আমি বিশ্বাস করি না যে আপনি ভালো করলে প্রতিদানে আপনারও ভালো হবে। দুনিয়ায় সবকিছু খুবই অ্যাক্সিডেন্টাল এবং র্যান্ডোম, সবকিছুই ঘটে দৈবচয়িতভাবে এবং ঘটনাচক্রে। অনেকসময় নেহায়েত ভালোমানুষের নসিবে বেজায় খারাপ যেমন জোটে তেমনি খারাপমানুষের কপালেও প্রচুর ভালো জোটে আপনাআপনিই। কিন্তু কথা সেইটা না, কথা হচ্ছে ভালো কাজ করার মাধ্যমে অ্যাট-লিস্ট এই সন্তুষ্টি পেতে পারেন যে সময়টা আপনি নিছক বাজেখর্চা না করে একটাকিছু অর্থবহ উপায়ে ব্যয় করলেন।
সারাজীবনে এমন কোনো পরিস্থিতি ইয়াদ করতে পারি না যখন আমি কাজ বন্ধ করেছি এবং নিজেকে বলেছি, “শুকরিয়া! আজকে যেহেতু শুক্কুরবার তাইলে একটু গতরটা কাৎ করে বিশ্রাম নেয়া যায়।” কিন্তু উয়িকেন্ডগুলো সত্যি স্পেশ্যাল এমনকি শিডিউলপূর্ণ সপ্তাহ হলেও ছুটিদিনগুলো ছোটাছুটির ফাঁকে একপশলা হাওয়াবাতাসের মতো। মনের ভিতরে একটা আওয়াজ ঠিকই ওঠে যে দ্যাখো উয়িকেন্ড এসেছে হে, একটু ছড়িয়ে বসে আয়েশ করা যায় আজকে।
জীবনের গল্পটা তুমি লিখছ নিজেই নিজের হাতে। এই গল্পের কুশীলব যেমন তুমি তেমনি নির্মাতাও তুমিই। লিখতে যেয়ে কোথায় কি ভুলচুক করছ তুমি বলতে পারো না। কি করবে এবং কি করা থেকে বিরত থাকবে এই সিদ্ধান্তমুহূর্তগুলো সত্যিই ডিফিকাল্ট খুব।
কার্যকর ও সফল বিয়াশাদিগুলো আর কিছু নয় একেকটা পার্টনার্শিপ। পার্টনার্শিপ ছাড়া ভালো বিবাহবন্ধন সম্ভবই না।.
কালক্ষেপণের মধ্যে একফোঁটা ভালোও নাই। কালক্ষেপণ মানেই হচ্ছে কালক্ষেপণ।
প্ল্যাস্টিক জিনিশটা আমার কাছে বেজায় ভীতিকর। প্ল্যাস্টিকব্যাগ আর প্ল্যাস্টিকবোতল এই জিনিশগুলো। শুধু শুধু হোঁৎকা প্ল্যাস্টিকবোতলে কেন আমার সারাদিনের পানিটা রাখব? দুনিয়াজুড়ে প্ল্যাস্টিকের এই পরাক্রম দেখে আমি ভীতসন্ত্রস্ত, সত্যি।
অল্পবয়সে আমরা সবাই ভীষণ বোকা থাকি। কিন্তু বোকা হলেও তখন তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। আমরা একবারও মনে করি না আমরা বোকা, আসলে তো বোকাই। কিন্তু বয়স বাড়াইতে কে চায়? কাজেই আমাদের বোকা থাকাই উচিত।
জীবনের ট্রিকটা আসলে এইখানেই যে আপনি শিখবেন এর সঙ্গে কেমনভাবে আপনি ডিল করবেন।
স্ট্রং শব্দটা লাইক করি না আমি। শক্তসমর্থ শব্দটা নাপসন্দ্ আমার ভীষণরকম। কারণ, দ্যাখেন, অ্যা স্ট্রং ক্যারেক্টার ইজ্ নেভার অ্যান ইন্ট্রেস্টিং ক্যারেক্টার। একটা ক্যারেক্টার তার যাবতীয় দুর্বলতা তার বিপন্নতা তার নাজুক ভঙ্গুরতা ইত্যাদি মিলাইয়াই ইন্ট্রেস্টিং হয় আমাদের কাছে।
যখন তোমার ষোলো, তখন তিরিশ বছর বয়সটাকে তোমার কাছে মনে হয় এক্কেবারে গাওবুড়া। যখন তুমি তিরিশ, তখন পঁয়তাল্লিশটাকে একদম জবুথবু বুড়াহাবড়া লাগে। এরপর যখন তুমি নিজে পঁয়তাল্লিশে পা রাখলা, ষাটের কোঠার লোকগুলারে ভাবলা তারা ব্যাপক প্রৌঢ়। যখন তোমার ষাট, দুনিয়ার কাউরেই আর অত বয়স্ক লাগে না।
আমি নিজের নাকের ব্যাপারে এতটা আত্মবিশ্বাসী নই, আমার হাঁটুজোড়া আমি বিন্দুমাত্র পছন্দ করি না, আমার গোঁড়ালি আর পায়ের ডিম দুইচক্ষে দেখতে পারি না, আমারে পেছন দিক থেকে কেমন দেখায় তা আমি নিশ্চিত নই, নিজের পা দুইখানা আদৌ পছন্দ করি না আমি। চিবুকের কথাটাও বলতে হয়, আমি নিশ্চিত নই আমার চিবুক কতটা মানানসই আমার চেহারার সঙ্গে, আর আমার কপাল তো দেখতে কুত্তার কপালের মতো। তবে, যেইটা বলব, সবকিছু মিলিয়ে আমি নিজেকে নিয়ে মোটামুটি চলতে পারি। এ-ই তো, আর কি চাই?
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- শৈলিন উডলির কথাগুলি (৭) - August 11, 2019
- কেইটের কথাবাত্রা (১০) - July 25, 2019
- টিল্ডা টোল্ড (২) - May 12, 2019
COMMENTS