প্যাট্রিয়োটিকা

প্যাট্রিয়োটিকা

প্যাট্রিয়োটিজমের পটকা ফাটায়া পার্টিলিডারের পিতপিতি বাঁশি বাজায়া কাব্যগরু কল্পতরু অনেককিসু পয়দা করসি আমরা লাস্ট ডিকেইডের পুরাটা টাইম। গণমাধ্যম আর্টকালচার জার্নালিজম সর্বত্র শুধু সাহিত্য আর সাহিত্য। সঙ্গে থাকা, সহিত থাকা, লগে লগে থাকা। সাহিত্যের আরেকটা ব্র্যান্ডনিউ অর্থোদয় হয়ে গেল বোধহয়, এরই মধ্যে এই বিষডুবন্ত গোলার্ধে, লাস্ট ওয়ান-অ্যান্ড-হাফ ডিকেইডে : সহা, সহ্য করা, সইতে থাকা। বাকরুদ্ধ বকস্বাধীন যাপন করা। শাহজাহানের জীবনযৌবন ধনমান সবই যায় দেশমাতৃকার ভজনায়। স্যামুয়েল জন্সনের প্রাসঙ্গিক উক্তিটা মনে পড়ে যায়। আচ্ছা। তারপর সাহিত্য পড়তে যেয়ে দেখি সাংবাদিকতা আর সাংবাদিকতা। ভাসুরের নামনিশানা কার মুরদ আছে মুখে নেবে? এই টাইমেই টিশার্ট বেরোয় নাম-বললে-চাকরি-থাকবে-না টাইপোগ্র্যাফিক ডিজাইনে। যে-দেশে সুবোধ-তুই-পালিয়ে-যা ছাড়া গ্র্যাফিতি নাই, বিদ্যাপীঠগুলায় লেনন ও সঞ্জীবের দেয়ালপোর্ট্রেটের পাশ ঘেঁষে সেল্ফি খিঁচে এবং তারও অগ্রে ন্যাশন্যাল ফাদারের টয়লেটটাইলস-ভেঙে-বানানো স্কাইহাইট প্রতিকৃতিতে বেলপাতাফুল দিয়ে রেভোল্যুশন ঘটায়া ফালাইসে ভাববে না তো অন্য আর কী ভাববে এই বিশ্বভাবুক তরুণ সমাজ? ব্রহ্মাণ্ডভাবুক এই দেশের বুড়াহাবড়া সাহিত্যসমাজ?

কাজেই, কথাটা সাফ জানায়া রাখি যে এই নিবন্ধগুলা সাহিত্য নয়, সাহিত্য হয় নাই এইগুলা, সাহিত্যের তোৎলানি ছাড়াই নির্মিত এই নিবন্ধগুলা। সাহিত্যের স্বর্গীয় সত্য গরহাজির এইখানে। এইগুলায় সাহিত্যের কোনোপ্রকার স্বত্ব কদাচিৎ মেলে। এইগুলা কারোর ‘সহিত থাকা’ প্র্যাক্টিস করে নাই, বিশেষকিসু ‘সইতে’ চেষ্টা করে নাই, নিজের নষ্টামি নিরিবিলি সেলিব্রেইট করে যাওয়া ছাড়া। ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’ বা আমরা যেইটারে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ বলি বাংলায়, কিংবা আরও সহজ বাংলায় ‘ফেইসবুক’ বলি জিনিশটারে, আরও যত মিডিয়াম আছে সেইগুলা বাংলার বালবৃদ্ধবণিতা টাচ করতে পারে নাই বিধায় সেইগুলার উল্লেখ থেকে বিরত রইলাম, ফেইসবুকেই ‘সহিত থাকা’ ও ‘সহে যাওয়া’ ব্যাপারটার বাইরে যেয়ে চেল্লাপাল্লা করে গেসে দেশের অসাহিত্যিক জনসমাজ। এর একটা বড় অংশ সংঘটিত হইসে ‘স্ট্যাটাস আপডেট’ হিশেবে, একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ‘নোটস্’ অপশনের আওতায়। অ্যানিওয়ে। একটা টাইমে এসে ফেইসবুক তাদের চেহারাসুরত বদলাবার খাতিরে বেশকিসু অপশন/সার্ভিস রহিত করে, যেমন ‘নোটস্’ ইত্যাদি, এবং যুক্ত হয় এমনকিসু জিনিশ যার ফলে প্ল্যাটফর্মটা ভাবনাচিন্তা বিনিময়ের চেয়ে বেশি বরং খোমা দেখাইবার আর মৌজমাস্তি ফিচলামি বিটলামির জায়গায় ইভল্ভ করসে। এখন রিল্স মিম্স ইত্যাদি জিনিশের কদর অনেক হাই। জিনিশগুলা ফাংশনও করে আলাদাভাবে।

