দুনিয়ায় বিগেস্ট-সেলিং ফিমেইল রেকর্ডিং আর্টিস্ট ম্যাডোনা, ব্যাপারটা কারো অজানা নয়। আমাদের সময়ের গ্রেইটেস্ট লিভিং পপস্টারদের একজন উনি। নিজের প্রত্যেকটা পায়োনিয়ারিং স্টুডিয়োঅ্যালবাম রিলিজের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন তিনি নিজের ইমেইজ নিজের মিউজিক রিইনভেন্ট করেছেন, পপদুনিয়ার চৌহদ্দি বৃদ্ধি ও বিস্তৃত করেছেন, নিজে হয়ে উঠেছেন সেই বিস্তৃত বর্ধিত পপদুনিয়ার দিল-কি-ধাড়কান। গ্লোব্যাল কালচারাল আইকন বলতে যা বোঝায়, ম্যাডোনা তা-ই।
দ্বিসহস্রতেইশে ম্যাডোনা পাড়া দিলেন পঁয়ষট্টিতে। এখনও, অবিশ্বাস্য, যুগপ্রাসঙ্গিক ও ঘুমকাড়া!
ম্যাডোনার বায়োগ্র্যাফি বাজারে আছে আরও, ল্যুসি ও’ব্রায়েন তবু আরেকটা বায়োগ্র্যাফি লিখেছেন যেইটা ২০০৭ সালে বেরোয় ইউকে থেকে, বের করে বান্টাম প্রেস; একই বছরে এর ইউএস মুদ্রণ প্রকাশ করে হার্পার অ্যান্ড কলিন্স। ল্যুসি ব্রায়েনের ম্যাডোনাবায়ো কয়েকটা জায়গায় ইউনিক্নেস নিয়া পাঠক অ্যাট্রাক্ট করতে চেয়েছে বলে মনে হয়। এক হচ্ছে, এই বায়োটিতে এক্সটেন্সিভলি শিল্পীসত্তাটা হাজিরের চেষ্টা করা হয়েছে ম্যাডোনার। প্রচুর রিসার্চ করা হয়েছে এই বইটা বানাইবার সময়, হাতে নিয়া নাড়াচাড়া করলেই জিনিশটা ঠার পাওয়া যায়।
ম্যাডোনার মিউজিকের ডিটেইল্ড অ্যানালিসিস, নামজাদা মিউজিশিয়ান্স ও প্রোডিউসারদের ইনপুট, শিল্পীর ইন্টিমেইট ইনার সার্কেলের ইন্টার্ভিয়্যু প্রভৃতি সন্নিবেশিত হওয়ায় বইটা সত্যি বিচিত্রগামী হতে পেরেছে। লেখক ল্যুসি ও’ব্রায়েন ম্যাডোনাকে তার ডিফিকাল্ট চাইল্ডহুড থেকে ফলো করতে করতে এসে পৌঁছেছেন ন্যুইয়র্কের সেই ক্ষিপ্ত-উন্মত্ত-উত্তাল দিনগুলায়।
গেল সহস্রাব্দের শেষ শতকের অন্তিম দশক নব্বইয়ের গোড়ায় ম্যাডোনার ফটোবুক সেক্স, ইরোটিকা ইত্যাদি নিয়া দুনিয়াজুড়ে একটা ফ্র্যান্টিক টাইম গিয়েছে, লেখক পুরা টাইমটার চমৎকার রিফ্লেকশন রাখতে পেরেছেন অধ্যায়বিন্যাস্ত করে। ম্যাডোনার কন্সার্টগুলায়, এমটিভিজমানায় আদি মিউজিকভিডিয়োগুলায় একের পরে এক শকিং ঘটনা যা যা ঘটে গেছিল তা-সবের একটা হাজিরা ব্যাখ্যাসমেত সন্নিবেশন করা হয়েছে এই বইয়ের পরিচ্ছেদপরম্পরায়। বাদ যায় নাই লেইটেস্ট ম্যাডোনার অবয়ব উপস্থাপনও। টুয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরিতে এসে ম্যাডোনা আউটস্পোকেন একজন অ্যাক্টিভিস্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং তা-ও নজর এড়ায় নাই ল্যুসি ব্রায়েনের।
পপক্যুইন ম্যাডোনার সম্পর্ক, যৌনতা, জীবনযাপন, সন্তানপালন প্রভৃতি মিলিয়ে একটা ব্যালেন্সড অন্তর্দৃষ্টিভরা আলো ফেলে ফেলে এই বইয়ের ফর্মাগুলা সাজিয়ে গেছেন ল্যুসি। শিল্পী হিশেবে এবং মোস্ট ইম্পোর্ট্যান্টলি একজন নারী হিশেবে ম্যাডোনাকে যা-কিছু মোটিভেইট করেছে গড়ে তুলেছে, সেসবের কোনো দিকই প্রায় বাদ দেন নাই বায়োগ্র্যাফার। কাজেই, বলা যায়, ম্যাডোনা : লাইক অ্যান আইকন আমাদের টাইমের বিগেস্ট এন্টার্টেইনমেন্টস্টারদের একজনের ডেফিনিটিভ বায়োগ্র্যাফি হয়ে উঠেছে। —গানপার বইনিউজ ডেস্ক
- ১০ কবিতা || হোসনে আরা কামালী - June 26, 2025
- ঘুম ও না-ঘুমের গদ্যলেখা || ফজলুররহমান বাবুল - June 12, 2025
- অবসাদ ও অন্যান্য || জওয়াহের হোসেন - June 11, 2025
COMMENTS