দোল ও দীপিকা : আবহমান মানুষবংশ || অসীম চক্রবর্তী

দোল ও দীপিকা : আবহমান মানুষবংশ || অসীম চক্রবর্তী

উদাস-করা দুপুর আর প্রহর-শেষের-আলোয়-রাঙা বাসন্তী সন্ধ্যায় উঠতি বাঙালিদের মন থাকে উত্তেজনাপূর্ণ রহস্যময় অনুভূতিতে ভরপুর। সেই উত্তেজনার বারুদে একটুখানি উস্কানির রঙ দিতে দোল উৎসব ঝাঁপিয়ে পড়ে দখিনা বাতাসের মতো। পাড়ার আড়ুয়া বেবাট ছেলেটাও প্রেমে পড়ে ঝুপ করে। গোধূলির রাঙা আলোয় ছাদের উপরে দখিনা হাওয়া নীরবে সাক্ষী হয়ে যায় চার চক্ষুতে চাওয়ার মাহেন্দ্র ক্ষণের । ক্ষীণমধ্যা শ্যামাঙ্গী গ্রীবা বাঁকিয়ে জানালার পর্দা আলতো সরিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে  বিনিময় করে একঝলকের দৃষ্টি, আর ফেসবুক জামানার তরুণীদের ফিলিংস্ মনখারাপ স্ট্যাটাসে প্রাণ বিসর্জন দেয় হাজারো যুবক। অথবা দোল উৎসবের বাহানায় একচিলতে আবির হাতে প্রেমিকার গণ্ড স্পর্শ করার অভিযান নিশ্চয়ই প্রেমাবেগের আগুনে পূর্ণাহুতির ঘি ঢালে সাড়ম্বরে। অন্যদিকে দোল উৎসবকে ঘিরে রচিত হয়েছে গান, কীর্তন, ঠুমরি, বাংলা সিনেমার গান আর বোম্বের অ্যাটমবোম আইটেম স্যং যা উপমহাদেশের সংগীতকে করেছে সমৃদ্ধ।

উপমহাদেশে বাঙালিদের  দোল আর অবাঙালিদের  হোলি। কথা কিন্তু একই। রঙের উৎসব। বসন্তের মাতাল হাওয়াকে আরও রঙিন করে তুলতেই এই উৎসব। শুরুটা সেই মধ্যযুগীয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন থেকে। দোল মূলত বৈষ্ণব উৎসব। যা আজকে সর্বজনীন থেকে সর্বজনীনতর। ভারতীয় মিথোলোজি অনুসারে দোল উৎসবের শুরুটা সেই দ্বাপর যুগে প্রেমের গুরু শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাধারানী আর তাঁর সখিদের আবির খেলা দিয়ে।  অর্থাৎ শীতের প্রকোপ শেষে হালকা রোমান্টিক দখিনা বাতাসে কেষ্টঠাকুরের সাথে সখিদের আনন্দঘন রং বিনিময় দিয়েই দোলের শুরুটা হয়।  যা হালের দীপিকা পাডুকোনের বালাম পিচকারি হয়ে লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ারে এসে বহুজাতিক উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে।

মধ্যযুগীয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং বৈষ্ণব পদাবলি অনুসারে জানা যায়, ফাল্গুন মাসের ভরা পূর্ণিমায় শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানী সখিদের সাথে নিয়ে মেতেছিলেন ভালোবাসার রঙের উৎসবে। সেই থেকেই শুরু। তবে কৃষ্ণ কি ঘুণাক্ষরেও জানতেন যে তাঁর জন্মের পাঁচহাজার বছর পরে বালাম পিচকারি গানে নেচে নেচে আধুনিক ইয়ো ম্যানরা হ্যাপ্পি হোলি বলে রঙ মেখে সেল্ফি মেরে ইন্সটাতে পোস্টাবে ? তবে যা-ই বলি না কেন হোলি বিষয়কে উপজীব্য করে আমরা যে গানগুলো পেয়েছি, যে অনুভূতি পেয়েছি, বিশ্বব্যাপী রঙ ছড়িয়ে দেওয়ার যে উপলক্ষ পেয়েছি তাতে কেষ্টঠাকুরকে ধন্যবাদ না দিলে নিমকহারামি হবে বৈকি।