প্যাট্রিয়োটিকা ব্যানারে এই জিনিশগুলা ২০১৩ অনোয়ার্ডস দৈনন্দিন বাংলাদেশের নানা ঘটনার বাহানায় লেখা। আজ আর আমারই ইয়াদ নাই এমন অনেক খোঁচা আছে এই নিবন্ধগোছায়। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ নোটস্ অপশন তামাদি করে ফেলবার পরে ‘ফেসবুক মেমোরিস্’ অপশন চালু করে এবং দৈনিকীগুলার ‘ইতিহাসের এই দিনে’ টাইপের স্মরণপ্রক্রিয়ায় নিখোঁজ নোটস্/স্ট্যাটাসগুলা ফ্ল্যাশব্যাকে ফেরত দিতে থাকে এভরিডে। এখনও দেয়, এইটা রোজকার ব্যবস্থা। আর এই কিসিমেই একে-একে বেশ অনেক পুরানা স্ট্যাটাস/নোটস্ পুনরুদ্ধারপূর্বক হ্যাশট্যাগ দিয়া কালেক্ট/প্রিজার্ভ করতে থাকি ফেইসবুকেই। ফিরিয়া-পাওয়া মালগুলার মধ্যে বেশ বড়সড় একাংশ ‘ফেব্রুয়ারিশিখা’ শিরোনামে এর আগে অ্যান্থোলোজি আকারে সেইভ করলেও বর্তমান সংকলনের নিবন্ধভুক্তিগুলা বাকি ছিল গোছায়া রাখবার। এইখানে ২০১৩-২০১৬ সময়সীমার কতিপয় নিবন্ধ ধরা গেল, যেইগুলার ইশারাইঙ্গিত বকস্বাধীন বকধার্মিক বকসজ্জন বকভদ্র সময়ে কেউ ধরতে সচেষ্ট হবে এমনটা আশা নাই। কিন্তু তবু তারপরও গোছায়াগাছায়া রাখবার কারণ আর কিসু নয় স্রেফ মহাকালে মুফতে একটু প্লট বরাদ্দ যদি পায়া যাই, লিডারের টিকল্ড-ডাউন স্যুপ জিব্বার আগায় নিতে নিতে, জিন্দেগি-আখিরাতে একটু ডিগ্নিটি নিজের কাছেই নিজে ক্লেইম করতে পারব। সমকালের সবকিসু সমর্থন করি নিঃশর্ত, সুসাহিত্যিকের পোশাকে চেয়ারে বসে থাকি ডিস্ট্রিক্ট ও ডিভিশন্যাল কমিশনারদের পদতলে অডিয়েন্সের কাতারে, সংসদ সচল রাখি।

নিবন্ধলহরি স্ক্রল-ডাউন করে যেতে যেতে চেষ্টা করে দেখি ইয়াদ হয় কি না বাহানাগুলা। মানে, কেন ও কোন ঘটনার জেরে কখন কী লিখসিলাম মনে আছে কি না। পাঠকারী নিজে এনাফ উদ্ধারকার্যে, এ-সত্ত্বেও কয়েকটি জিনিশ টুকে রাখা আবশ্যক। যে-বাংলাদেশ আজকে দেখতেসি, রোম্যান এম্পায়ারের মতো, তা একদিনে তৈয়ার হয় নাই, রোম ওয়াজ নট বিল্ট ইন অ্যা ডে। এই সিচুয়্যাশন তৈয়ার হবার আগে একটা লাম্বা টাইম ধরে যে-ফ্যাসিক্রীড়া ধারাবাহিক সংঘটিত হইতেসিলো ওইগুলা মাথায় না-রাখলে, বেমালুম ভুলে গেলে, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়িত হবার আগেই চিপায় আটকা খায়া আত্মারাম বিচিফাটা হয়া যাবার আশঙ্কা উড়াইবার নয়।

