লেখাটা পাঠপূর্বে বা পাঠান্তে একটা গানপারভূমিকা
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাক্রোনিম বামবা, গত শতকের নব্বইয়ের দশকের গোড়া থেকে যাত্রা শুরু করে এবং এখনও জিন্দা আছে বলে শোনা যায়। একদম গোড়ায় এই সংগঠনের যেমনটা সাংগীতিক এবং তারচেয়েও বড় কথা সাংস্কৃতিক উন্নয়নকামী বিপ্লবী আকাঙ্ক্ষা ও কর্মতৎপরতা লক্ষ করা গিয়েছিল, ক্রমশ তা স্তিমিত হয়ে যেতে দেখি আমরা সংগঠনটির জন্মদশকের উপান্তে পৌঁছাতে-না-পৌঁছাতেই। মিউজিক করেন না কিন্তু মিউজিক শোনেন এবং বিশেষভাবেই শাহরিক রক ও অন্যান্য বিচিত্র ধারার মিউজিকের স্বদেশী বিকাশ দেখতে আগ্রহী যারা তাদের কাছে বামবা বহুকাল থেকেই মৃত সংগঠন হিশেবে গণ্য। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে যে-সংগঠনটির জন্ম এবং যেইটার জন্মকালে এদেশের বিস্তীর্ণ শহর-গ্রাম-গঞ্জ সর্বত্র তরুণদের মধ্যে ‘ব্যান্ডসংগীত’ নামে একটা জিনিশের প্রতি যে-অগাধ আস্থা ও প্রেম ছিল তা কাজে লাগিয়ে বামবা বাংলাদেশের সাংগীতিক শুধু নয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যে-মাত্রায় ব্রেইকথ্রু ঘটাতে পারত, নেভিগেইট করতে পারত গোটা জাতির সবচেয়ে তেজোদ্দীপ্ত জনগোষ্ঠীটাকে, আনফর্চুনেইটলি তা আর হয় নাই। সারাদেশে এখনও হাজার হাজার গানের দল হাজির, ব্যান্ড ফর্মেশনে মেটাল ও অন্যান্য বিচিত্র সংগীতের চর্চা করে চলেছে তারুণ্যটগবগে শ্রেণি, অথচ বামবার আদ্যিকালের লিস্টিতে এরা নাই, সিম্পলি এরা বামবার তালিকায় গরহাজির, এদেরে ক্যাপ্চার করবার এদেরে হেল্প করবার এদেরে অডিশন-আওতায় নিয়া আসবার এদের সংলগ্ন হবার কোনো সদিচ্ছা বা কার্যক্রম বামবার আছে বলিয়া আমরা চাক্ষুষ করি নাই। থাকার মধ্যে আছে কেবল স্টারডম নিয়া তড়পানো, কর্পোরেট কন্সার্টের শো-শা, সম্প্রতি কিছু সরকারি প্রচারণা কর্মসূচিতেও বামবা শামিল হতেছে সম্ভবত। বামবার ইন্যাক্টিভিটি কী পর্যায়ের তা বোঝা যাবে একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে। আমরা বাংলাদেশের যেই অংশটায় থাকি এবং যেখান থেকে গানপার চালাই, সিলেটে, সেখানে সিলেট মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (এসএমবিএ, পপনেইম সামবা) নামে একটা প্ল্যাটফর্ম আছে, যেখান থেকে মেটাল মিউজিকের একাধিক কন্সার্ট হয় বছরের নানান সময়ে; বেশ কিছুদিন আগে এমন একটা আসরে যেয়ে এসএমবিএ-র একজনকে জিগাই যে তাদের সংগঠনটা বামবার সঙ্গে যুক্ত কি না বা বামবার অ্যাফিলিয়েশন আছে কি না। প্রত্যুত্তরে সেই তরুণ মিউজিশিয়্যান সগর্ব বলেন যে, না, এর সঙ্গে বামবার কোনো সম্পর্ক নাই, ‘সামবা’ স্বাধীন ও স্বতঃপ্রণোদিত সংগঠন, তবে বামবার অমুকভাই-তমুকভাইয়ের লগে তাদের ঘনিষ্ঠতা আছে ইত্যাদি। ব্যস। কাহিনি এইটুকুই। নিশ্চয় অনুমেয় যে বামবার উপস্থিতি ও লাফালাফি সমস্তই ঢাকাসেন্ট্রিক, বিশাল বাংলায় তাদের কোনো তৎপরতা কেউ চর্মচক্ষে দেখতে পায় না। আশ্চর্য হতে হয় এইটা জানার পরে যে চারদশকের একটা সংগঠনের সদস্যসংখ্যা আজও অঙ্গুলিমেয়, আক্ষরিক অর্থে সংখ্যাটা ডানহাতের আঙুলের গিঁটগুলায় কাউন্ট করা যায়। এ-ই