আলাপচারিতায় যতীন সরকার : প্রসঙ্গ কবিয়াল মদন সরকার ও বাংলার কবিগান || সরোজ মোস্তফা

আলাপচারিতায় যতীন সরকার : প্রসঙ্গ কবিয়াল মদন সরকার ও বাংলার কবিগান || সরোজ মোস্তফা

পূর্ব ময়মনসিংহের শেষ কবিয়াল মদন মোহন আচার্য। কবিয়াল মদন সরকার নামেই তিনি সমগ্র বাংলা সংস্কৃতিতে পরিচিত। ধারণা করা হয় কলকাতাই কবিগানের উৎসভূমি। কলকাতা নগরকে কেন্দ্র করেই কবিগানের উদ্ভব। বাংলার ‘কবিগান’ নামক শিল্পঘরানার ভেতরে থেকেও পূর্ব-ময়মনসিংহের বা নেত্রকোণা অঞ্চলের কবিগানের একটা নিজস্বতা তৈরি হয়েছিল। কবিয়াল ও লোকসংস্কৃতিগবেষক বিজয় নারায়ণ আচার্য এবং ‘বাংলাদেশের কবিগান’ গ্রন্থের রচয়িতা অধ্যাপক যতীন সরকার এই ধারণাকেই স্পষ্ট করেছেন। ধীমানগণ কেন এই ধারণা পোষণ করেন? পূর্ব ময়মনসিংহের শেষ কবিয়াল মদন আচার্য সম্পর্কিত আলোচনায় অধ্যাপক যতীন সরকার এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন। মূলত মদন সরকারের সাথে সামনাসামনি আলাপচারিতার প্রেক্ষিতেই তিনি ‘বাংলাদেশের কবিগান’ বইটি রচনা করেছেন।

কবিয়াল মদন সরকারের জীবন ও কবিগান নিয়ে কাজের অনুষঙ্গ হিসেবে এই সাক্ষাৎকার। গবেষক যতীন সরকার শৈশবে যেমন মদন সরকারের কবির লড়াই শুনেছেন, তেমনি বাংলাদেশের কবিগান নিয়ে গবেষণার সময় কবিয়ালকে সামনে রেখেই গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন। মদন সরকারকে বলা হয় পূর্ব-ময়মনসিংহের সর্বশেষ কবিয়াল। কেন বলা হয়? এই প্রশ্ন সামনে রেখেই লকডাউনকবলিত বিমর্ষ দুনিয়ায় যতীন সরকারের মুখোমুখি হই।

১ জুন ২০২০ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

যতীন সরকার

সরোজ মোস্তফা : স্যার, কোন প্রেক্ষিতে  ‘বাংলাদেশের কবিগান’ গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল? কবিয়াল হরিচরণ আচার্যকে নিয়েও আপনি লিখেছেন। কবিয়াল ও কবিগান সম্পর্কে গবেষণা করার আগ্রহের বিশেষ কোনো কারণ ছিল?

যতীন সরকার : আমার জন্ম পূর্ব-ময়মনসিংহের নেত্রকোণায়। ভাষা ও সংস্কৃতির নিজস্বতায় লোকসাহিত্যের ভাণ্ডারে নেত্রকোণার অবদান বিস্ময়কর। শৈশবে যে সংস্কৃতিতে যাপন করে বড় হয়েছি, চর্যায় ও মননে সেই সংস্কৃতিকেই ধারণ করেছি। পূজায়-পার্বণে-উৎসবে আমাদের শৈশবে কবিগান ছিল আনন্দ বিনোদনের প্রধান অনুষঙ্গ। আমরা কবিগানের ক্ষয়িষ্ণু জেনারেশনের দর্শক। পাকিস্তান জন্মের সাথে সাথে ‘কবিগান’ চর্চার লোকায়ত ধারা অবলুপ্ত হতে থাকে। কবিয়াল না থাকলে কে করবে কবির লড়াই? শৈশবে আমরা কবিগান বলতাম না, বলতাম কবির লড়াই। দুই কবির লড়াই। দর্শকেরা কবির লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে পুরাণের পাঠে মগ্ন থাকত। গ্রামবাংলার মানুষ পুরাণের আখ্যান ও চরিত্রগুলো সম্পর্কে এমনিতেই জানতেন। কিন্তু কবিয়ালরা যখন পয়ার, পাঁচালি, টপ্পা, ধুয়ার মাধ্যমে বিষয়গুলোকে লড়াইয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তখন তা হয়ে ওঠে একেবারে জ্যান্ত। লড়াই কবিগানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কবিগান মূলত আসরের গান। একজন কবিয়াল আসরে কোনো-একটা সখীসংবাদ বা খেউড় পরিবেশন করার পর বিপক্ষ কবিয়ালকে তাৎক্ষণিকভাবে এর জবাব তৈরি করতে হয়। বাড়ির উঠান কিংবা তৈরি-করা মঞ্চ প্রশ্ন ও জবাবের পদ্যে ও সুরে পুরো আসরকে উনারা মাতিয়ে দিতেন। শ্রোতারাই কবিগানের বিচারক। উচ্ছ্বাসে ও মুগ্ধতায় পুরো মঞ্চটাই উনারা অধিকার করে নিতেন।

