গেল জুম্মার খুতবায় খুব সমসাময়িক একটা বিষয়ের আলোচনা শোনা হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের পোস্ট, ইচ্ছাকৃতভাবে অপরকে তাচ্ছিল্য করা, যাচাই না করে বিষোদ্গার কমেন্ট, ঠাট্টা করে সীমা অতিক্রম, তার সাথে রোজকার জীবনে আমাদের নিজের সত্তার দু-মুখো আচরণ। পরে সেটা পরিষ্কার করে এবং খুব বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বক্তা দেখিয়ে দিলেন, কীভাবে আমরা কে মুনাফিক সেটা খুঁজে খুঁজে বের করি আর নিজেদের মধ্যে তার আলামত আছে কী না সেটা ভাবার ফুরসৎ পাই না।
একটা করে উদাহরণ, যতটুকু মনে আছে :
১. আমানতের খেয়ানত করা : এমনকি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার কাছে একটা আমানত। আপনি নিয়ম মানবেন ধরে নিয়ে আপনাকে দেয়া হয়েছে।
২. কথোপকথনকালে মিথ্যা বলা : এটা আর উদাহরণ দেবার কী আছে!
৩. অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করা : নিজেই নিজের কাছে অনেকবার শপথ করেছেন ওই কাজটা আর করবেন না। তবে করেই যাচ্ছেন।
এবং ৪. বাকবিতণ্ডাকালে বাজে কথা বলা : জিহ্বা হয়তো সবসময় চালাচ্ছেন না, কিন্তু ফোনে সারাদিনই আছেন কমেন্ট টাইপ করতে।
খুতবার মূল কথা ছিল : সবার মধ্যে এগুলো থাকবে। অন্যের মধ্যে খুঁজে না বেড়িয়ে এবং নিজের ডিফেন্সে না গিয়ে বরং আগে আপনি নিজের মধ্যে দেখেন, এইগুলা আছে কী না। থাকলে মেনে নিন এবং এর উপর কাজ করুন। এতে এক ধরনের শান্তি পাবেন।
কে চায় মুনাফিক তকমা নিয়ে মরতে …
- ফেঁসে-যাওয়া ফিতায় ফিলিংস ও নগরবাউল দিনগুলি || ইলিয়াস কমল - October 3, 2023
- চন্দ্রাবতীর পুত্রগণ :: পর্ব ২৬ || শেখ লুৎফর - September 28, 2023
- গ্রাসরুটসের গান, অনিয়মিত অসাহিত্যিক অবদমনাখ্যান ১৩ - September 26, 2023
COMMENTS