বাঙালি হিন্দুদের জন্য ফাল্গুনী পূর্ণিমা শুধুই প্রেমের জন্য নয় অন্য একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো এই দিনই মানবতা এবং মানবিকতার অগ্রদূত শ্রীচৈতন্যদেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শ্রীচৈতন্যদেবের দিদিমার বাড়ি আমার বাড়ির অদূরে ঢাকাদক্ষিণে। সেই হিসাবে বৈষম্যহীনতা এবং হিন্দু জাতিভেদ ট্যাবু ভাঙার অন্যতম প্রতিকৃৎ শ্রীচৈতন্যদেবের প্রতি দুর্বলতা রয়েছেই। রয়েছে গোটা চৈত্রমাস জুড়ে ঢাকাদক্ষিণস্থ চৈতন্যদেবের জন্মোৎসবের মেলায় কাটানো শৈশবের বর্ণিল স্মৃতি। সেই হিসাবে ফাল্গুনী পূর্ণিমা আমার জন্য ভিন্ন গুরুত্ব বহন করে। অন্যদিকে দোল পূর্ণিমায় আবহমান বাংলার সবচেয়ে বড় মহামিলনের উৎসব কুষ্টিয়ার ছেউঁড়িয়ায় অসাম্প্রদায়িক বাউল সাধক ফকির লালন সাঁইজির আশ্রমে চলে হোলির রং আর দেহতাত্বিক বাউল গানের মিলনে অসাম্প্রদায়িকতা আর বৈষম্যহীনতার সাংগীতিক মহাযজ্ঞ। বাউলরা পুরো  শুক্লপক্ষ  জুড়ে অহর্নিশ বাউল দর্শনে ডুবে থেকে জাগতিক কাম-ক্রোধের উর্ধ্বে উঠে মানবমুক্তির উপাখ্যান রচনা করেন ।

যা-ই হোক, ফিরে আসি মূল বক্তব্যে। আটপৌরে বাঙালি হিন্দু গৃহস্তের বাড়িতে দোল পূর্ণিমায় আয়োজন করা হয় দোল উৎসব। দুপুরে খিচুড়িভোগ আর কেষ্টঠাকুরের পায়ের আবির মাখিয়ে শুরু হয়ে দোলযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা। ছোটরা বড়দের পায়ে আবির ছুঁইয়ে আশীর্বাদ নেয় মাথা পেতে; আর সমবয়সী, প্রিয়তম  অথবা রঙ্গরসের সম্পর্কস্থানীয়দের সাথে আপাদমস্তক আবিরস্নান করে ভালোবাসার রঙে রঙিন করে আবহমান বাংলার বাসন্তী সন্ধ্যা।

কীর্তনের শুরুটা গোধূলির সময়ে আর শেষ হয় রাতদুপুরে। গোলাকার হয়ে বসে গাওয়া হয় ৭ মাত্রার ত্যাওড়া তালে রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, যেখানে কেষ্টঠাকুরের সাথে সখিদের খুনসুটি বর্তমান। দোল উৎসবের দিনে পুরাতন কাপড় পরে কীর্তনিয়া গোল হয়ে বসেন গৃহস্তের উঠোনে । সেদিন থাকে না আবির আর রঙের বাহারে কাপড় নষ্ট হওয়ার অজুহাত। চলে অবিরাম আবির আর রঙের খেলার উৎসব। চলে গান। সনাতন হিন্দুরা আবিরকে ভালোবাসা আর বন্ধনের প্রতীক মনে করেন। তাই তো এখনো বিয়ের সাতপাকের প্রতি পাকে কনে আবির ছিটিয়ে নতুন যুগলজীবনকে বাঁধতে চান ভালোবাসার বন্ধনে। দোলের কীর্তনের অনেক গানের কথাই মনে নেই, তবে একটা গানের কথা হলো এমন যেখানে সখিরা কৃষ্ণের বাঁশিচূড়া কেড়ে নিয়ে তাঁকে রমণী সাজানোর পাঁয়তারা করছে :

নাকের উপরে লাল বেসর দেবো
প্রাণনাথ বন্ধু রে আজি রমণী সাজাবো।
নীলাম্বরী পরাবো, কৃত ধরা খসাবো
নারী হইয়া মোহন বাঁশি আমরা বাজাবো …

আরেক গানে পূর্ণিমা রাতে শ্যামকে নিধুবনে একা পেয়ে সখিরা অদ্ভুত এক হোলিখেলার পাঁয়তারা করছে যা এ সময় শিল্পী পলাশের কণ্ঠে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল, যদিও শিল্পী গানের আদি তালকে বাদ দিয়ে ভিন্ন তালে গানটি উপস্থাপন করেছিলেন, গানটির  কথাগুলো হলো এমন :

