হিমুর হুমায়ূন :: ফজলুল কবির তুহিন || অনুলিখন :: শামস শামীম এবং আ স ম মাসুম  

হিমুর হুমায়ূন :: ফজলুল কবির তুহিন || অনুলিখন :: শামস শামীম এবং আ স ম মাসুম  

ভূমিকার বদলে ।। অপার রহস্যঘেরা ব-দ্বীপের আলোহাওয়ায় বেড়ে-ওঠা এক চরিত্র হিমু। অমর ও নন্দিত কথাকার হুমায়ূন আহমেদ এর স্রষ্টা। আমাদের বাস্তবের হিমুও রহস্যময়; শান্ত শীতল দার্শনিকতায় আচ্ছন্ন তার চৌহদ্দি। কোলাহলেও তার দিনলিপি একাকিত্বের। কাউকে বলা হয় না সেসব কথা। তাই অব্যক্ত সেসব কথা চাঁদের আলোর সড়ক দিয়ে হেঁটে হেঁটে নিজেকেই শোনান। কখনো উড়ন্ত শাদামেঘের ভেলায় চড়ে, ঝমঝম বৃষ্টির সুরে অথবা এক পৃথিবীর অলৌকিক অন্ধকারে বিরহসংগীত হয়ে বাজে সেসব কথা। তিনি যখন বলে ওঠেন হুমায়ূন স্যারের ঘনিষ্ঠজনদের সবাই হিমু, তখন পর্দার হিমুকে বশে আনা আমাদের জন্য কঠিনই বটে!

ফজলুল কবির তুহিন। একজন অসম্ভব মেধাবী অভিনেতা, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের স্নেহ-ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। অভিনয় করেছেন হুমায়ূন আহমেদের ‘আজ রবিবার’ নাটকে হিমু চরিত্রে। পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের স্নেহ ও ভালোবাসা। কাছ থেকে দেখেছেন তাঁকে।

নাট্য ও সংগীতাঙ্গনের প্রতিষ্ঠিত অনেকেই তুহিনের অভিনয় ও সংগীত প্রতিভার বিষয়টি ব্যক্তিগত আড্ডা ও আলাপচারিতায় স্বীকার করেন। স্বভাবে বোহেমিয়ান তিনি এসব নিয়ে বরাবরই চুপচাপ। নিভৃতচারী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। হুমায়ূন আহমেদের সিনেমায় নাটকে গান গেয়েছেন। বন্ধুজনের আড্ডায় রচিত বিভিন্ন গানের তাৎক্ষণিক সুর করে চমকে দিয়েছেন অনেককেই। বিভিন্ন মাধ্যমে নিজে অনেক নাটক পরিচালনা করেছেন। হুমায়ূন আহমদের জনপ্রিয় চরিত্র ‘হিমু’ অভিনয়ের মাধ্যমে কুড়িয়েছেন সুনাম।

চলনে-বলনে চুপচাপ; অথচ আড্ডায় এখনো মধ্যমণি হয়ে ওঠেন তিনি। আমাদের অনুরোধে তিনি ব্যক্তিগত আড্ডায় হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ করেছিলেন। কিন্তু এটা যে অনুলিখন আকারে লেখাবদ্ধ হবে তার জানা ছিল না। তার অজান্তেই বিভিন্ন সময়ের হুমায়ূনবিষয়ক স্মৃতিই ‘হিমুর হুমায়ূন’।

আমাদের কৈশোর ও প্রথম যৌবনে হুমায়ূন আহমেদের হিমুপ্রীতির কারণেও আমাদের এই প্রচেষ্টা। পাঠক ও হুমায়ূনভক্ত অনুরাগীদের কাছে সকল সীমাবদ্ধতা ভুলত্রুটির জন্য আগাম ক্ষমাপ্রার্থী। বিনীত, শামস শামীম এবং আ স ম মাসুম