আমি কবিগানের শেষ জেনারেশনের দর্শক। আমি দেখেছি এই আসরের শক্তি ও সৌন্দর্য। এই আসরে কবিয়াল থেকে শুরু করে অন্যান্য কলাকুশলী সবাইকে দেখেই আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি আমার মন ও মননশীলতা তৈরিতে পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের ভূমিকা অনেক। দেখ, আটচল্লিশে আমার গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যা-কিছু লিখেছি সবই আমার সংস্কৃতি। ভূমিজ জীবনের চিন্তা ও চিন্তন। তথাকথিত আধুনিকতা, কৃত্রিমতা আমার ছিল না।

আমি আমার প্রাকৃতজনদের নিয়েই লিখেছি। এই প্রেক্ষিতেই আমি ‘বাংলাদেশের কবিগান’ লিখেছি। বইটা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে বাংলা অ্যাকাডেমি থেকে। কিন্তু বই প্রকাশিত হওয়ার আগেই এই বিষয়ে আমি লিখেছি ১৯৭৬-৭৭ সালে। ময়মনসিংহ জেলা বোর্ড থেকে প্রকাশিত ময়মনসিংহের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংকলনে আমি দীর্ঘ একটি প্রবন্ধ লিখি। ‘ময়মনসিংহের কবিগান ও কবিয়াল’ শিরোনামে এই লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই লেখাটিই পরে সামান্য পরিমার্জনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের কবিগান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে এই গবেষণায় কারো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি কি না? অবশ্যই অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমাদের নেত্রকোণার অহঙ্কার বিজয় নারায়ণ আচার্য এবং ‘বঙ্গের কবির লড়াই’ গ্রন্থের রচয়িতা কবিয়াল হরিচরণ আচার্যের কাছে আমার ঋণের শেষ নেই। উনারা নিজেরা এই অঞ্চলের কবিয়াল ছিলেন এবং এই অঞ্চলের কবিগানের ইতিহাস লিখে গেছেন।

সরোজ মোস্তফা : আপনি কেন মনে করেন পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের নিজস্ব একটি ধারা ছিল? কেন মনে করেন পশ্চিমবাংলার কবিগানের ধারা থেকে এই ধারার সূচনা হয়নি? কবিগানের মতো একটা আসরের গান কি এই বঙ্গে প্রচলিত ছিল?

যতীন সরকারযতীন সরকার : পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের এই নিজস্বতার কথা আমার আগেও কবিয়াল এবং গবেষক বিজয় নারায়ণ আচার্য বলে গিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “ময়মনসিংহের বোরগ্রাম নিবাসী বিখ্যাত কবি নারায়ণ দেবের ‘পদ্মপুরাণ’ বা ‘মনসার ভাসান’ রচনার কিছুকাল পূর্ব হইতেই এ জেলার কবিগানের প্রচলন আরম্ভ হইয়াছে।” বিজয় নারায়ণ আচার্যের এই লেখা থেকেই আমরা জানতে পারি কলকাতায় যখন কবিগানের প্রচলন হচ্ছে তখন পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগান উত্তুঙ্গে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে কলকাতার কবিগান দ্বারা পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগান প্রভাবিত হয়েছে; এমনকি ‘কবিগান’ শব্দটিও ছিল না। একটি-দুটি আঙ্গিক কিংবা পরিভাষা যুক্ত হয়েছে দেখে এই কথা বলা ঠিক হবে না যে কলকাতার কবিগান প্রচলিত হওয়ার পর পূর্ব-ময়মনসিংহে কবিগান চালু হয়েছে। বৈঠকি গান কিংবা ধরাট গান কিংবা আজকের মালজোড়া গানের ইতিহাস অনুসন্ধান করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

সরোজ মোস্তফা : আপনি কি বিজয় নারায়ণ আচার্যকে দেখেছেন?