ও শ্যাম রে তোমার সনে
একেলা পাইয়াছি রে শ্যাম এই নিধুবনে
আজ হোলি  খেলবো রে শ্যাম।

তবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের বেনারস ঘরানায় যুক্ত হয় এক-ধরনের ঠুমরি যাকে বলা হয় চৈতি। অর্থাৎ চৈত্র দিনের বিচ্ছেদগাথা, যেসব চৈতিতে থাকে বিচ্ছেদবিলাসের রঙ আর মিলনের আকুতি, থাকে বসন্তের রঙের ছটা । আমি নিশ্চিত অনেকেই বেনারস ঘরানার ঠুমরিসম্রাজ্ঞী গিরিজা দেবী, অথবা পূর্ণিমা চৌধুরীর কণ্ঠে শুনেছেন চৈতির ঠমক। অনেকগুলো চৈতির মধ্যে আমার প্রিয় ঠুমরি হলো :

চৈত মাসে চুনারি রাঙা দে রে রামা …

অথবা পন্ডিত ছান্নুলাল যখন দরাজ কণ্ঠে বেনারসি ঠুমরি ধরেন :

রঙ ঢারঙ্গে ঢারঙ্গে রঙ ঢারঙ্গে ঢারঙ্গে
সাবার রঙে লাল কারদুংগি …
নারী বানায়িকে নাচনা চাওগি
তব মৃদঙ্গে  তাল বাজাওজি ….

তখন মনে হয় বসন্তের সব রং তিনি ঢেলে দিচ্ছেন জাগতিক কাম ক্রোধ মোহ আর মাৎসর্যকে ঢেকে দিতে। এইখানেও সখি কর্তৃক কৃষ্ণকে নারী সাজিয়ে নাচানোর ষড়যন্ত্রের আঁচ পাওয়া যায়। এভাবেই প্রান্তিক গৃহস্তের দোল আর বেনারসের ঠুমরি চৈতিসংগীতের অভিন্ন ত্রিবেণী সঙ্গমে মিশে যায় একই স্রোতে।

ঠুমরির ঠমক আর দোলের রঙ উস্কানিমূলকভাবে ছুঁয়েছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। আমরা সবাই ঠাকুরের জন্য গান করি কিন্তু কবিগুরু একমাত্র ঠাকুর যিনি আমাদের অনুভূতি ধারণ করে গান লিখেছেন। গান লিখেছেন দোল উৎসবকে নিয়ে, বসন্তের মাতাল বাতাসের বারতা নিয়ে। শান্তিনিকেতনে প্রাকৃতিক আবহে দোল উৎসব উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন। উদাত্ত আওয়াজে বলেছেন :

ওরে গৃহবাসী, খোল্ দ্বার খোল্
লাগল যে দোল
স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল।
দ্বার খোল্‌, দ্বার খোল্ …

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আহ্বানের সাথে একই সুরে শচীনকর্তার উদাস-করা  সুরে ‘শোনো গো দখিনা হওয়া’ গানের পালে রঙের বাহার ছড়ায় আবহমান বাংলার দোল উৎসব।

হোলির গান নিয়ে কথা বলতে গেলে রাত ভোর হয়ে যাবে মাগার কথা শেষ হবে না। তবে দোল উৎসব নিয়ে ধামাইল আর ঝুমুর গানও কিন্তু রঙের আভা ছড়ায় আবহমান বাংলার প্রান্তরে।

স্পষ্টতই একটা ধামাইল গানের কথা মনে পড়ছে যেখানে বাৎসল্যপ্রেমের তীব্রতা বুঝাতে পদকর্তা লিখেছেন :

হোলিখেলা হইলো রে সুবল চল ফিরিয়া ঘরে যাই
আমার মায়ে বুঝি মনে করে, আমি সঘনে বিষম খাই।
হস্তে লইয়া সর নবনী, ডাকে আমার মা জননী
অস্তে গেলা দিনমনি বিলম্বের আর কার্য নাই …

অর্থাৎ কৃষ্ণ সুবলসখাকে বলছেন : অনেক হোলিখেলা হলো, এবার ঘরে যাবো, মায়ের কাছে যাবো । অর্থাৎ কৃষ্ণ সখিদের সাথে হোলির পার্টি ছেড়ে মায়ের কাছে যেতে চান মায়ের চিরায়ত বাৎসল্যপ্রেমের টানে।

একই সময়ে রাঢ়বঙ্গীয় প্রোষিতভর্তৃকা ঝুমুরের তালে মহুয়ার আবেশে দুঃখভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলছেন :

বসন্ত আসিলো সখি শাইড় শাঁখা নাই রে
আইলো রে পরমা পরব কার সঙ্গে নাচিব রে …

সেইসাথে বাউলপ্রিয় বাংলার এই পুরুলিয়া জেলাতে হোলির সময় ঐতিহ্যবাহী ছো নাচ, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ … এই সমস্ত সংস্কৃতি হোলির আনন্দকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।

