মোস্তাক আহমাদ দীন, একটি কবিতাঋণ ও অন্যান্য || সৈয়দ আফসার

মোস্তাক আহমাদ দীন, একটি কবিতাঋণ ও অন্যান্য || সৈয়দ আফসার

শেয়ার করুন:

 

এ বিধি লাগে না ভালো : জন্মলজ্জা ফেলে দিতে
কাঁদিবার কথা

এ বড় রহস্যকথা সান্দ্রকথা আমি তার বুঝি না তো সার
আমার সঙ্গীরা বলো
কাহার গলায় ধরে বলি আজ জননী জননী
এত যে ঘুরেছি ভূমি তবু আমি জীবন চিনি না

অথচ সে যুবক নই
দিবসে দাঁড়ালে যে সূর্যকণা খেয়ে নিত রাতের দাঁতেরা
আমার নিয়তি ওহো
বারবার ভুলে যাই জন্মদাত্রী আমারই মায়ের মুখ, স্তন
অথচ গ্রহণপ্রশ্নে
যমজ বোনেরে ক্রমে ঠেলিয়াছি দূরে

আজ বিস্মরণের দিন আজ এংকা পথে ঘুরিতেছি
আনত দুহাত নিয়ে
জন্মলজ্জা ফেলে দিতে শূন্যে শূন্যে খুঁজিতেছি গলা

(জন্মলজ্জা : মোস্তাক আহমাদ দীন / ‘কথা ও হাড়ের বেদনা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে)

‘কবিতা কি চিন্তাকে আশ্রয় দেয়? নাকি চিন্তাকে নিয়ে বেড়ে ওঠে?’ চিন্তা বেড়ে ওঠা বা চিন্তাকে আশ্রয় দেয়া; আমরা যেভাবেই ভাবি না কেন, হয়তো দুটিই ঠিক। আবার কথা দুটির উলটো পিঠও হতে পারে। দুইয়ের ধন্দকে আমরা যেভাবেই ভাবি না কোন, অনুভব, উপলব্ধি, ভাবনাচিন্তার ভেতরই কবিতার প্রাণ খুঁজে পাই। আমি এ-ও জানি সকল কবিতা আমার পাঠকবোধের টনক নাড়াবে না। কিংবা সকল কবিতা বোঝার মতো পাঠবোধ আমার এখনো তৈরি হয়নি, বা জাগেনি। হতে পারে কবিতার বাহ্যিক রহস্য, নিত্যদিনের বিষয়াদি বা প্রতীকী প্রচলিত প্রশ্নের ভেতর অস্পর্শ মেটাফরমিশ্রিত অংশই হতে পারে অতলস্পর্শী…পাঠ শেষে চোখের ভেতর আরেক চোখের খেলায় স্বপ্নজগৎ ও শুক্তির ভেতর হাঁটতে বাধ্য করে। এবং পঙক্তির পলে-পলে জাগে কবিতার নান্দনিকতা।

কিন্তু বাস্তবতা আর অভিজ্ঞতার সাথে পাঠোদ্ধার বা রসবোধের যে ফারাক সৃষ্টি, দেহভস্মযাপনব্যবস্থার অবতল খোলে তীব্র চাপে অর্ন্তঘাত তৈরি হলো কি না, জানি না। হয়তো আমি এই অবাক মুহূর্তকে ধারণ করতে পারিনি। তবুও যতটুকু ধারণ করার ক্ষমতা কবিতা থেকে পাই, সেখান থেকে কবি ও কবিতাকে চিহ্নায়ন করি; ততটুকুর ভেতর পুলকিত হই।

