‘অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস’ সিনেমাতে এই জিনিশটা প্রথম খেয়াল করসিলাম। লাস্টের দিকে, জ্যাক নিকলসন যখন হেলেন হান্টের বাসায় গেছে, শেষ রাতের দিকে; ঘরে ঢুইকা তার অস্বস্তি লাগতেসে, কইলো যে, চলো বাইরে যাই। হেলেন কয়, এই রাতে ৪টার সময়? তখন নিকলসন কয়, আচ্ছা, এই রোডের কোণায় একটা বেকারি আছে, যারা খুব ভোরে দোকান খোলে, তো ব্যাপারটা এইরকম হইতে পারে যে, দুইজন মানুষ যারা গরম গরম রোল খাইতে পছন্দ করে, তারা হাঁটতে বাইর হইসে। তো, এই উসিলাটা পছন্দ হয়, হেলেনের। দুইজনে হাঁটতে বাইর হয়। তো, শেষে প্রেমের সিনের পরে ওরা বেকারিটাতেও যায়।
পার্পাস একটা বাইর করা জরুরি। যদিও এইটাই পার্পাস না। কিন্তু এই ‘ভান’ করতে পারাটা মেবি লাইফে সবচে ক্রুশিয়্যাল একটা ব্যাপার। আমি কবিতা লিখতেসি, বা আমি খুব মারাত্মক একটা রিসার্চ করতেসি, বা ইম্পোর্টেন্ট রোলে চাকরি করতেসি, হোয়াটেভার … এইটা ছাড়া এক কদম আগানোও মুশকিল। কি করতেসি তার চাইতে জরুরি আসলে কি বইলা নিজেদেরকে বুঝাইতেসি। এই কাজগুলি যে করি না তা তো না, করিই, অনেকবেশি সিরিয়াসলিই করি; জ্যাক নিকলসন আর হেলেন হান্টও রোল খাইতে গেসিলেন তো। কিন্তু মেবি যেইটা করি, সোশ্যাল হ্যাজার্ডগুলিরে অ্যাভোয়েড করা বা পাওয়ার প্র্যাক্টিসটারে স্মুথ করা, সার্টেন রিকগ্নিশনরে ভ্যালু করা বা ইগোরে স্যাটিসফাই করা … এইসবকিছুরে কইতে চাই না। পাবলিক ট্রুথরে কনস্ট্রাক্ট করতে চাই বা যেই ট্রুথগুলি পসিবল, পার্সোন্যাল বিহেভিয়ারগুলি সেইটার সাথে মিলাইয়া রাখতে চাই।
আরেকটা একইরকমের ডিফ্রেন্ট সিন হইতেছে হিন্দি ‘ইক দিওয়ানা থা’ সিনেমার, একটা তামিল সিনেমার হিন্দি ভার্শন ওইটা। নায়ক হইতেসে নায়িকার দুই বছরের ছোট। নায়িকাদের নিচের বাসায় থাকে, ইউনিভার্সিটি পাশ দিছে আর নায়িকা চাকরি করে। তো, নায়িকার অফিসে যাওয়ার সময় একদিন রাস্তায় কথা কইতে আসে। নায়িকাও কথা কয়, কিন্তু বারেবারে পিছনের দিকে তাকায়; নায়ক জিগায়, কেউ আসার কথা নাকি? নায়িকা কয়, — না, না, আমার বাপ বা ভাই যদি দেখে তোমার লগে কথা কইতেসি, তাইলে ঝামেলা করতে পারে। [দেখেন, উত্যক্ত করা যত ঝামেলার, বাপ-ভাইয়ের ডরও কম ঝামেলার না…] তখন নায়িকা নায়করে জিগায়, তোমার বয়স কত? শুইনা কয়, — ও, তুমি তো আমার চে দুই বছরের ছোট, তাইলে জিগাইলে কমু নে, ছোটভাইয়ের লগে কথা কইতেসি। নায়ক তো সিরিয়াস মাইন্ড করে, — না, না, আমি ছোটভাই কোনোদিনও হমু না…। নায়িকা কয়, — আরে না, না, হইতে কইতেসি না তো; কেউ জিগাইলে বলব আর-কি …।
ব্যাপারটারে দুই নাম্বারি বইলা ক্রিটিক করতে চাইতেসি না আমি বা না-থাকাটারে অনেস্টি। এইটা বেশ ভুল জিনিশই হবে – এইরকম কইরা ভাবলে। মেবি এইটাই একমাত্র ট্রুথ যেইটা আমরা দেখতে পাইতেসি।
… …
- এন্ড্রু কিশোর আর ক্যাসেটে বন্দী আমাদের গানের জীবন || ইমরুল হাসান - July 22, 2020
- বাংলাদেশি সিনেমা : অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি ১ || ইমরুল হাসান - July 15, 2020
- আবারও কবিতার নয়া বই || ইমরুল হাসান - September 14, 2019
COMMENTS