ফেইক্ ম্যুন্

ফেইক্ ম্যুন্

ঐশ্বর্যা আপনার ফেব্রিট অ্যাক্ট্রেস্ হলে এই নিবন্ধ পড়বেন না আপনি, প্লিজ্; ঠিক আছে? এমনিতে অ্যাশের মার্কেট তো ডাউন অনেক বছর হয়, আপের ছিঁটাফোঁটা আলামতও বোধহয় নাই আর। বয়সের খোঁটা দিতেসি না, অত অভব্য অত নির্মম হলে ক্যামন দেখায়। অ্যাক্টিং নয় শুধু, কোনো কাজেই বয়স ফ্যাক্টর হলেও অন্তরায় হতে পারে না। আল্লার দুনিয়ায় বয়স্ক অথচ দর্শকনন্দিতা নায়িকা তো অঙ্গুলিমেয় নয়। ম্যালা আছেন এমন। ঐশ্বর্যার সমস্যা আলগ। উনি নিজেরে বয়সোচিত পরিবর্তনের লগে অ্যাডপ্ট করাইতে পারেন নাই। ফিল্মি নায়িকা বা নায়কদের এইটা সাধারণ সমস্যা। মাধুরিজিরও সমস্যা প্রায় একই। একই সমস্যার ক্রনিক আরেক প্যাশেন্ট যেমন আমাদের জয়া আহসান। এইগুলা চাপা থাকে না। তাইলে এত লুকাছাপার মানেটা কি?

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে অ্যাশ অভিনয়টাও করতে পারলেন না পুরাপুরি। কিন্তু করলেন তো অনেককিছুই। বিবেক থেকে সল্লু হয়ে অভি। জীবন চলিয়া গেল কুড়ি কুড়ি বছরের পার, অ্যাশের অভিনয়টা আর হলো না। লাল গালিচায় গেলেন বছর বছর, উনার ক্লিভেজ প্রচুর এক্সপোজার পেলো, ডিজাইনার্স ড্রেস লেহেঙ্গা ইত্যাদি ধাঁধালো দুনিয়ার বহু চউখ, উনার কোনো ম্যুভিরে একটা কান-পাম-অস্কার পাইতে দেখলাম না। দাদাসাহেব বা ফিল্মফেয়ারের নসিব কি হয়েছিল? খবর রাখি না। তারপরও উনি সেলেব উহাতে ডাউট অল্প। বড় শ্বশুরের পুত্রবধু। উনি হিরোয়িন। কথা মিছা না।

তা, ঋতু তো নিয়েছিলেন। রেইনকোটে। চোখের বালিতে। সেই মাখন পিঠের মেদুর ব্যাকভিয়্যু ভুলেছে কে? এবং উনার হাইট ইম্প্রেসিভ। খুবই। কিন্তু তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকলে সেইটা রাবীন্দ্রিক পদ্যে প্রশংসনীয়। ম্যুভিস্ক্রিনে কেবল উচ্চতায় পেট ভরে না। মাখন পিঠেও না। তাইলে উপায়? অ্যাশ তো ভুবনবিউটি হিশেবে খ্যাত। সুস্মিতা সেন যেমন। ভুবনবিউটি দিয়া আমি কি খাবো? টকঝাল খাট্টা?

আমারও মনে হয় যে এইসব হাইলি সিন্থ্যাটিক্ অ্যালিগ্যান্সের ম্যান্যুফ্যাকচ্যারার বিউটি কন্টেস্টগুলো ডুয়ার্ফ বানিয়ে ফেলে মানুষকে, এলিগ্যান্ট ডুয়ার্ফ; সে তখন ওড়ে ঠিকই, কিন্তু তার পাখা পরিশ্রান্ত হয় না, পাখসাটে স্বেদবিন্দু ঝরে না তার শিশিরের মতো। মনে হয় এইসব।

অনেক পরে যেয়ে একসময় বিউটি কন্টেস্ট নিয়া নানান লেখাপত্রে দেখি, কী ভীষণ স্যুপারফিশিয়্যাল্ সোহবত রক্তে ইঞ্জেক্ট করে দেবার মহাব্যবস্থার সংস্থান এই বিউটি-বিজ্যায়ার কন্টেস্ট টেন্টগুলো! সুস্যান রাঙ্কল নামে একজনের লেখা বাংলায় পেয়েছিলাম সেলিম রেজা নিউটনের অনুবাদে এই বিউটি-ইন্ডাস্ট্রির এলাহি ট্রেইনিং-গ্রুমিং প্রভৃতির পিলে-চমকানো বিবরণ উইথ বিউটিফ্যুল্ ক্রিটিক্। এইটা ছাপা হয়েছিল ২০০৬/৭ নাগাদ কোনো ছোটকাগজে। মেইকিং মিস্ ইন্ডিয়া মিস্ য়্যুনিভার্স, কন্সট্র্যাক্টিং জেন্ডার, পাওয়ার অ্যান্ড ন্যাশন্যাল্ আইডেন্টিটি … ইত্যাদি ছিল রাঙ্কলের রচনার বীক্ষণপয়েন্ট; উনি কালচারাল্ অ্যানথ্রোপোলোজিস্ট, শুরুর দিককার মিস্ ইন্ডিয়া প্রতিযোগের কামারশালার ভিতরে ইনি ট্রেইনিং-ফ্যাসিলিটেইটর হিশেবে ব্যাপৃত ছিলেন একটা পার্টের। ওই লেখাতেই পেয়েছিলাম ক্যাথি ডেভিসের নাম এবং মনুষ্যশরীর-যে একটা ‘কালচারাল্ প্লাস্টিক’ এই বিষয়টাও বুঝতে পেরেছিলাম পরে।

অ্যাশকে, প্রসঙ্গত, একটা বার্বি ডল্ মনে হয়েছে আমার কাছে চিরকাল, সিন্থ্যাটিক্ অ্যান্ড ফেইক্ ম্যুন্, যে কখনো ঘামে না, আর ঘাম নাই তো কামই নাই, সিম্পল্ অ্যাজ্ সাচ্ … অ্যাশ কান্নার সময়ও বোধহয় খেয়াল রাখেন তার ক্রাইড্রপ ইজ্ বিলিয়ন ডলার ডায়মান্ড। কাজেই, উনারে নিয়া তার ভক্তরা থাকুক খোশহাল। অ্যাশ রাই বাচ্চান আর জয়া আহসান উত্তরোত্তর নায়িকা হতে থাকলেও উনাদের বিকাশ তথা বাড়বৃদ্ধি বিশেষ হবে বলে তেমন হোপ নাই।

লেখা : জাহেদ আহমদ

… …

গানপার

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you