এ নিয়ে টলিগঞ্জ সিনেমাপাড়ায় হয়ে গেছে মহা হুলুস্থূল। লেখা হয়েছে অজস্র সংগীত। এর মধ্যে অপর্ণা সেন আর শতাব্দী রায়ের লিপে সেই বিখ্যাত গানটির কথা কি মধ্যবিত্ত বাঙালি ভুলতে পারে ? হ্যাঁ, ‘একান্ত আপন’ ফিল্মের সেই গানটি যার কথা লিখেছিলেন স্বপন চক্রবর্তী, সুর দিলেন আরডি বর্মন আর গাইলেন আশা ভোঁসলে আর কবিতা কৃষ্ণমূর্তি :

খেলবো হোলি / রং দেবো না / তা কি করে হয় …

সেইসাথে ভূমি  ব্যান্ডের সুরজিতের কণ্ঠে মহুয়ার-মাতাল-করা সুরে “ফাগুনী পূর্ণিমা রাতে চল পালিয়ে যাই  …” গানটি নিঃসন্দেহে রোমান্টিক বাঙালিহৃদয়ে নাগরিক যন্ত্রণাকে দু-পায়ে দলে দূরদেশে পালিয়ে যাওয়ার স্বপ্নকে উস্কে দেয়। বাসন্তী পূর্ণিমা রাতে  ফুরচুঙ্গি দেয় ঘরছাড়া বোহেমিয়ান হয়ে পালিয়ে যেতে।

অন্যদিকে নজরুলের ব্রজগোপীরা যখন নবঘন শ্যামের সাথে হোলি খেলে তখন মনে হয় রাধাকে জয় করতে রঙের পিচকারির বিকল্প নেই। হয়তো সেই পিচকারির রেফারেন্সে দীপিকা পাডুকোন চিকন কোমরের ঠুমকায় বালাম পিচকারি দিয়ে হুতাশন বইয়ে দেন অজস্র ভক্তদের। অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চনের দু-হাতের নাচ, দরাজ কণ্ঠ  আর মাতাল-করা তালে ‘সিলসিলে’ ফিল্মের  ‘রঙ বারসে ভিগে  চুনারওয়ালি’ আর ‘শোলে’ ফিল্মের ‘হোলি হ্যায়’ সহ হালের বলিউডের অজস্র গান এনে দেয় হোলির উৎসবময় উদ্যম।

বারো মাসে তেরো পার্বণময় সনাতনী ফ্যাস্টিভ্যালের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে হোলি আমার খুব পছন্দের একটি উৎসব। ভরা বসন্তের মন-কেমন-করা শেষবিকেলে শুরু হওয়া দোলের কীর্তন, হোলির রঙের বাহার, বিচ্ছেদ শেষে রাই-শ্যামের প্রেম , ত্যাওড়া তালের সংগীত আর ঠুমরির ঠমক আমাকে টানে দারুণভাবে।

বেনারস ঘরানার ঠুমরি ‘চৈতি’, সিলেটের ‘ধামাইল’, নজরুলের ‘ব্রজগোপী খেলে হোরি’, মানবেন্দ্র মুখার্জির ‘দোলে দোদুল দোলে দোলনা’  থেকে শুরু করে টালিগঞ্জের বাংলা ফিল্মের গান ভায়া হয়ে বলিউডের ‘বালাম পিচকারি’ আর ‘রাং বারসে ভিগে চুনারিয়া’-র মতো মাতাল-করা ধুম-পিচাক-ধুম রিদম হোলির রঙে ছড়ায় আনন্দের তীব্রতা।

সেই মধ্যযুগীয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং পরবর্তীতে  বৈষ্ণব পদাবলি  থেকে শুরু করে সংগীতের নানা বাঁক বেয়ে হালের বালাম পিচকারি অথবা বাংলার কোনো হতদরিদ্র বস্তিবাসী থেকে শুরু করে ট্রাফালগার স্কয়ার আর টাইম স্কয়ারের বহুজাতিক হোলি উৎসব অর্থাৎ বৈষম্যহীনভাবে দোল হয়ে ওঠে সকল কালের, সকল সময়ের, সকল রঙের মানুষের সম্প্রীতির প্রতীক। সর্বজনীন এই রঙের হোলি দূর করুক বিশ্বজোড়া ধর্মীয় কূপমণ্ডূকতা আর হত্যার রাজনীতি। রঙ লাগুক সকলের প্রাণে, আমার প্রাণে …

রঙ যেন মোর মর্মে লাগে
আমার সকল কর্মে লাগে …
রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও, যাও গো এবার যাবার আগে …

অসীম চক্রবর্তী

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you