অধ্যায় ১ ।। আজন্মের হিমুভীতি

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের জনপ্রিয় ও বুদ্ধিদীপ্ত অন্যতম সৃজনশীল চরিত্র হিমু। তরুণ শিক্ষার্থী ও ভবঘুরে তারুণ্যের অনেকেই হিমু উপন্যাসমালা পাঠশেষে নিজের মধ্যে হিমুভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। হিমু হিমু ভাব নেওয়া অনেক বন্ধু ও চেনা স্বজন ছিল আমাদের; চলাফেরা গণ্ডির ভেতরেই। কিন্তু হুমায়ূনঘনিষ্ঠ সবাইও যেন হিমুতে আচ্ছন্ন। চলনে-বলনে বেশভূষায় আমরা তা প্রায়ই লক্ষ করতাম। উপন্যাসের চরিত্র হিমু লজিকবৃত্তের বাইরে গিয়েও সাহিত্যের চেনা জগতে ভিন্ন স্বাদ দিয়ে চলেছে। সাহিত্যের সড়কে বিছিয়ে দিয়েছে মাধুর্য। এ দেশের তরুণ-যুবাদের কাছে অতি পরিচিত ও প্রভাববিস্তারকারী সর্বব্যাপী এ চরিত্রটিতে অভিনয় করবার জন্য স্যার আমাকে বলবেন কখনো ভাবিনি। আগুনের পরশমণির পর তিনি হঠাৎ আমাকে তার জনপ্রিয় নাটক ‘আজ রবিবার’-এ হিমু চরিত্রে অভিনয়ের  সুযোগ দিলেন।

নাটকটি ১৯৯৯ সনে প্রচারিত হয়েছিল। স্যারের সৃজনশীল পরিচালনা ও গল্পের প্রতাপে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায় নাটকটি। উপন্যাসের এ চরিত্রটি আমার ব্যক্তিগত জীবনে ঘাপটি মেরে থাকলেও এ বিশাল চরিত্রে অভিনয় করব এটা কখনোই ভাবিনি। কিন্তু স্যারের ভালোবাসায় শেষমেশ তা-ই হয়েছিল। স্যারের প্রস্তাবে ভয় পেয়ে গেলাম। এর প্রথম কারণ, এমন একটি চরিত্র আমার পক্ষে অভিনয়ে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয় বলেই আমার ধারণা ছিল। এটি মানুষের স্বপ্নের একটি চরিত্র। আমি মানুষের প্রত্যাশা ছুঁতে পারব না আশঙ্কা করছিলাম। আর দ্বিতীয় একটি কারণ ছিল, স্যার ‘আজ রবিবার’-এর আগে একটিমাত্র একপর্বের নাটক তৈরি করেছিলেন হিমু নিয়ে। সেটিতে অভিনয় করেছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। প্রতিভাধর অভিনেতা নূরভাইয়ের করা চরিত্রে আমি কীভাবে বিকল্প হই! বাংলাদেশের অভিনয়কে উচ্চশিখরে রাখতে যে কয়জন অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন এর অন্যতম একজন হলেন নূরভাই। এমন সব ভয়-ভাবনা থেকেই স্যারকে বললাম আমার অপারগতার কথা।

স্যারের কল্যাণেই সদ্য টেলিভিশননাটকে অভিনয়ের উঠোনে পা রাখা; আমার জন্য এ নাটকে হিমু হয়ে অভিনয় করা ছিল চরম রিস্কের বিষয়। যদিও এর আগে কোনো সংকোচ ছাড়াই অবলীলায় আগুনের পরশমণিতে অভিনয় করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু হিমু নিয়ে আমি সত্যিই হিম হয়ে গেলাম। স্যার আমার নার্ভাসনেস বুঝে বললেন, মনে করো তুমি হিমু নও; কিন্তু হিমু হতে চাও। এই ধারণায় আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই অভিনয়টা শুরু করো। বাকিটা আল্লা ভরসা। স্যার অনেককেই ‘আল্লা ভরসা’ বলে অভয় দিতেন। নতুন ও আনকোরা আর্টিস্টদের প্রতি কতটা সংবেদনশীল ছিলেন তা বোঝা যেত তার অভয় ও ভালোবাসায়। তবে হিমুর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া এই আমি স্যারের হাত ধরেই পর্দায় হিমু হব কল্পনায় না থাকলেও বাস্তবে হলো তা-ই। অভিনয়দুর্বলতা, বিরাট এ চরিত্র নিয়ে নানামুখি চিন্তা ইত্যাদি সব মিলিয়ে পর্দায় বিপর্যস্ত হওয়ার কথা থাকলেও স্যারের অভয়, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কুড়িয়েছিলাম দু’হাত ভরে। অভিনয়কালে স্যার খুঁটিনাটি বিষয়গুলোও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। গল্পের হিমুর ভাব ও আবহ ফুটিয়ে তুলতে সবরকম প্রেরণা দিয়েছিলেন তিনি।