আমি যখন একটি কবিতা পাঠ করি, কবিতার ভাষাকে চিহ্নায়নের চেষ্টা করি; প্রথমে সে-কবিতাটির ভেতরের স্বপ্রণোদিত ভাষার স্বাতন্ত্র্যটি খুঁজি। ভাবি—কেন ওই কবিতাটি বারবার পড়তে মন চায়; কেন কবিতার ভেতরের কথাগুলো মনে দোলা দেবে। আমি কবিতা পাঠের ভেতর কবির ব্যবহৃত ভাষার বৈশিষ্ট্য খুঁজি। খুঁজি ভাষাবুনন, শব্দবুনন, বাক্যবুননের পদ্ধতিও। কারণ কবিতার ভাষানুভব জাদুস্পর্শের মতো, অনুভূতি, উপলব্ধি যেন রসায়নের মতো ক্রিয়াবিক্রিয়ায় মিশে খেলা করে। আর আমি এ-ও জানি কবিতার ভেতর দিয়ে নিজের জীবনটাকেই পাঠ করা। যখন কবিতাটি ভালো লাগে তখন কবিতার ভাষার সঙ্গে কবির যাপিত ভাষা কতটুকু ফুটেছে তা-ও দেখার চেষ্টা করি। যেহেতু আমি কবিতার পাঠক। কবিতা ভালো লাগে, পড়ি। খারাপ লাগলেও কবিতা পড়ি।

কবিতা আমাকে একটি ঘোরের ভেতর আচ্ছন্ন করে রাখে। যেন নিজের ভেতর জাগাইয়া তোলে ঘোরের আরেক খেলা। চিন্তনধর্মী এক ধরনের অজানা অনুভব-অনুভূতি জাগিয়ে তোলে; কারণ, কবিতার বিষয়বৈভব আমাদের আবেশি ও জাগতিক চিন্তাসীমাকে জাগ্রত করে। কাব্যজগৎ আর যাপনজগৎ যখন একসাথে হাঁটে বা সম্পর্ক স্থাপন করে তখন নিজের ভেতরের চিন্তা, ভাবনা, অজানা, অদেখা মনোটানের অন্বেষায় অতিগোপন টানগুলোও এসেন্স ছড়ায়।

কবিতার ভাষা কবি তাঁর নিজস্ব উপলব্ধি থেকে প্রকাশ করেন। পাঠককেও সে-বিষয় ও ভাষা ভাবিত করে, আকৃষ্ট করে। কবিতার বিষয় ও ভাষা দিয়ে পাঠককে ধরে রাখার ভেতরই কবি শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। কবিতা লেখার আগে একটি থিম দ্বারা তাঁর অনুভূতি, উপলব্ধি জাগিয়ে রাখেন। এই জাগিয়ে তোলা ভাষাটাও হতে পারে গল্পের, গদ্যের, কিংবা ছড়ারও; কিন্তু একজন কবি সেই গল্পের ভাষা, গদ্যের ভাষার ছড়ার ভাষার রূপটিকে বদল করে কবিতার ভাষায় প্রকাশ করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন।

একজন পাঠক হিসাবে আমার মনে হয় যে অনুভূতি, উপলব্ধি আর চিন্তার গভীরতাই কবিতার ভাষা। যেমন একটি গল্প লিখতে হলে অনেক বিষয়আশয় সম্পর্কে বিস্তর জানাশোনা বা আলোচনা করতে হয়; গদ্য লিখতে হলে অনেক তত্ত্বের জোগান দিতে হয়; কিন্তু কবিতার বেলা এর বালাই নেই, একটি কবিতা লেখার পর সে-বিষয়টি পাঠকের সামনে ব্যাখ্যা করার দায় থাকে না। কারণ কবি তার ভাষা দ্বারাই কবিতা লেখেন; তা হতে পারে দেখার ভাষা, অদেখার ভাষা, চিন্তার ভাষা, কল্পনার ভাষা, বুদ্ধির ভাষা, রূপক ভাষা, সহজসরল সাবলীল ভাষাও হতে পারে; সব মিলেই একটি ভালো কবিতা জন্মে, যা পাঠককে বারবার তার নিজের দিকে টানে।

