একটা কাজ শুরু করে শেষপর্যন্ত সুষ্ঠু সম্পাদন করা আমার ধাতেই নাই যেন। সত্যি বলতে এইটা হয়েছে আমার মধ্যে ডিসিপ্লিনের অভাব থাকায়। আমি সম্ভবত বাপমায়ের বখে-যাওয়া সন্তান যার ভিতরে একটা নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা থাকিয়া যায় এবং সেই কারণেই সে সুস্থির কিছুই সমাধা করে উঠতে পারে না।
আসলে, সত্যি বলতে কি, দরকার হলে আমি ঠিকই কাজটা করে ফেলতে পারি, কিন্তু আমার মধ্যে বেয়াড়া একটা ব্যাপার কাজ করে যে একদম অন্তিম মুহূর্ত না আসা অব্দি আমি নিজেকে কাজের মধ্যে নিতেই পারি না। আমার মধ্যে সেই বখে-যাওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আছে মেয়েবেলা থেকেই। ইন-ফ্যাক্ট, প্রচণ্ড প্রেশারের মধ্যে অনেকসময় কাজটা আশাতিরিক্ত ভালো হয়ে যায়।
মানুষের ভিড় আজকাল আমার জন্যে ব্যাপক পীড়াদায়ক একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এই ভিড়বাট্টায় আমাকে মাথা নিচাইয়া মাটির দিকে চোখ রেখে রাস্তা পারাইতে হয়। এখনও আমার ভিতরের মানুষটা চায় মাথা উঁচাইয়া পথচারী অচিনা মানুষের চোখে চোখ রেখে একটা হাসি বিনিময়ের মধ্য দিয়া রাস্তায় হাঁটতে।
আমি মনে করি তুমি যা-কিছু করতে চাও, কর্মসম্পাদনে যেভাবে এবং যখনই লিপ্ত হও তুমি, পরিশ্রমের বিকল্প নাই। বিগত বছর-দশ আমায় ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়েছে ক্যারিয়ারের জন্যে। এবং এখন বলতে পারি যে কঠোর পরিশ্রম কখনো শূন্যহাতে ফেরায় না। আর এই কথাটা শুনতে ক্লিশে শোনালেও কথাটা বাস্তবিকই সত্যি।
গুরুত্বপূর্ণ কোনোকিছু করতে চাও যদি তাইলে তোমায় সক্রিয় হতে হবে। এইভাবেই পৃথিবীতে পরিবর্তন নিয়া আসতে পারো তুমি।
বাবা আমায় শিখিয়েছে যে কেউ যদি তোমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ইশকুলছুটির পরে মারদাঙ্গা মল্লযুদ্ধের, তুমি তাদেরে উল্টা আওয়াজ দিও যে তোমার তর সইছে না, পিটাইয়া পাছার ছাল তুলে ফেলবে এক্ষুনি এমন উত্তেজনা তাদেরে দেখাও মল্লযুদ্ধের আগেই। এই কনফিডেন্স খুব কার্যকর।
ব্যাঙ দেখলেই চুমাইতে মন চায় আমার। ব্যাঙ থেকে কান্তিমান রাজকুমার বেরিয়ে আসবে কি না তা জানি না কিন্তু ব্যাঙ দেখলেই মুখের কাছে এনে চুমাইতে ব্যগ্র হয়ে উঠি আমি। আমি ব্যাঙ ভালোবাসি।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- শৈলিন উডলির কথাগুলি (৭) - August 11, 2019
- কেইটের কথাবাত্রা (১০) - July 25, 2019
- টিল্ডা টোল্ড (২) - May 12, 2019
COMMENTS