বহুদিন পর নিউজফিড গরম করার খায়েশ হইছে।
বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব কারা দেবে সেটা নিয়ে তীব্র লড়াই চলতেছে। কয়দিন আগে পিনাকী ভট্টাচার্য বিশাল এক লিস্ট খারিজ করে দিয়ে নিজের আসন পোক্ত করতে চাইছে। এই লিস্টে সে জিয়া হাসান সহ অন্যান্যদের এক হাত নিয়েছে। জিয়া হাসান সরাসরি পিনাকীরে থ্রিইঞ্চিস বলে ভিলিফাই করার চেষ্টা করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে নাদিয়ার কুৎসিত জেন্ডার্ড কাজকারবার খুবই নিন্দনীয়। জিয়াভাই এই টার্মরে কয়েন করে আমার থেকে ডিমেরিট পাইছেন। উনি পিনাকীর চেয়ে ভালো অ্যাক্টিভিস্ট আমি মনে করি। পিনাকীর লগে এই বিলো বেল্ট না খেললেও পারতেন তিনি।
এইদিকে ফরহাদ মজহার বলছেন বিএনপি তার কোনো কথাই শুনছে না। তারা আমেরিকার পা ধরে ক্ষমতায় আসতে চায়। জনগণকে সাথে নিয়ে গণ-অভ্যুথানে তারা যাইতে চায় না। এই নিয়ে আফসোস করছেন তিনি। তার মতে বিম্পির লুটপাটগোষ্ঠী জনগণের উপর ঘটে-যাওয়া নিষ্পেষণ ভুলে শর্টকাট রাস্তায় আগাচ্ছে।
রাতুল মোহাম্মদ মনে করেন, হেফাজতে ইসলাম সহ দেশের সকল ইসলামি জনশক্তি ও নিপীড়িত শক্তি মিলে এক-কাতারে আসলে আওয়ামীলীগ পরাজিত হবে নিশ্চিত। যদিও এই দেশের কোনো ইসলামিস্ট দলকে নিজেদের সুবিধা ছাড়া এই দেশের জনগণের ইনসাফ রক্ষায় রাজপথে কোনোকালেই দেখা যায় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে রাতুলের স্পিরিটকে সম্মান করি।
আমার জানামতে, আরিফ জেবতিক ভাই বিএনপির ওল্ড স্কুল পলিটিক্স করে আসা লোক। কিন্ত বিগত আওয়ামী টার্মের পুরোটাই আওয়ামীরাজনীতির লোকদের সখ্য ঘিরেই নিজের রাজনীতিটা করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত উনার বুদ্ধিজীবিতা শুধু বিএনপির জন্য সেটা জোরেশোরে দেখতে পাওয়া যায়নি তেমন একটা। যেমনটা জিয়া হাসানের ক্ষেত্রে স্পষ্ট দেখেছি। তবে বিভিন্ন থ্রেডের কমেন্টে উনার তীব্র মন্তব্য পরিলক্ষিত হয় যা বিএনপির পক্ষেই যায়। যদি বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় অ্যাপিয়ার করে আর উনি বিম্পি বুদ্ধিজীবিতার প্রমিনেন্ট স্টেক হয়ে যান তাহলে ব্যাপারটা ‘জিতছি রে ভাই জিতছি’ হবে পুরাটাই।
স্নেহের ছোটভাই সাদিক মাহবুব খুবই স্পষ্টত বিএনপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পক্ষের লোক। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনাও আমার কাছে ভালো লাগে। সে একজন উদীয়মান হিসেবে ভালো লিখছে। তার ঘরানার তরুণ ছেলেমেয়েরা যদি বিএনপির বুদ্ধিজীবিতায় আসে অন্তত নাস্তিকদের কতল করা ওয়াজিব বলা ধর্মীয় রাজনীতিক গোষ্ঠীরে ফেইস করা কিছু শূন্য দশকের তরুণ ছেলেমেয়েরে বিএনপির মাঝেই দেখা যাবে। এটা আশাবাদের ব্যাপার।
আর বিএনপির মেইন সিপাহসালার আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদককে সম্ভবত বিএনপি ভুলে গেছে। পাবলিকও খুব একটা খুঁজতেছে না তারে।
ভাসাভাসাভাবে এগুলাই চোখে পড়তেছে এখন পর্যন্ত। যদিও বিএনপি এসব বুদ্ধিজীবিতাকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না। তারা স্থানীয়ভাবে সেই ক্যাডার পলিটিক্সের ভেতর দিয়েই সংঘটিত হচ্ছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকেই নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে।
আর বিএনপির বরপুত্র এত পাপের পরেও তার দেশ নিয়ে সৎ ও উদার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে লেখাটা ভালো লেগেছিল। পরে তো এটাও সরিয়ে ফেলছে ধর্মান্ধ ও উগ্র জাতীয়তাবাদীদের চাপে।
COMMENTS