এ বিধি লাগে না ভালো : জন্মলজ্জা ফেলে দিতে
কাঁদিবার কথা

এ বড় রহস্যকথা সান্দ্রকথা আমি তার বুঝি না তো সার
আমার সঙ্গীরা বলো
কাহার গলায় ঘরে বলি আজ জননী জননী
এত যে ঘুরেছি ভূমি তবু আমি জীবন চিনি না

কবিতাটি যতবার পাঠ করা হয়, ততবারই আমি ছোটবেলার স্মৃতিতে সাঁতার কাটি। আমি তো কবিতার ভেতর আমার নিজের আত্নপরিচয় খুঁজে পাই। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিভোরে ঘুমের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ভোরে মক্তবে যেতে হতো; তখন এই নিয়মের দড়ি ছিঁড়ে ফেলার সাধ্য ছিল না আমার; শুক্রবার ফুরালেই আবার আঙুলের রেখায় গোনা শুরু করতাম, বৃহস্পতিবার এলেই শুক্রবারের আকাঙ্ক্ষায় মন ফুরফুরে লাগত; অনিচ্ছা সত্ত্বেও খেলাধুলা ফেলে স্কুলেও যেতে হত। এখন দীর্ঘশ্বাসের ভেতর শৈশব খুঁজি; কিন্তু খোঁজার ভেতর আনন্দ পাই না।

কবিতাটি পাঠের পর চিরন্তন সব প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়; বেঁধে রাখে আপন মহিমায়। আলস্যে চোখের সামনে যে-দৃশ্যগুলো ঝলঝল করে ভাসছিল, লিখতে এসে কলমের চলনভঙ্গিটাও থেমে যাচ্ছে। একটি কবিতা পাঠের পর সে-আনন্দ পাঠকের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া খুবই কষ্টকর, বেশ ঝুঁকিও থাকে। কেননা কবিতার পাঠোদ্ধার পাঠকভেদে ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়। তবুও কবিতাটি পাঠশেষে কিছু শব্দের অনুরণন আমার ভেতর দোলা দিচ্ছে; সে-শব্দের ভেতর আমার ডুবে থাকা আকাঙ্ক্ষাগুলো কখনো আমার সাথে কম্প্রোমাইজ করেনি, কম্প্রোমাইজ না-করা আকাঙ্ক্ষাগুলোই আপনাদের সাথে ভাগ করার চেষ্টা করব।

কবিতাটি পাঠশেষে নিজের একটি কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল—‘কাছের মানুষ পাশে থাকতে নেই! যত দূরে থাকি সম্পর্কের গাঢ়ত্ব আরো বেশি ছুঁই’…। লাইনটি পড়ে মনে মনে ভাবলাম—এই যে যাব, যাবার আগে আঁকা না-হওয়াই ভালো মানুষের সহজসরল বেশবাস। আমার যাওয়ার রেখা যদি জলের কাঁটায় ফুটে থাকে, দেহের বাইনে-বাইনে ছায়াও গতিময় হয়; আমি কি লজ্জা খুলে নেব? জানি না। তাও জানি না, নামব কি না জলসঙ্গমে। তবে যাব, যাওয়া যে অনিবার্য, অবধারিত । এই যে জগতে মানুষের যাওয়া-আসা-ভালোবাসা তা কি নয় মনের দ্বান্দ্বিকতা?

