কথাকাহন : এমা থম্পসন (৩)

কথাকাহন : এমা থম্পসন (৩)

কেউ যখন বলে যে আমারে সুন্দর দেখাচ্ছে, ব্যাপারটা শুনতে ভাল্লাগে না আমার। কেননা আমারে সুন্দর দেখানোর পিছনে আমার তো কোনো হাত নাই। জিনিশটা আমার কোনো অর্জিত গুণও তো নয়। কাজেই জিনিশটাকে আমি প্রশংসা হিশেবে নিতে নারাজ, বরঞ্চ বিরক্তই হই আমি।

নারীরা বাইরে বেরিয়ে যেসব কাজকর্ম করতে চায় তাদের জীবিকার তাগিদে, স্রেফ গ্রাসাচ্ছাদন আর অল্প দুয়েকটা সাধাহ্লাদ পূরণের জন্যে যেটুকু করেকম্মে যেতে চায় নির্বিঘ্নে এই সমাজে, তা যদি তুমি তারে করতে না দিতে চাও তো ভালো কথা, তারে তার যা যা খাইতে মন চায় খাইতে দাও, যা যা পরতে মন চায় পরতে দাও, অবশ্যই তুমি তার মাথার উপরে শক্ত আচ্ছাদনের ছাদখানা দাও, এবং দাও আরও যা যা লাগে তার মৌলিক মানবাধিকার। যদি না পারো, তয় তার নিজেরটা সামলাতে দাও তারে। তুমি খামাখা ঢাল-তলোয়ারছাড়া নিধিরামগিরি করতে এসো না। খাওয়াইবার মুরদ নাই কিলাইবার গোঁসাই।

বস্তুত, বৈধানিক ও ধারাবাহিক প্যারেন্টিং জিনিশটা আমাদের চারপাশে দেখে যাওয়া আমার অনেকদিনের স্বপ্ন বলতে পারি। শিশুসন্তানদেরে লালনপালনে কোনো জাজমেন্ট নয়, দিতে হবে তাদেরে শেখার জন্য প্রচুর স্পেইস এবং শুনতে হবে পিচ্চিকাচ্চিগুলারা যা বলে বা যা যা তারা বলতে চায় তা যেন তাদেরে নির্ভয়ে বলতে দেই, ব্ব্যস, এইটুকু লক্ষ্য আমার, আর কিছু না।

স্বভাবের সবচেয়ে বদ বৈশিষ্ট্যটা হচ্ছে আমার অধৈর্য। খুব অল্পতেই ধৈর্যহারা হয়ে পড়ি আমি।

আপনার বা আমার পার্মিশনের পরোয়া না করেই ইয়াং জেনারেশন তাদের যৌনক্ষুধা নিবারণে একে অন্যের লগে মিলিত হবে এইটা ফ্যাক্ট।

জরুরি ছিল পরিবারের সবাই মিলে একবৈঠকে বসে দেখতে পারে এবং দেখে আনন্দ পায় এমন অনেক বিনোদনসম্ভার তৈরি করা, আমরা তা আর করতে পারছি কই?

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: