কোক ও তার ক্ষমতা || আনম্য ফারহান

কোক ও তার ক্ষমতা || আনম্য ফারহান

কোক তার ব্র্যান্ড প্রটেকশনে ঠিক যেই কাজটা করার কথা সেইটাই করছে।

তবে যেইটা খুব ফক্সি হইছে, সেইটা হইল, ‘ফিলিস্তিনেই কোকের ফ্যাক্টরি আছে’। দ্যাটস দ্য ফাইনেস্ট আর্ট অব মার্কেটিং।

বাংলাদেশের মতো মার্কেটে, কনজ্যুমার ট্রেন্ড যতই তার ইয়াঙ্গার কোনো অংশকে ধইরা রাখার ব্র্যান্ড লয়্যালটি গেইমে ঢোকে, তখন কালচার এবং তার ইমোশনাল অংশকে ওউন করার মানসিকতার পাশাপাশি একসময় তার মনস্তত্ত্বের চাহিদা পূরণ করার দিকেও যায়। এইটা একটা ফিল-গুড ভ্যালিডেশানের আর্জ। তাই সফিস্টিকেশনও বলতে পারেন এইটাকে।

ব্র্যান্ডগুলি তার কর্পোরেশনের অভিভাবকত্বে (পড়ুন রাষ্ট্র নামক কর্পোরেশন) সাম্রাজ্যবিস্তারী কাজ আগাইয়া নেওয়ার ভূমিকা পালনে সমাজ-সংস্কৃতির অংশ হইয়া উইঠা এই কাজ করার অভিনয় করে। কারণ এইটাই তার লক্ষ্য।

বাংলাদেশে এই এক্সট্রিম অবস্থা অ্যাপ্লাই করা ছাড়া কোকা-কোলা আর কি করতে পারত বইলা মনে করেন?

মিডিয়া এবং অ্যাজেন্সিকে তো সে তার চাকরি করাইতে পারতেছে। যেহেতু টাকা ঢালার অবস্থায় সে আছে। এবং সফিস্টিকেশন দেওয়ার ব্যবসাও তার প্রতিষ্ঠিত।

সুতরাং নতুন সফিস্টিকেশন ঢালার দরকার। সেই স্টেইক সে টাইমলি ঢালল।

ভারতেও মোদি সরকার বসলেন। আর ‘কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের’ এমডি ময়নাক অরোরা হইতেছেন ভারতের মানুষ। তার আগে দীর্ঘসময় ‘হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেসের’ বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন। শ্রীলঙ্কাতেও ছিলেন।

তো, কালচাররে ঘিইরা যেই রাজনীতি এবং ব্যবসায়-নীতি; তা সবসময়ই ক্ষমতা-সম্বন্ধ। তাই তার মার্কেটিংও।

ভোক্তার বয়কটক্ষমতাকে নতুন ক্ষমতা হিসাবে চিহ্নিত করতে চাইতেছি আমরা, কিন্তু, সেই স্বদেশি আন্দোলনের আমল থেকেই পণ্য এবং তার সাম্রাজ্যবাদী চেহারা আজকে পর্যন্ত আইসা এই পরিক্রমায় যেই নতুন ক্ষমতায় দাঁড়াইছে, অবশ্যই তার সারভাইভাল মেকানিজমের ম্যানিপুলেশনের অংশ হিসাবে; তাতে মিডিয়া/অ্যাজেন্সিবাহিত নতুন ক্ষমতাই কাউন্টার পলিটিক্সটা দাঁড় করাইতেছে।

তো আমাদের, আম-জনতাদের কাছেও তো আছে নতুন ক্ষমতা। নতুন মিডিয়ার ব্যবহার আমাদের প্রায় ওইটারই সমান্তরাল। তার সদ্ব্যবহার আমরা করতেছি কি না তা ভাবা দরকার।

১০/০৬/২০২৪

গানপারে কোক
আনম্য ফারহান রচনারাশি

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you