কবি মোস্তাক আহমাদ দীন তাঁর ‘জন্মলজ্জা’ কবিতাটির শুরুতেই যে-শব্দটি ব্যবহার করেছেন, ‘এ বিধি’, দীর্ঘক্ষণ এ-শব্দের ভেতর হেঁটেছি। খুঁজেছি বোহেমিয়ান জীবনজিজ্ঞাসা। জানি মানুষ একা থাকতে পারে না বলেই সঙ্গ চায়। মানুষ কখনোই তাঁর চারপাশকে ডিঙিয়ে যেতে পারে না। পাশ কাটানো যায় না পারিবারিক-সামাজিক নিয়মকানুন, মেনে চলতে হয়; চলতে হয়—বাস্তবতা, নির্জনতা, বিচ্ছিন্নতা, মান-অভিমানও। যেহেতু কবিরাও এ-সমাজ বা গোত্রের অংশ তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকেও এই সমাজব্যবস্থার অসঙ্গতি, নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়; কারণ কবিরা তো ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সত্তার কাছে নিভৃতচারী। অন্তর্নিহিত বাস্তববোধই সময়কে জাগায়; পালানোর পথ বাতলে দেয়; আর এই সময়ই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়; দাঁড়ানোর প্ররোচনা জন্মায়।

কবি তো অনুভব, অনুভূতি, উপলব্ধি, চিন্তা, ভাবনা প্রকাশ করতে চান অমীমাংসিত জিজ্ঞাসার ভেতর। ভাবনার স্বকীয়তাকে বাধাহীন করেন, সমুন্নত রাখেন; আবেগের বলয় ভেঙে তাঁর লেখার দ্বারা সমাজের নানান অমঙ্গতি তুলে ধরেন, প্রচলিত ধারাকে ভাঙতে চান; ভাঙতে চান জাতপাতের বৈষম্যও। কিন্তু সমাজের বৈষম্য দূর করা কি তাঁর একার পক্ষে সম্ভব? এসব ভাবনা তাড়িত করে, কষ্ট দেয়, হতাশ করে, মনের দাহ ও দহনে তাঁকে দগ্ধ করে। শুধু কি কবির হয়? আমাদেরও হয়, কিন্তু আমাদের প্রকাশের মাত্রা নীরবে।

এ পঙক্তির আরো একটি শব্দ আছে, যা থেকে বেরোবার পথ খুঁজে পাইনি আমি : ‘জন্মলজ্জা’; ‘জন্ম’ যদি একটি নিপুণ শিল্প মনে করি, ‘লজ্জা’ তাহলে কি জীবনের নমুনা? আমার ভাবনা বলার চেয়ে ‘জন্মলজ্জা’ শব্দটি নিয়ে জ্যাকি ইসলামের কিছু কথা তুলে দিতে ইচ্ছে করছে—“জন্মলজ্জা  কী? শুদ্ধ কোনো উত্তর কি দিতে পারবো? যদি বা ভেঙে ভেঙে পরমাণু দিয়ে যেমন গঠিত হয় অণু। অণুকে ভাঙতে ভাঙতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরিত করলে যেমন একাধিক পরমাণু পাওয়া যায়, তেমনি কবিতার সরল কিংবা যৌগিক বাক্যগুলো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রে বিভক্ত করলে হয়ত পাওয়াও যেতে পারে জন্মলজ্জা  যদি-বা ভেঙে…এগুতে যদি থাকি ভেঙে ভেঙে তবে কি সমর্থ হবো ‘জন্মলজ্জা’ নামক যৌথ-শব্দটির যথার্থ সংজ্ঞা প্রদান করতে?” এই প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো আমি এই যৌথ শব্দটিতে বুঁদ হয়ে আছি; কারণ, ‘এ বড় রহস্যকথা সান্দ্রকথা আমি তার বুঝি না তো সার’।

অথচ সে যুবক নই
দিবসে দাঁড়ালে যে সূর্যকণা খেয়ে নিত রাতের দাঁতেরা
আমার নিয়তি ওহো
বারবার ভুলে যাই জন্মদাত্রী আমারই মায়ের মুখ, স্তন

