লরা মার্লিং কথামালা ২

লরা মার্লিং কথামালা ২

গান যা আপনাআপনি এবং যেভাবে যখন যা বারায়া আসে তা আর এডিট করি না আমি। জিনিশটা যা আসে যেট্টুকই আসে মোটামুটি গোটাটা আসে। একটা-আধটা স্ট্যাঞ্জা বা স্তবক হয়তো-বা ফালায়া দিতে হয়, কিন্তু গোটা গানটা আমি রিরাইট করি না কখনোই।

জীবনের সবকিছুর প্রতিই রিয়্যাকশনটা আমার ঘটে তখনই যখন কিনা ব্যাপারটা ঘোঁট পাকায়া যায় বা কমপ্লিকেইটেড হয়া ওঠে; এবং তখনই আমি সিঞ্চন করি সমস্যার অগ্নিকুণ্ডে পানি, নিভাইতে চেষ্টা করি বা চাই জিনিশটা আবার সিম্পল জায়গায় ফিরাইতে।

প্রেমপিরিতির প্রতি রিলাকটেন্টলি বা বলা যায় গররাজি হয়েই তাকাই আমি, কিন্তু অনেকটা বাধ্য হয়েই যুক্তির দিকে তাকায়া থাকি। প্রেমপ্রীতি আর যুক্তিপ্রণালি জিনিশ দুইটা পারস্পরিক সংঘর্ষপ্রবণ হলেও হ্যাপি এক্সিস্টেন্সের লিগা বা হ্যাপি একটা ব্যালেন্স-ভারসাম্যের স্বার্থে এই দুইয়ের পাশাপাশি থাকাটা আমার কাছে জরুরি বলেই মনে হয়।

প্রযুক্তির এখনকার যেই বিবর্তিত রূপ আমরা দেখতেসি, এর যেই স্ফীতি আজকের দুনিয়ায়, এর পজিটিভ দিকটাই সবার আগে গ্রাহ্য আমি জানি। কিন্তু এইটাও সত্যি বলে মানি যে এর ফলে একটা ইউনিক ক্যারেক্টার থেকে, এই দুনিয়ার একটা অনন্য বৈশিষ্ট্য থেকে, বঞ্চিত হতেসি আমরা, আর সেই ক্যারেক্টার হচ্ছে এর জিয়োগ্র্যাফিক্যাল কালচার, এর ভৌগোলিক সংস্কৃতি। বিশ্ব হ্রস্ব হয়া আসতেসে এবং উৎপাদন অতিকায় হতেসে দিন-কে-দিন। সমস্তকিসুই এক হয়া যাচ্ছে, একাকার হয়া যাচ্ছে, অভিন্ন ও বৈচিত্র্যহীন হয়া যাচ্ছে, ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য খোয়া যাচ্ছে।

সুন্দর বলতে যা বোঝায়, আমার গানগুলা তা নয়। আমার গানগুলারে আমি বলি অপ্টিমিস্টিক রিয়্যালিজম।

চয়ন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you