যতীন সরকার : আমি বিজয় নারায়ণ আচার্যকে দেখিনি। উনার কবিগান শোনার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমার জন্মের পূর্বেই লোকান্তরিত হয়েছেন। ছাত্রবৃত্তি পাশ ছিলেন। নেত্রকোণার কোর্টে মোক্তারি করতেন। খুব ধীমান ছিলেন। এই অঞ্চলের কবিগান সম্পর্কে উনার চেয়ে আর ভালো কে জানেন কিংবা জানিয়েছেন? ‘সৌরভ’, ‘ভারতী’, ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ইত্যাদিতে লিখেছেন তিনি। পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের উৎকর্ষপর্বের মানুষ ছিলেন। পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের ধারা ও ধারণার সূত্রপাত হয়েছে উনার লেখায়। উনি না লিখলে এই সম্পর্কে লেখা কঠিন হতো।

সরোজ মোস্তফা : কবিয়াল মদন সরকারের কবিগান আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন। মদন সরকারের কবিগান সম্পর্কে আপনার কাছে জানতে চাইছি।

যতীন সরকার : আমি নেত্রকোণায়, রামপুরে, চন্দপাড়ায়, কৃষ্ণরামপুরে কবিয়াল মদন সরকারের গান শুনেছি। মদন সরকারের সাথে মধু সরকারের গান শুনেছি। উনাদের দু-জনের গানই আমি বেশি শুনেছি। আরো দুয়েকজন কবিয়ালের গানও আমি শুনেছি। ক্ষেত্রমোহন এবং কালিমোহনের কবিগানও শুনেছি। এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে মধু সরকার ও মদন সরকারের কবিগান।

সরোজ মোস্তফা : মধু সরকারের বাড়ি কোথায় ছিল?

যতীন সরকার : মধু সরকারের বাড়ি ঝাউলা। মদন থানার একটি গ্রাম। মধু সরকার জাতে মুসলমান। মুসলমান সরকার এমন আরো ছিলেন। উনার নাম সাধু সরকার। উনার গান অবশ্য আমি শুনি নাই। এখানে হিন্দু-মুসলমান হিসেবে কোনো আলাদা উপাধি নাই। যারা কবিগান করেন তাদেরকে বলা হয় সরকার। কবির সরকার। গ্রামের মানুষ যারা একটু লেখাপড়া জানেন তাদেরকেই সরকার বলেন। এমনকি মহাজনের গদিতে হিসাব লিখেন যারা কিংবা ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল লেখেন যারা তাকেও সরকার বলে। তবে, সরকারদের জ্ঞানের ঊনতা নিয়ে হাসিঠাট্টাও করতেন সাধারণ মানুষ। গায়ের লোকেরা এদের উদ্দেশ্যে ছড়া কেটে বলে, ‘বিদ্যাবুদ্ধি নাই শালার / কানের চিপাত কলম থুইয়া / নাম জানায় সরকার’।

মদন সরকার

সরোজ মোস্তফা : কেমন ছিল উনাদের কবির লড়াই? যতটুকু মনে আছে একটু যদি বলেন …

যতীন সরকার : কবিগানের বিষয়টা ঠিক বলে বুঝানো যাবে না। গ্রামের সম্ভ্রান্ত কৃষক কিংবা জোতদারেরাই কবিগানের আয়োজন করতেন। বড় বড় উঠানে কিংবা বাজারে প্যান্ডেল বেঁধে কবির লড়াই হতো। বলতে গেলে শেষ পর্যন্ত এঁরাই ছিলেন ভালো কবিয়াল। মধু সরকার অগ্রজ ছিলেন। বলতে দ্বিধা নেই টপ্পায়, পাঁচালিতে, কবিত্বে মধু সরকার শ্রেষ্ঠই ছিলেন। উনারা শুধু পুরাণের আখ্যান ও চরিত্রের কথা বলতেন না। পুরাণকে বিশ্লেষণ করতেন। উনাদের তর্কে-বিতর্কে পুরাণের পুনর্জন্ম হতো। মধু সরকার এবং মদন সরকারের এ-রকম একটি লড়াইয়ের কথা বলি। আসরে মধু সরকার রাবণ হয়ে আবির্ভূত হলেন; সেই লড়াইয়ে মদন সরকার হলেন রাম। মধু সরকার প্রমাণ করতে চাইলেন রাম হচ্ছেন বিষ্ণুর অবতার, বিষ্ণুর অবতার হয়ে কেন এই হত্যা, যুদ্ধ, হানাহানি। মদন সরকার বারবার প্রমাণ করতে চাইলেন আমি বিষ্ণুর অবতার, দেবতা রাম নই; আমি একজন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ হয়ে আমি আমার অধিকারের জন্য লড়ছি। কিন্তু মধু সরকার তার এই কথাকে উল্টে দিচ্ছে। শেষের দিকে আমার মনে আছে মধু সরকার বলছেন, “তুমি যে বিষ্ণুর অবতার তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণটা বলি, সীতা বিষ্ণুর পূজা করছিলেন, পূজার সময় বিষ্ণুর শালগ্রাম শিলাটায় জল ঢালছিলেন। যখন জল ঢালছিলেন সেখানে তুমিও ছিলে। দেখা গেল জল শিলায় না থেকে তোমার পায়ের কাছে চলে এসেছে। তুমি যদি বিষ্ণুই না হবে তাহলে জল তোমার পায়ের কাছে চলে আসলো কেন?” … এর একটা চমৎকার উত্তর মদন সরকার দিয়েছলেন।  বলেছিলেন, “আরে, আমি বিষ্ণু বলে জল পায়ের কাছে চলে আসেনি। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ভাইট্যাল্যে। তাই জল পায়ের কাছ দিয়ে নামছে।” রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মাইকেলের হাতে আমাদের পুরাণের পুনর্জন্ম হয়। কিন্তু লৌকিকভাবে পুরাণের নবজন্মের সূত্রপাত এভাবেই ঘটে।