হিমু হয়ে নাটকের পথে নামার আগে আমি নিউমার্কেটে একটি দোকানে পাঞ্জাবি বানাতে গেলাম। হলুদ কাপড় পছন্দ করে টেইলারকে পাঞ্জাবি বানানোর অর্ডার দিলাম। হলুদ কাপড়ে পাঞ্জাবি বানানোর কথা শুনে নাক কুঁচকালো টেইলার মাস্টার। বললাম, একটি নাটকে অভিনয় করব এই পোশাক পরে। তখন কারখানার এক টেইলার বলল, ভাই আপনি কি হিমু চরিত্রে অভিনয় করবেন? আমি তার এই প্রশ্নে অবাক হই ও ভয় পেয়ে যাই। কত বিস্তৃত স্যারের এই চরিত্র! মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত, স্কুলপড়ুয়া থেকে কারখানার শ্রমিক, তরুণ রাজনীতিক, উদাসীন ও ভবঘুরে যুবক … কে চিনে না হিমুকে? তারা কল্পনার ডানায় চড়ে হয়তো হিমু হয়ে উড়ালও দিত ভাবনার জগতে।

টেইলারের দোকান থেকে ভয় ও জড়তা নিয়েই বাসায় ফিরি। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি, আমি কি সত্যিই হিমু করতে পারব? এমন নার্ভাসনেস নিয়েই অভিনয়ে নামি। হুমায়ূন আহমেদ মানেই তখন বিশাল কায়কারবার। বিশাল বাজেটের কাজ। নাটকের সেট ফেলা হয় এফডিসির ৪ নাম্বার ফ্লোরে। সেখানে নির্মাণ করা হয় দোতলা বাড়ি, যেটি নাটকে দর্শকরা দেখেছেন। ‘আজ রবিবার’ নাটকের শুভ মহরতে কেক কাটে হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ। নাটকে গানের সিকোয়েন্স দিয়ে হিমুর যাত্রা শুরু হয়েছিল। অভিনয়ের পুরোটা সময়ই ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কতটা হিমু হতে পেরেছিলাম আজো জানি না। সেই জড়তা ও ভয় এখনো আমাকে কুঁকড়ে দেয়। বিষণ্ণতায় হিম হয়ে যাই। খেয়ালি স্যার আমাকে দিয়ে হিমু করাবেনই, এটাই ছিল তার শেষ কথা। শুটিং শেষে স্যার স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেললেও আমি ভয়ে জড়সড় ছিলাম।

স্যার একা কোথাও যেতেন না। সঙ্গে পরিবার, স্বজন, ঘনিষ্ঠজন আর শুটিংয়ের কুশীলবরা থাকতেন। ‘আগুনের পরশমণি’-র পর স্যার সুনামগঞ্জে ১৯৯৬ সনের সেপ্টেম্বর মাসে গিয়েছিলেন। তখন আমাদের বাসায় সদ্যপ্রয়াত আমার আম্মা রফিকা রইছের সঙ্গে স্যারের দেখা হলে এ ছবি নিয়ে কথা বলেন। আম্মা এ ছবিটি দেখেছেন কি না এবং আমার অভিনয় কেমন হয়েছে তার কাছে জানতে চান। আম্মাকে তিনি বলেছিলেন, আপনার তুহিন এই ছবিতে নতুন হয়েও কোনো জড়তা ছাড়াই ভালো অভিনয় করেছে। মায়ের সামনে ছাড়াও ‘আজ রবিবার’-এ হিমুচরিত্রে কাজ করায় অনেক জায়গায় স্যারের সামনেও অনেকে প্রশংসা করেছেন। ওইদিন স্যার আমার প্রয়াত আম্মার সঙ্গে অনেক কথা বলেন। আম্মার হাতের রান্না খেয়ে স্যার অনেক প্রশংসাও করেছিলেন।

হুমায়ূনস্যার দলবল নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন। তার সান্নিধ্যে যারা থাকত তিনি তাদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন নিজের আনন্দেই । সঙ্গীসাথী ছাড়া যেন তিনি অচল। আমার বন্ধু সংগীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আমাকে এভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি বিদেশেও নিয়ে গিয়েছিলেন স্যারের খরচে। সেখানে চুটিয়ে আড্ডার সঙ্গেও তিনি আমার আর সেলিমের গান শুনতেন। আমাদের সিলেট অঞ্চলের লোকগীতির প্রতি তার দুর্বলতা ছিল আজন্ম। পরবর্তীকালে স্যার গান লিখেও নিজের প্রতিভার চমক দেখিয়েছেন আমাদের। নিজের ভেতরেও লালন করেছেন বাউলামি। নাটক, সিনেমা ও কথাসাহিত্যের ক্যানভাসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন আমাদেরে। তার গানগুলো যেন আমাদের বাউলগানেরই সুর ও বাণীর প্রতিনিধিত্ব করছে।