হলো বামবা আর তার পরিধি। এইগুলা নিয়া আউটসাইডার আমরা আলাপের এখতিয়ার হয়তো রাখি না, হাঁড়ির খবর কিছুই তো জানি না কাজেই কী কথা বলব আপনি আর আমি? রিসেন্টলি কিছু কথা বলার মওকা পাওয়া গেল মাকসুদুল হকের একটা লেখা এবং এর পূর্বাপর হকের এবং বামবার বর্তমান সভাপতি হামিন আহমেদের কিছু সংবাদবিজ্ঞপ্তি ইত্যাদির সুবাদে। দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরে বামবার যেই স্থিতাবস্থা বা স্ট্যাটাসক্যু তা আলাপে এল মাকসুদ ওর্ফে ম্যাক হকের তৎপরতায়। এইখানে উল্লেখ্য, ম্যাক তথা মাকসুদুল হক বামবার প্রতিষ্ঠাকালিক সভাপতি এবং বাংলাদেশে ব্যান্ডমিউজিক বিকাশের একজন পুরোধা ব্যক্তি। রিসেন্ট আলাপটা উঠেছে বামবার নির্বাচনপ্রাক্কালে এবং বর্তমান নির্বাহী পর্ষদের অন্যতম সদস্য মাকসুদুল হক সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ও দাবি জানিয়ে একটা পাব্লিক-অ্যানাউন্সমেন্টের মাধ্যমে নিজেকে বামবার নির্বাহী পর্ষদের সদস্যপদ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অবশ্য ম্যাক হকের ব্যান্ড ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ বামবার সদস্য রয়ে গিয়েছে — এখন পর্যন্ত তথ্য এইটুকু। গানপার থেকে আমরা এই বিষয়ক সমস্ত সংবাদ-মন্তব্য-প্রতিবেদন অনুসন্ধিৎসু নজরে দেখছিলাম মার্চের মাঝামাঝি থেকে এবং আমরা চাইছিলাম পর্যালোচনামূলক একটাকিছু প্রতিবেদন দাঁড় করা যায় কি না। তারপর করোনার দুর্যোগ এবং দুনিয়াজোড়া অচলাবস্থায় এতদসংক্রান্ত কথাবার্তা আপাতত মুলতবি রাখা ছাড়া গত্যন্তর নাই বিধায় আমরা মাকসুদুল হকের ‘বামবা গঠনতন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা’ শীর্ষক রচনাটা ফর-দ্য-রেকর্ড এইখানে রাখছি যাতে বিপর্যয়পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দুনিয়া স্বাভাবিক হলে এই জরুরি বিষয়টা নিয়া, বামবার ও বাংলাদেশের নতুন গানের সাংগঠনিক হালহকিকত নিয়া, আলাপ তুলতে পারি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাকসুদুল হক এই লেখাটা Notes On The BAMBA Constitution and Current Status-quo শিরোনামে লেখেন ইংরেজিতে এবং ১৪ মার্চ ২০২০ তা পাব্লিকলি অ্যাপিয়ার করে ম্যাকের নামাঙ্কিত সোশ্যাল সংযোগের সমস্ত পেইজগুলা থেকে। এরপর ১৫ মার্চ লেখাটার একটা বাংলা ভার্শনও ম্যাকের পেইজগুলা থেকে অ্যাভেইল করা যায়। দেশের ইংরেজি-বাংলা দৈনিক পত্রিকায় মাকসুদের বামবা থেকে ইস্তফা এবং বামবার বর্তমান কমিটির বৈধতা নিয়া প্রশ্ন-তোলা লেখাটি নিয়া সচিত্র খবর বেরোয়। হ্যাঁ, খবর, ফিচার বড়জোর, ম্যাকের মুখচ্ছবিসম্বলিত, অ্যানালিটিক্যাল প্রতিবেদন নয়। ম্যাকের অভিযোগের তীব্র তর্জনীর তোপে বামবা-সভাপতি মাইলস ব্যান্ডের হামিন আহমেদ বামবার প্যাডে স্বাক্ষরিত সংবাদলিপিতে যথাপ্রথা অভিযোগ ভিত্তিহীন ‘মনগড়া, বিভ্রান্তিকর’ ইত্যাদি লিখে রেস্পোন্ড করেন। যা-হোক, আমরা ম্যাকের লেখাটা আলাপের সূত্রপাত হিশেবে এইখানে পড়ে নেব এবং পরবর্তী কিস্তিতে অন্যান্য অনুষঙ্গও যুক্ত করে নেব। অকার্যকর সমস্ত প্রতিষ্ঠান-সংগঠন আলাপের আলোয় এসে