ড ক্যাটাগরি হইল, এই ট্রাই করতে থাকাটা। এইটাই একমাত্র আইডেন্টিটি — সেইটা ভাইবা করতে থাকা না; বাঁইচা থাকার যে-ঘটনা সেইটা হয়তো কিছুটা মাইনা নেয়ার ট্রাই করা যাইতে পারে, এইভাবে। কিছু হইলে তো ভালো, না-হইলেও কি আর করা! মানে, উই শ্যুড ট্রাই। এইরকম।

৩.
তবে ব্যাপারটা যে সবসময় স্যাড — তা না; অনেক সময় ফানিও হয়া উঠতে পারে আর হয়ও। তবে ব্যাপারটা যে মনোটোনাস আর মনোটোনাস হওয়াটা যে ভালো আসলে, এইটাই আমি বলতে চাইতেছি মনেহয়।

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you