না, থাক, আর না। কাজের কথাগুলা না-বলা থাকলেও বোঝা যায়। কে না জানে, স্টেডিয়ামে গাঁদাগাঁদি করে ন্যাশন্যাল অ্যান্থেম গাইবার রেকর্ড গড়বার সময় এক শ্মশ্রুমণ্ডিত অভিনয়সিদ্ধ সংস্কৃতিমিনিস্টারের তামাশা? তারপর, ভিশন টোয়েন্টিফোর্টি ডিসক্লোজড হবার আগে ভিশন টোয়েন্টিটোয়েন্টিওয়ান নিয়া কানঝালাপালা আলাপের ডালা? তারপর, তনু নামে একটা মেয়ের মর্মস্পর্শী নিহত হওয়া? লাল টেলিফোনে সেই সাঁইত্রিশ মিনিট ও পরবর্তী থিয়েটার? তারপর, মাইনাস ফর্মিউলা? ঢাকা লিটফেস্টের আগের ‘হে ফেস্টিভ্যাল’ মনে নাই? ইকড়িমিকড়ি ইত্যাকার জিনিশগুলাই নিবন্ধের পর নিবন্ধে এঁটে তোলা হইসে। এর বাইরে, এসবের বাইরে, তেমনকিসু জুটসে বলে তো মনে হয় না ন্যাশনের নসিবে। এইবেলা ন্যাশনের হিল্লে একটা যা-হয় হবে। ন্যাশনের নির্বাচন সামনে। ন্যাশনের আনন্দের ও পুলকের সীমাপরিসীমা সাকিনসরহদ্দি রিসার্চ করে দেখতে হবে। এই নিবন্ধগুলা পড়তে যেয়ে ২০১৩-২০১৬ টাইমফ্রেইমে দেশের ক্ষমতাকাঠামোর কোলাবোরেটরদের ফানি বিহেইভিয়্যরগুলা মাথায় রাখলেই ডিকোড করতে সুবিধা হবে চিলতে লাইনঘাট।

নিবেদক, জাহেদ আহমদ, ডিসেম্বর ২০২৩

গোল্ডেন ডেল্টা, মাই ল্যভ
রেকর্ড চাই না, ভাই
রঙতামাশার অন্তে আমরার শুভনিদ্রার নিশ্চয়তা চাই

রেকর্ড চাই না, ভাই
সরকারে ও বেসরকারে বেতনভোগ্য লুটেরা লাল্টুপুল্টুগুলারে মনিটর করা চাই

রেকর্ড চাই না, ভাই
ইজ্জত লইয়া বালবাচ্চা পালিয়া-পুষিয়া পারিবারিক গোরস্থানে যেয়ে বিশ্রাম নিতে চাই

রেকর্ড চাই না, ভাই
স্বর্ণের মতো মূক ও ধাতব বাংলার মানুষগুলার ফুলে-ফসলে বাঙ্ময় হওয়া দেখিয়া যাইতে চাই
.
.
ট্রিবিউট
টুয়েন্টিওয়ান
জলের ঢেউয়ের মতো পঞ্চাশ-দশকী বিভূতিবাকপটু স্বরে নয়
একদম পরীক্ষিত পর্বতের ন্যায় দৃঢ়তা নিয়ে কে যেন বলে ভেতরে-ভেতরে
কে যেন বকমবকম করে, এহেন নৈঃশব্দ্যে-নৈরক্ষরে, সেল্ডম-বার্কিং ডগ যথা —

আছি, থাকব, চিরদিন
খেয়ে বা না-খেয়ে হেন দুঃখিনী অ্যাল্ফ্যাবেটে
এভাবে বিলীন

তেষ্টায় পানি খাবো চিবিয়ে একঢোঁকে

আমরা দুজনা খেলনা গড়িব না, বাঁধাব না দাঙ্গা বা দাতাহাতছানির যুদ্ধ
রুইব না ধরণীতে একগাছা মাইন বা মারণাস্ত্র বহুজাতিক
কাজেই বিস্মরণীয় রইবই তো জন্মজন্মান্তর

অবিস্মরণীয় উহারা যারা গান গায় বিশ্বভাষায়
কিন্তু তুমি বিশ্বভাষা না-শিখিয়া আগাইবায় ক্যাম্বায়!

