সেল্ফরে এক্সপ্লেইন করা যায় না আসলে। একটা ধুলার কণার ভিতর দিয়া পুরা দুনিয়া দেখতে পারেন আপনি (কাব্য না এইটা, পসিবল); কিন্তু ধুলার কণা যে কি জিনিস সেইটা বলতে পারবেন না। এইটা-ওইটা বইলা বুঝাইতে হইব যে, বাতাসে ওড়ে জিনিসটা, খালি চোখে এমনিতে দেখাও যায় না ঠিকমতো … মানে, ধুলার কণা হইল একটা আমার-দেখা ধূলিকণা, টায়ারিংই এইরকম বলতে চাওয়াটা। এইরকমের একটা ঝামেলা আছে ডেক্সটারের সেকেন্ড সিজনের কাহিনিটাতে।
নিজের ভাইরে খুন কইরা ঝামেলাতে আছে সে। খুন করতে পারে না আর। গার্লফ্রেন্ডের এক্স-হাজব্যান্ডরে জেলে পাঠানোর ঘটনাটাতে ধরা খাইয়া সত্যি কথা বলতে হয়। বইলা বিপদ আরো বাড়ে। সেল্ফ বইলা একটা বালছাল রিভিল হইতে শুরু করে। আর যখন সেল্ফ বইলা একটাকিছুরে ভাবতে পারতেছেন আপনি তখন আদার-এর অ্যাডভাইস নিতে হয়। আদাররেই আপনি সেল্ফ ভাইবা বসেন ভুল কইরা, চাইতে থাকেন তারে; একটা সময় পরে বোঝা যায় আদারের ডিজায়ারটাই আদার। আদারও আসলে সেল্ফই আরেকটা। তখন সে তার ইমাজিনেশনের কাছে ফেরত আসতে পারে আবার। এইসব ভগিচগি করতে গিয়া খুনের ব্যাপারটাই মাইনর হয়া যায়। খুন করাটা কি ভালো, না খারাপ? কিসের বেসিসে সিরিয়াল কিলার হইব আমরা? – এইসব নিয়া আজাইরা ফিলোসফিক্যাল প্যাঁচাল।
ডেব্রারও ঝামেলা। লাভ যে একটা ইন্টেলেকচুয়াল অ্যাক্ট সেইটা বুঝতে পারে শে শোঁপার মিউজিক শুইনা। বোঝে যে, ইয়াং হইলেই হয় না, এক্সাইটমেন্ট ক্রিয়েট করতে পারতে হয়। যেইটা আসে একটা অনির্দিষ্টতা থিকা। বুইড়া বস অবশ্য একবার কাঁচাইয়া ফেলে এইটা বইলা যে, কেইস শেষ হইলেই তো অরা আর একলগে থাকতে পারব না। পরে ঠিক ম্যানেজ কইরা ফেলে না, বরং ডেব্রা ম্যানেজড হইতে রাজি হয় যে, কেইসটা শেষ হইলে কি হবে, সেইটা তো শেষ হওয়ার পরেই ভাবব অরা। মানে, ভাইবা রাখছেন আগেই, বুঝতেও পারতেছেন, বলতেছেন না – এইটা হইল প্রেম। যদিও স্পষ্ট না, তারপরও এইটা মনেহয় সন্দেহ করাই যাইতেছিল যে, কেইস সল্ভ করার লাইগাই উনি খালি এক টাউন থিকা আরেক টাউনে ঘুইরা বেড়ান নাকি এইরকম কাজেকামে বিজি থাকাটা তারে একটা রিলেশনে ঝুইলা না থাকতেই হেল্প করে মেইনলি?
ল্যাফটেনেন্টের কাহিনিটা হইতেছে সবচে ছোট আর মজার, যেমনে শে তার কম্পিটিটররে তার পজিশন থিকা আউট করে। তারপরে দেখা যায়, ওই বেটির বয়ফ্রেন্ডের লগে শে শুইয়া আছে। বয়ফ্রেন্ডটা তো মহাখুশি, যেহেতু সে তার কথামতো কাজ করছে, এখন তো তারা একসাথে থাকতে পারবে, কোনো ঝামেলা ছাড়াই। এইটাতে মারিয়া যখন রাজি হয় না, তখন পোলাটা তার সততা নিয়া গজগজ করে, তারে ক্যারিয়ারিস্ট বইলা গাইল দেয় আর তখন মারিয়ার ঘটনাটা টের পাওয়া যায়। যেই শুয়োরের বাচ্চা তারে পাওয়ার লাইগা একজনের লগে ভান করতে পারছে, সে আবার সততার কথা কইতে আসছে! সে তো পয়লাই ফেইল মারছে।
তবে ডেক্সটারের ঘটনাটাই সবচে বাজে আসলে। সে ভুল কইরা ভাবে যে একটা ফিলিংস আরেকটা ফিলিংস দিয়া রিপ্লেসেবল। কিন্তু এইটা কখনোই না। যারে অনলাইন সেক্সের ফিলিংসে পাইছে, সে একশ একজনের সাথে সেইটাই করার ট্রাই করব আনটিল এরচে বড় কোনো অ্যাডিকশন সে খুঁইজা না পায়। লায়লার অ্যাডিকশন ইমোশনাল ড্যামেজে, একবার সে খুন পর্যন্ত গেছিল; আর একবার যেহেতু গেছিল, কোনো-না-কোনো ছুঁতা ধইরা আবারও শে যাবে – ডেক্সটারও এইটা জানে, কিন্তু টাইম দেয় আসলে। কারণ ইনোসেন্টরে সে খুন করতে পারে না। লায়লা ভাবতে পারে খুন কইরা শে ইনোসেন্ট হইতে পারতেছে। কিন্তু ডেক্সটার জানে, খুন কইরা ইনোসেন্ট হওয়া যায় না, বরং ইনোসেন্টরে বাঁচানোর লাইগা খুন করাটা জায়েজ আছে।
মাঝখান দিয়া জেমস ডোগস খামাখা ধরাটা খায়; কারণ সে ভাবে যে সে খুন করতেছে না; আইন রক্ষা করতেছে। কী রকম ফানি একটা ব্যাপার!
… …
- এন্ড্রু কিশোর আর ক্যাসেটে বন্দী আমাদের গানের জীবন || ইমরুল হাসান - July 22, 2020
- বাংলাদেশি সিনেমা : অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি ১ || ইমরুল হাসান - July 15, 2020
- আবারও কবিতার নয়া বই || ইমরুল হাসান - September 14, 2019
COMMENTS