‘আজ রবিবার’-এ হিমুচরিত্রে অভিনয়ের পরে আসাদুজ্জামান নূর ভাইয়ের সঙ্গে একবার জাহিদ ভাইয়ের (জাহিদ হাসান) আমন্ত্রণে সিরাজগঞ্জে গিয়েছিলাম। একটি সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান চলছিল। দেখলাম সবাই হিমুকে চেনে। অনেকে পরিচিত হতে এল। স্যারের সামনে আমি বিব্রত হচ্ছি। সেসময় দেখেছি স্যারের হিমুর প্রতি মানুষ কেমন উচ্ছ্বসিত। সেলিমের মৌলভীবাজারের শমশেরনগরে গিয়েও হিমুখ্যাতির টের পেয়েছিলাম।

এ নাটকে অভিনয় শেষে ও বিটিভিতে প্রচারের পরে আমার জন্মভিটা সুনামগঞ্জে যাওয়ার পর প্রয়াত কবি ও জনপ্রতিনিধি মমিনুল মউজদীন আমাদের শৈশবকৈশোরের বিদ্যালয় সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। স্কুলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই একজন ছাত্র আমাকে দেখে ‘হিমু এসেছে’ বলে জোরে চিৎকার করে ওঠে। সে ক্লাসে গিয়েও চিৎকার করে হিমুর আগমন অন্যদের বলতে লাগল। তার কথায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবাই ক্লাস ফেলে চলে এল স্কুলমাঠে। আমি আবারও বিড়ম্বনায় পড়ে যাই। পরে মউজদীনভাই ছাত্র ও শিক্ষকদের বুঝিয়ে ক্লাসমুখি করেন। তবে ৩য় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই তাদের ক্লাসে গিয়ে গল্প করতে হয়েছে। গল্পের ফাঁকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনেকের কাছেই জানলাম যে তারা কেবল আমাকে হিমুচরিত্রের অভিনয়ে দেখেনি, তারা এরও আগে বইয়ের মাধ্যমে হিমুর সাথে পরিচিত। বই থেকেই তাদের হিমুপ্রীতি। ওইদিন হুমায়ূনস্যারের হিমু চরিত্রের ব্যাপকতা ভিন্নভাবে আমার চোখে ধরা পড়ে। কেবল তারুণ্যই নয়, উন্মাদ কিশোররাও যে ভালোবাসে হিমু, ভালোবাসেন তাদের কারিগর শিক্ষকরাও। এই হিমুভক্তদের নিয়ে হুমায়ূনস্যারের নিজেরও দেশবিদেশে নানা মজার অভিজ্ঞতা রয়েছে যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক লেখা ও বইয়ে এসেছে। হিমু তো আসলে স্যারেরই চরিত্রের একটি দিক। আমরা যারা ঘনিষ্ঠ ছিলাম তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ঝুলিতে অ্যান্টিলজিকের নানা ঘটনাই হুমায়ূনময় স্মৃতিতে বুঁদ। হিমুচরিত্রে অভিনয়ের পর স্যারের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায়ও ঘুরতে গিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে স্নেহ করতেন বলেই স্যার আমাকে ও সেলিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। দীর্ঘদিন এভাবে স্যারের সান্নিধ্য ও ভালোবাসায় বুঁদ ছিলাম আমরা।

১৯৯৯ সনে ‘আজ রবিবার’ প্রচারের পর দর্শক ও বোদ্ধাদের অনেকের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিলাম। তারপরও কিন্তু আমার হিমুভীতি যায়নি। আজ পর্যন্ত আমি হিমুর বলয় থেকে বেরোতে পারিনি। হিমু আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে আমাকে। প্রত্যেকদিনই নতুন কারো না কারোর সাথে আমাকে পরিচিত হতে হয় হিমু নামে! তারা তো জানেন না বিশাল এ চরিত্রটি এখনো আমার কাছে পাহাড় ডিঙানোর মতোই।

তাকে ছোঁয়া যাবে না, ধরা যাবে না, অতিক্রম করা যাবে না। এই হিমু সাহিত্যের বরপুত্র হুমায়ূন আহমেদের মতোই চিরনমস্য।

(চলবে)

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you