অথচ গ্রহণপ্রশ্নে
যমজ বোনেরে ক্রমে ঠেলিয়াছি দূরে

মনের ভেতর অনেক ভাবনা, চিন্তার ঘ্রাণ যুবকবয়সেই আনন্দ দেয়। যুবকবয়স কিন্তু কোনো সামাজিকতা মানে না। সে-সময় কোনো বাধাকে বাধা মনে হয় না। ইচ্ছে হলে ঘুরে বেড়ানো যায়; দাবা খেলে, তাস খেলে, দু’তিন রাত না-ঘুমিয়েও কাটানো যায়। সিনেমা দেখে, গান শুনে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে কাটানো যায়। কিন্তু কবিরা কি সে-যুবককাল পার করতে পারেন? এত আনন্দের ভেতর…এত মুগ্ধতার ভেতর…এত কোলাহলের ভেতর। কবিরা পারেন না। এই নিয়তি মেনেই তো কবিরা কবিতা লেখেন। আমার অভিজ্ঞতা যা বলে, কবিরা লেখেন নিজের আনন্দের জন্য, লেখেন নিজের আত্নার প্রশান্তির জন্য। লেখেন নিজেকে জানার জন্য। নিজের ভেতর নিজে জেগে থাকার জন্য। অথচ গ্রহণপ্রশ্নে…কবিরাও এ-সমাজের একজন, তাই তাদেরও লোভলালসা থাকতে পারে; থাকতে পারে গ্রহণ-বর্জনের স্বাধীনতাও। কারণ জন্মের পর একটি অবোধ শিশুটিও কতটুকু তার গ্রহণ-অধিকার তা বোঝে; আর বোঝে ভাগাভাগির কথা। দুধের শিশু যতক্ষণ মায়ের স্তনদুধ পান করে, ততক্ষণ সে একটি পান করে; অন্যটি সে হাত দিয়ে ঢেকে রাখে; সে তার গ্রহণের ভাগ কাউকে দেবে না। হয়তো হাত দিয়ে ঢেকে সবাইকে ঠেলে রাখতে চায়।

আজ বিস্মরণের দিন আজ এংকা পথে ঘুরিতেছি
আনত দুহাত নিয়ে
জন্মলজ্জা ফেলে দিতে শূন্যে শূন্যে খুঁজিতেছি গলা

মোস্তাক আহমাদ দীন তাঁর অনেক কবিতায় আঞ্চলিক শব্দের সুষমা কবিতার শরীরে এমনভাবে স্থাপন করেন যে, শব্দটি ব্যবহারের পর দেখা যায় যে এই একশব্দ ব্যবহারের ফলে পুরো পঙক্তি ভিন্ন ধরনের আবহ তৈরি করে; তাঁর কবিতায় শব্দের বুনন ও নির্বাচন পাঠককে মুগ্ধ করে। কাছে টানে। কবিকে শক্তিশালী করে। ‘আজ বিস্মরণের দিন আজ এংকা পথে ঘুরিতেছি’…কবিতাটির এই পঙক্তিতে কবি স্মৃতিলোপ পাবার দিনে ‘একা’ পথ ঘুরছেন; এই ‘একা’ শব্দটিকে নিজ শক্তিমত্তায় একমাত্রা যোগ করে কি চমৎকার আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করেছেন ‘এংকা’…এই একমাত্রা যোগ করে কবিতার প্রাঞ্জলতা শুধু বাড়াননি; পাঠকের আকাঙক্ষাও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। শব্দবুনন, শব্দনির্বাচন, নিজস্ব মরমি সুরের ভেতর আঞ্চলিক আনকোরা শব্দের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁর প্রতিটি কবিতাই আলাদা ভুবন তৈরি করে। ইতিমধ্যে কাব্যপ্রেমীরা স্বীকার করতে শুরু করেছেন কবিতার কথা, সুর, স্বর সহ ব্যঞ্জনায়-সুষমায় নব্বইয়ের কবি মোস্তাক আহমাদ দীন তাঁর আলাদা নিজস্বতা খুঁজে পেয়েছেন।
মে ২০১০


সৈয়দ আফসার রচনারাশি
গানপারে মোস্তাক আহমাদ দীন

সৈয়দ আফসার
শেয়ার করুন:
পরের পোষ্ট
আগের পোষ্ট

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you