হালুমহুলুমভালুমবাসা, ব্রাত্য রাইসু! || সুমন রহমান

হালুমহুলুমভালুমবাসা, ব্রাত্য রাইসু! || সুমন রহমান

 

বাঘের সঙ্গে হলো ভালোবাসা শুরু
লাজে মরি ডোরাকাটা, বক্ষ দুরু দুরু!

কে জানে বাঘের মর্জি
আমাকে কি ভালো লাগবে তার?
রাজি কি গরগররাজি
করিলে সংহার —

যদি আমি মরে যাই
বেঁচেবর্তে তরে যাই
এ ভবসংসার —

বাঘের দেখা কি আর পাবো, এ জীবনে?
পাবো না তো!

বাঘেরই সঙ্গে তবু ভাব হবে
এ ঘোর মণ্ডলে
আমি একা একাকিনী

বাঘের বাঘিনী

হবো, আর বসে রবো বাঘেরই কারণে
দূরে দূরে
বাঘ কি তা বুঝতে পারবে?
নাকি ভুল বুঝবে আমাকে? বাঘ
বুঝবে আমাকে?
(ব্রাত্য রাইসু, হালুমহুলুমভালুমবাসা : লাভ ইন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট)

তত্ত্বপ্রধান কবিতার একটা বড় সমস্যা হইল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পোয়েট্রি থিওরির কাছে মাইনর হৈয়া থাকে। এমনকি কোনো-একটি কাব্যিক ন্যারেশনে তত্ত্ব ও কাব্য যদি সমান সমানও হয়, একটা মহা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্রাত্য রাইসুর এই কবিতাটি আমাকে বহুবছর ধরে ভাবাচ্ছে। আমি আমার জানা কোনো তত্ত্বের কাছে এই কবিতাটিকে ম্লান করতে পারি নাই। অবশ্য আমার তত্ত্বজ্ঞান সীমিত। হয়তো আছে কোনো সুগভীর তত্ত্বচিন্তা কোথাও, যার মারফত এই কবিতাটির উৎস ও গন্তব্য নিয়ে একটি অভিভাবকসুলভ গদ্য লেখা সম্ভব হয়ে উঠবে। কিন্তু আমার সীমিত জ্ঞানে আজো তার দেখা পাই নাই।


গানপারে ব্রাত্য রাইসু
সুমন রহমান রচনারাশি
আরও দ্রষ্টব্য
নব্বইয়ের কবি, নব্বইয়ের কবিতা
আশির কবি, আশির কবিতা

Support us with a click. Your click helps our cause. Thank you!

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you