যদি কার্যকর ও জনবান্ধব হয়ে ওঠে — একটু চেষ্টা করে দেখতে তো সমস্যা নাই। নিচের লেখাটা বামবার ইলেকশন মোড্যালিটি নিয়া খানিকটা জানবার পরিসর করে দেয়। কেবল বঙ্গানুবাদিত রচনাটা আমরা রাখছি, ইংরেজিটা চাইলে ম্যাকের সোশ্যাল কানেক্টিভিটির পেইজগুলা থেকে বা বামবার অফিশিয়্যাল ফ্যানপেইজ থেকে যে-কেউ চোখ বুলায়া নিতে পারবেন। বাংলাদেশের রকহিস্ট্রির প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি মাকসুদুল হকের লেখা পাঠপূর্বে এমন দীর্ঘ ভূমিকা পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটালেও কথাগুলা আমরা প্ল্যানড একটা প্রতিবেদনের নোক্তা হিশেবে এইখানে দেগে রাখছি। — গানপার
বামবা গঠনতন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা || মাকসুদুল হক
মূল ইংরেজি বার্তার বঙ্গানুবাদ। বামবার সভাপতি হামিন আহমেদ, সহ-সভাপতি ফোয়াদ নাসের বাবু ও মাইলস ব্যান্ডের শাফিন আহমেদ যিনি বামবার প্রাথমিক সংবিধানের প্রণেতা তাকেও বার্তায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বামবা গঠনতন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা (নির্বাচনের ১ম পর্যায়)।
১. বামবার কার্যকরী সদস্যদের সাথে সদস্য-ব্যান্ডগুলোর সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য। কিন্তু আজ আমাদের প্রতি সদস্য-ব্যান্ডগুলোর বিশ্বাস বা আনুগত্য নেই বললে চলে এবং এর মূল কারণ হলো আমরা তাদের মধ্যে এই আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছি যে, তারাই হলো বামবার ভবিষ্যৎ ধারক ও বাহক।
২. পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন :
ক) আত্মতুষ্টি ও সকল স্তরে নেতৃত্বগুণ বা সামর্থ্য প্রদর্শনে ব্যর্থতা
খ) মাথামোটা একটি সংগঠনে পরিণত হওয়ায় আজ অব্দি প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করতে গেলেই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় আমাদের — যেখানে অধিকাংশ সদস্যরা আর-দশটা কন্সার্ট বা ইভেন্টের মতোই কেবল পারফর্ম করতে আসে এবং পারফরম্যান্স শেষে চলে যায়।
৩. উপরে করা আত্মসমালোচনাগুলোর প্রেক্ষিতে বলা যায় বামবার গঠনতন্ত্র কী বলে আর আমরাই-বা তা কতটুকু মেনে চলি সেটির কোনো গুরুত্ব আজ নেই বললেই চলে। যদিও এর একটি ব্যাখ্যা এখানে দেয়া যেতে পারে, তা হলো : গঠনতন্ত্র কিংবা সংবিধান ঐশ্বরিক কিছু নয়। এগুলো সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত বিধিমালা যা দ্বারা সুবিচার, সাম্য ও পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। মোট কথা এগুলো আমাদের নৈতিকভাবে দায়বদ্ধ থাকতে সাহায্য করে থাকে।
৪. এমতাবস্থায় বর্তমান নির্বাহী কমিটির উচিত পদত্যাগ করা। এর অর্থ এমন নয় যে, আমরা আমাদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছি বরং এটাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এর কারণগুলো হলো :
- হয়তো আমরা এতদিন যাবৎ অনেক নিষ্ঠা, উৎসাহ এবং বলতে গেলে অনেকটা ঐচ্ছিকভাবেই কাজ করে এসেছি; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে কার্যকরী সদস্য হিসাবে কাজ করার কোনো আইনগত ভিত্তি আমাদের নেই।
