ফোক ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথমেই শুনলাম দেশের ‘বাউলা’ ব্যান্ডের সংযোজন –
“একটা চিল্কা বাতাস লাইগা কানে আদর দিয়া যায়…”
এমনকি তাদের “রবে না এ ধন, জীবন ও যৌবন” গানটার উপস্থাপনাও খুব ভালো ছিল।
এ দলের প্রধান ভোক্যাল প্রকাশ প্রাণখোলা গান করেন, দেশীয় সুরের ধূন আর পাশ্চাত্যের ফিউশন মিলিয়ে বাউলার প্রত্যেকটি গান গভীর মনোযোগে শোনার মতো। তাদের গিটার, করতাল, ঢোল, বাঁশীর সমন্বয়ে বিভিন্ন যন্ত্রের সংগতও বেশ শ্রুতিমধুর।
নেপালী ব্যান্ডদল ‘কুটুম্বা’ – তাদের যন্ত্রসংগীতে দেশজ টান আর ব্যাপক সুরছররায় দর্শকদের একেবারে চমকে দিয়েছে। তাদের নেপালী ইন্সট্রুমেন্ট থেকে ‘রেসাম ফিরি রে’ সহ ঝর্ণার কলধ্বনিত কত সুর বেরোলো! দর্শকও মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উন্মাতাল হয়ে খানিকটা নাচলো … এনজয় করেছি দারুণভাবে।
শেষে, দেখা হলো নুরান সিস্টার্সদের সাথে!!!
এমন গায়কী, গানের এমন টান, গমক-ঠমক, অনায়াসে আল্লার কাছে, মুর্শিদের কাছে অবনত হয়ে এমন বন্দনা সহজিয়া গানের মাধ্যমে কোথায়, কে করতে পারে!
… …
- ফোক ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে || সেঁজুতি বড়ুয়া - November 12, 2017
COMMENTS