ক্যান্সার নিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

ক্যান্সার নিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

আমার মা প্রায় একদশক লড়েছেন ক্যান্সারের সঙ্গে এবং মাত্র ছাপ্পান্ন বছর বয়সে ছেড়ে গেছেন আমাদেরে। একদিক থেকে তিনি ভাগ্যবান যে এরই মধ্যে তিনি নাতির মুখ দেখেছেন এবং দুইহাত ভরে নিয়েছেন আত্মজার সন্তান। কিন্তু আমার অন্যান্য সন্তানদের কথা ভেবে মনখারাপ লাগে যে এই ভীষণ মমতাময় নারীটির সঙ্গে তাদের দেখা হলো না, তারা সুযোগই পেলো না আমার মায়ের আদর গায়ে মাখবার।

আমি ডিসিশন নিয়ে ফেললাম দ্রুত যে ক্যান্সারের প্রতিরোধ হিশেবে ডাবল ম্যাস্টেক্টোমি করাব। স্তন দিয়াই শুরু করলাম, যেহেতু আমি জানি যে ব্রেস্টক্যান্সারের রিস্কটা আমার বেশি ওভ্যারিয়্যান ক্যান্সারের তুলনায়। আর সার্জারিটাও অনেক বেশি কমপ্লেক্স।

ক্যান্সার এখনও এমন একটা শব্দ যেইটা মানুষের মনে ভয় ছড়িয়ে দেয় এক-লহমায়, একটা ব্যাপক অসহায়তার জন্ম দ্যায় মানুষের মনে। এই কথাটা আজকে সবাইকে জানানো দরকার যে ক্যান্সার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখন অত ভয় না করেও জয় করা যায়। একটা ব্লাডটেস্টের মাধ্যমে এখন সহজেই ডিটেক্ট করা সম্ভব যে ব্রেস্ট বা ওভ্যারিয়্যান ক্যান্সারের দূরলক্ষণ আপনার শরীরে রয়েছে কি না, আর তারপরে অ্যাকশনে নামবেন দ্বিধা না করে। ব্ব্যাস।

ব্রেস্টক্যান্সার ডেভেল্যপ করার আশঙ্কা আমার ক্ষেত্রে সাতাশি পার্সেন্ট থেকে আমি ঠিকঠাক টাইমে সার্জারির সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পাঁচ পার্সেন্টে নামিয়ে আনতে পেরেছি। এখন আমি আমার বাচ্চাদেরকে ডেকে বলতে পারি যে তাদের আর এই ভয়ে মুষড়ে পড়বার কোনো কারণ নাই যে তাদের মা ব্রেস্টক্যান্সারে মারা যাচ্ছে।

ইংরেজি নিউজপেপারের কয়েকটি রিপোর্ট থেকে চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

বিদিতা গোমেজ

পরের পোষ্ট
আগের পোষ্ট

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you