সাধ || কাজল দাস

সাধ || কাজল দাস

ছুটির দিনে ভোরে ঘুম থেকে উঠে কুকুর, বিড়াল আর ঘরভর্তি গাছপালা আর একটা রিডিং রুমের অভাব বোধ করি বেশি। ইচ্ছে আছে একটা ঘোড়া পালব। ঘোড়া নিয়ে পাহাড়ের দিকে রওয়ানা দিব ভোর বেলা। আর বিকেলের দিকে ফিরে আসব। সন্ধ্যার পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা। রাতে রেড ওয়াইন।
ব্যাস। এইটুকুই!
এই চাওয়াটা কি খুব বেশি ফ্যান্টাসিনির্ভর?

আমি সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করলে ছুটির দুই দিন তো কুকুর-বিড়ালসঙ্গ নিতেই পারি। গাছপালা পেলেপুষে বড় করতে পারি।
মিনিমালিস্ট লাইফের জন্য এই অ্যাপ্রোচ নট অ্যা বিগ ডিল।

কিন্তু প্রবলেম ইজ দ্যাট ‘অ্যা রুম অব ওয়ানস ঔন’। প্রিয় ভার্জিনিয়া উলফের মতো এটাও আমার যন্ত্রণা।

বাংলাদেশের মতো দেশে পড়াশোনা ও চাকরির প্রতিকূলতা পেরিয়ে একজন তরুণ বা তরুণীর জন্য স্ট্যাবল হয়ে বাড়ি করতে পারাটা খুব চ্যালেঞ্জিং।
আর বর্তমান অবস্থায় আরো বেশি চাপের। অথচ নিজের মতো থাকতে সবার আগে দরকার নিজস্ব থাকার জায়গা। ভাড়া বাড়িতে আপনি কুকুর-বিড়াল পালতে পারবেন না। মালিকের এসব পছন্দ হবে না। বাসা বদলালে গাছপালা সরাতে হবে সেজন্য মনোযোগী হওয়া যায় না।

ঘোড়া রাখার ছোট আস্তাবল কোথায় পাবেন?
ঘোড়া আর কুকুর — এই দুইটা প্রাণি আমার খুব প্রিয়। এরা ঐতিহাসিক প্রাণি। মানবসভ্যতারে এতদূর নিয়ে আসতে এদের অবদান সবচেয়ে বেশি অন্যান্য প্রাণির তুলনায়। আমি এই দুইটার প্রতি খুব দরদ ফিল করি।

আবার টাকা অ্যাফোর্ড করতে করতে আপনি পৌঢ়ত্বের দিকেই চলে যাবেন। যুবক আর তারুণ্যের দীপ্তি মুছে যাবার বেদনায় ভার হয়ে যাবেন।

যারা পূর্বপুরুষের সুবাদে শহরে বা গ্রামে এসব পেয়ে গেছেন বা বাবা-মায়ের পেনশন ভাঙিয়ে আর্লি এইজে নিজের মতো কামরার স্বাদ নিয়ে নিছেন আপনারা ব্লেসড।


কাজল দাস রচনারাশি

COMMENTS

error: