সাদি মহম্মদ মারা গেছেন। আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার এই ধারণা ভুলও হতে পারে। ভুল হোক এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু সত্য হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। সম্প্রতি মায়ের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সাদি। বিষণ্নতা পেয়ে বসেছিল তাকে। ফলে এই ঘটনা অসম্ভব নয়।
বিষণ্ন হওয়ার মতো আরও অনেক ঘটনা তাঁর জীবনে রয়েছে। তার মধ্যে বাবাকে চোখের সামনে মেরে ফেলা দেখা একটা। সাদি মহম্মদের বাবা ছিলেন সলিমুল্লাহ মহম্মদ। আওয়ামী লীগ নেতা সলিমুল্লাহ সপরিবারে থাকতেন মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের নিজ বাসায়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সাদি মহম্মদের সামনেই তার বাবাকে হত্যা করে মোহাম্মদপুর অঞ্চলের পাকিস্তানিরা। চোখের সামনে পুরো বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। যতদূর জানা যায় বাবার খুনের সেই স্মৃতি সাদির মনে ট্রমার মতো বিঁধেছিল। মোহাম্মদপুরে যে শহিদ সলিমুল্লাহ রোড, এটা সাদি মহম্মদ ও শিবলী মহম্মদের বাবার নামেই নামকরণ করা।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে আমরা তাকে যতই গুরুত্ব ও ভালোবাসা দিয়ে থাকি, রাষ্ট্রীয়ভাবে সাদি মহম্মদ এখনও তেমন কিছুই পাননি। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীতের প্রসারে তারচেয়ে বেশি ভূমিকা আর ক’জনেরই বা রয়েছে সে-প্রশ্ন আসেই! সাংস্কৃতিক জায়গা থেকে এইটা যে কত বড় কাজ এইটা তো বলার অপেক্ষাই নেই।
সাদি মহম্মদের আত্মা শান্তি পাক।
- ১০ কবিতা || হোসনে আরা কামালী - June 26, 2025
- ঘুম ও না-ঘুমের গদ্যলেখা || ফজলুররহমান বাবুল - June 12, 2025
- অবসাদ ও অন্যান্য || জওয়াহের হোসেন - June 11, 2025
COMMENTS