এমিলি মর্টিমার উক্তিনিচয় (৫)

এমিলি মর্টিমার উক্তিনিচয় (৫)

প্রেম নিয়া বা প্রেম ছুইটা যাবার ভয় নিয়া ব্যতিব্যস্ত হবার কোনো কারণ ঘটলেই জিমে দৌড়াই আমি। জিম্নেশিয়্যামে যায়া রানিং মেশিনে চেপে কয়েক মাইল ছুটাছুটি করার সময় কিড রকের ভিডিয়োগুলা ধুমায়া দেখি। চিন্তামুক্ত হয়া বাদের দিন থেকে বেদম জীবনযাপন শুরু করি আবার।

কিছু লোকেরে দেখি জীবন্ত হয়া উঠতে থাকে রাইত ঘনাইলে। এরা রাইতজাগা মানুষ। আমি তো নয়টা বাজতেই নাই হয়া যাই। কফি-ক্যাডবারি দিয়া ধরেন যে আরও বড়জোর আধঘণ্টা আমারে রাখতে পারবেন। দশটা বাজবার বহু আগেই আমি ঘুমের অতল সমুদ্রে তলায়া যাইতে থাকি। প্রায়দিন আমি বাসায় ফিরে বেশভূষা পাল্টাইবার আগেই নিন্দসমুদ্রে ভেসে যাই।

লুকায়া রাখা ব্যাপারগুলা আমাদের সবার জীবনেই আছে, এইটা আমাদের রোজকার পরা কাপড়জামার মতোই। ঠিক একইভাবে বেবাকেই কিছু-না-কিছু দোষঘাট করে রোজ, এইটাও পোশাকআশাকের মতোই জীবনে জড়িত।

নাটক-সিনেমা আমরা যখন হ্যলে দেখতে যাই, ব্রিলিয়্যান্ট হয় বিষয়টা। আমরা যাব-না যাব-না করতে করতে যাই, গিয়া হ্যলে ঢুকি, নিজেরে ঠেলেঠুলে ভেতরে যেয়ে চেয়ারে যেন জোর করেই নিজেরে বসাই, জীবন নিয়া ভাববার থোড়া চান্স পাওয়া যায় সিনেমায়-থিয়েটারে যেয়ে। এই সিনেমাযাত্রার ব্যাপারটাকে একদম ধর্মীয় অনুশাসন-অনুষ্ঠানের মতো করে নিতে পারে যে-কেউ যদি জীবন নিয়া ভাবনাচিন্তা থাকে তার।

আমি সম্ভবত এখনও লুকালুকি খেলায় মাতিয়া থাকা বাচ্চা মেয়েদের মতোই নিজেরে ভাবতে ভালোবাসি।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you