- বামবার মতো এত বড় একটি জাতীয় সংগঠন এভাবে নিজের কাজ নিজে করো উপায় (DIY: Do It Yourself) অবলম্বন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয় কিংবা উচিতও নয়।
৫. দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এক-ধরনের সংকটময় অবস্থা পার করছি যা যে-কোনো সংগঠনের জন্যেই অনভিপ্রেত। বিধায় সংগঠনের প্রতি নিজেদের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে আমি সহ বাকি সকলেরই উচিত পদত্যাগ করে সাধারণ সদস্য হয়ে যাওয়া — যা যে-কোনো আদর্শ গণতন্ত্র ও শিষ্টাচারের মূল ভিত্তি।
৬. যদিও পদত্যাগের পূর্বে বর্তমান ইসিদের অবশ্যই একটি অ্যাডহক নির্বাচন স্টিয়ারিং কমিটি (ইএসসি/ESC: Election Steering Committee) গঠন ও কার্যকর নিশ্চিত করতে হবে যাদের মূল দায়িত্ব হবে একটা সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে ভয়ভীতি, হুমকি, সুবিধা, দুর্নীতি, কারচুপি কিংবা কুক্ষিগত করার কোনো সুযোগ থাকবে না।
৭. এই ইএসসির প্রধান হবেন অবশ্যই বামবার যে-কোনো জ্যেষ্ঠ সদস্য যাকে সহযোগিতা করবেন অন্তত দু-বার কার্যকরী সদস্য থাকা যে-কোনো দু-জন এবং ছয়টি ব্যান্ড যারা ইতোপূর্বে কোনোদিন কার্যকরী সদস্য ছিল না।
৮. প্রস্তাবিত তিনজন জ্যেষ্ঠ কার্যকরী সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বভার সম্পূর্ণভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্টের উপর ন্যাস্ত থাকবে। অন্যদিকে প্রস্তাবিত ইওজিএম (EOGM: Extra Ordinary General Meeting)-এ কণ্ঠভোটের দ্বারা ছয়টি নতুন ব্যান্ড নির্বাচন করা হবে।
৯. ইএসসির মূল উদ্দেশ্য হলো Executive Committee ইসিগণের পদত্যাগ পরবর্তী সময় থেকে নির্বাচন পর্যন্ত সময়কালে যাতে নেতৃত্বের ভ্যাকুম (শূন্যতা) সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করা। এ-সময়কালটিতে তারা তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের ক্ষমতা তাদের থাকবে না।
১০. নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কার্যকরী সদস্য তথা সংগঠনকর্ণধারগণের নাম প্রকাশ্যে ঘোষণা ও তাদের দায়িত্বভার গ্রহণের সাথে সাথে ইএসসির সমস্ত কার্যক্রম অবলুপ্ত হবে।
১১. নিরপেক্ষ বামবাবহির্ভুত একজন নির্বাচন-কমিশনারের একটি পদ সৃষ্টি করা বাঞ্চনীয় — যিনি কেবলমাত্র প্রয়োগযোগ্য নির্বাচনী আচার-আচরণ ও বিধিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ইওজিএম-এর ক্ষেত্রেই এই পদের কার্যকর করার বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
১২. সবশেষে, বামবার সমস্ত সদস্য-ব্যান্ডের প্রতি আমাদের আন্তরিক অনুরোধ তারা যেন নির্বাচনের পূর্বেই নিজেদের বকেয়া-থাকা সাবস্ক্রিপশন ফি-র কমপক্ষে ৫০% পরিশোধ করেন।
… …
- Are we ready for Khilafa E Bangal? || Mac Haque - September 5, 2024
- সিজনাল মায়াকান্না ও আমাদের প্রতিবাদের ফ্যাশনেবল কালচার || মাকসুদুল হক - October 22, 2021
- স্মর্তব্য ১৭৭১ || মাকসুদুল হক - October 20, 2021
COMMENTS