সরোজ মোস্তফা : স্যার, ধারণা করা হয় শুধু কবিয়ালের অভাবে মদন সরকার আর কবিগান করতে পারেননি। উনার শিষ্যরাও গুণী কেউ ছিলেন না। তাই যোগ্য সহযাত্রীর অভাবে একজন কবিয়াল গান না করেই দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন।

যতীন সরকার : মধু সরকার চলে যাওয়ার পর প্রকৃত প্রস্তাবে মদন সরকারের সাথে কবির লড়াই করার মতো একজনও ছিল না। কবিতে কবিতে লড়াই না হলে একা একা তো আর কবিগান হয় না। মদন সরকারকে দেখেছি একা একা টপ্পা বাঁধেন। একা একা কবিয়াল বাঁচে না। মদন সরকারের মৃত্যুর সাথে সাথে পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের ধারা ও ঐতিহ্যের পরিসমাপ্তি ঘটে। আর কেউ নেই। কবিগানও নেই।

সরোজ মোস্তফা : স্যার, আপনি বলছিলেন ‘বাংলাদেশের কবিগান’ গ্রন্থটি লেখার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছেন কবিয়াল মদন সরকার। কীভাবে?

যতীন সরকার : আমি যখন কবিগান সম্পর্কে লেখা কিংবা গবেষণা শুরু করেছি, পূর্ব-ময়মনসিংহের কবিগানের চর্চা তখন অস্তমিত। আমার সামনে সেই অর্থে কোনো কবিয়ালই ছিলেন না। আমি কী করব! আমি গবেষণার কাজে মদন সরকারের সহযোগিতা নিলাম। কীভাবে কবিগান পরিবেশিত হয়, কীভাবে কবিয়ালরা আসরে অবতীর্ণ হয়, কবিগানের বিভিন্ন পরিভাষা সবকিছুর একটা প্রত্যক্ষ জ্ঞান মদন সরকার থেকে গ্রহণ করেছি। মদন সরকারের কিছু টপ্পাও আমি গ্রহণ করেছি। একজন কবিয়ালকে সরাসরি সামনে রেখে আমি এই বইটি লিখেছি। মদন সরকারের জেঠামশয় বিজয় নারায়ণ আচার্যের বিভিন্ন লেখার সাহায্যও আমি নিয়েছি। এই লেখাগুলো সৌরভ  পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। কবির কাছে আমার অনেক ঋণ। মদন সরকার না হলে কবিগান নিয়ে আমার গবেষণা কঠিন হতো।

সরোজ মোস্তফা : মদন সরকারের শেষজীবন সম্পর্কে বলুন।

যতীন সরকার : উনার শেষজীবনটা খুব কষ্টে কেটেছে। খুবই অসহায়ের মতো জীবনযাপন করেছেন। অনেকটা ভিক্ষুকের মতো। এর কাছে, ওর কাছে হাত পেতে কোনোরকম জীবন কাটাতেন। পিতল-কাসার জিনিসে নাম লিখতেন। আমি যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছিলেন কুন্তল বিশ্বাস। যারা তাকে সাহায্য করতেন তাদের নিয়েই ছড়া কিংবা পাঁচালি বলতেন। মানুষজন খুশি হতো। যাদের নিয়ে পাঁচালি-ছড়া লিখেছিলেন এগুলো নিয়েও একটা ভালো সংকলন হতে পারত।

সরোজ মোস্তফা : আপনাকে ধন্যবাদ স্যার।

যতীন সরকার : তোমাকেও ধন্যবাদ।

… …

Support us with a click. Your click helps our cause. Thank you!

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you