পরস্পর রহিব নিরুত্তর — এমনতর শত-সহস্র প্রশ্নের সম্মুখে
.
.
রক্তরাগ
রক্ত —
ব্যাংকবন্ড নয় যে বুড়োবয়সে কাজে লাগবে ভেবে
জমিয়ে রাখতে হবে
ওকে ঝরতে দাও
ওটা ঝরবেই।

রাগ —
বড়ে-গোলামআলির কণ্ঠকসরতের ব্যাপার নয় যে
গুটিকয় খোশামোদে সমুজদারাকীর্ণ গজলমুজরো না-হলে
এর প্রকাশ বৃথা;
ওটা যদি থাকে ভেতরে, চাও অথবা না-চাও তবু
প্রকাশ হবেই।

রক্তরাগ ছাড়া মাকাল হইতে মানুষ পৃথকীকরণের
নির্ভরযোগ্য কোনো পদ্ধতি সভ্যতার জানা নাই
.
.
মার্জিন অফ মার্জিন্স
রাজহাঁস, ভাসো!
ভেসে যাও জলের জাহাজ
ভাসো সমস্ত নৈরাশার নৈঃশব্দ্যসমুদ্রে
ভেসে যাও বলবন্তা ডানার ঝাপটায়

ভাসুক ভুবন, মঠতন্দ্রা, মাঠঘাটস্মৃতি
নিমেষে ন্যাংটো হোক সব-কয়টা বাটপার
চুলায় যাক যত চালবাজি
ভস্মস্তূপ জমিয়া উঠুক বনবিদ্বেষী শিকারীদের

ঘটনা আসলে এর উল্টোটাই কিন্তু ঘটবে — এইটা জানা আমাদের

বদমাশের হাড্ডিগুলো রইবে বেঁচেবর্তে
উহারা প্রাতিষ্ঠানিক পুরোহিত হবে দেশে-দেশান্তরে
একটার-পর-একটা বাইঞ্চোতি করে যাওয়াই জীবনধর্ম ওদের
ফলে এরা আটকাবে না আস্ত দুনিয়ার থুতু উপহার পেয়েও
লজ্জা-হায়া তারা আঁতুড়ে নাড়ির সঙ্গে এসেছে পুঁতিয়া
কাজেই তারা চুতিয়া হইলেই কি অথবা চান্দের লাড্ডু
সভ্যতা তাদের সঙ্ঘারামাচার্য বানিয়ে রেখেছে ও রাখিবে চিরদিন

উহারা মানিক্যমুক্তো, জগতের জায়গির্দার, উহারা শাঁসালো উঁহু-হুহু ভদ্দরনোক
শূকরশাবক আর শীতের ক্ষেতের মুলো উহাদের নৈশভোজে মজুত থাকুক

আমরা আধপেটা বা বাদ্যবাজনা-না-পেটা থাকাটাই শ্রেয়তর জ্ঞান করি
.
.
বাংলাদেশ ২০১৬
দ্বিসহস্রষোলো
খঞ্জ এবং নুলো
দোঁহে কাণ্ডাকাণ্ড
রচিত ব্রহ্মাণ্ড

ব্রহ্ম কোথা বাল
অণ্ডের আস্ফাল
দণ্ডগণ্ডগোল
ধর্ষণসঙ্কুল

কলঙ্ককৌতুকী
মৃত্যুজব্দ খুকি
জীবনমুখা গান
মেডিনিন্ডিয়ান

রসস্থ হোমগ্রাউন্ড
চালাইছে গ্রে-হাউন্ড
উর্দিসিদ্ধ সোনা
আঙ্গুলে দিনগোনা

দিন তো বহোৎ দূর
বুনোতন্ত্রবিধুর
বণিকহস্তে বীণ
পাব্লিক্ সঙ্গিন

রিপাব্লিকের ঘাতে
রাত্রি-দিবা-প্রাতে
ন্যাস্ত ধস্ত প্রাণ
সিভিলের সম্মান

সিভিল্ কোথায় শালা
রাজার তেলের জালা
আলিবাবারাও মৌজে
জুটেছে রাজফৌজে

কে দেখে কার সঙ্কট
বরাহের বহ্বাস্ফোট
হিংটিংছট বাজনায়
উদো-বুধো তড়পায়

এদিকে ঈশ্বর
ফোকাসে বিস্তর
শাস্ত্রশস্ত্র সৈন্যে
একের পাছায় অন্যে

লেলানো লোলকুত্তা
‘সাব্বে সুখিতা সাত্তা’
পাঁড় গাঁড়লের দেশে
ধর্ষক বীরবেশে

বেঁচে থাক ধর্ষক
বাঁচুক দাবার ছক
পাঁচ-পাঁচ দশবর্ষ
আরও-আরও গণহর্ষ

তনুর জন্য শোক
করছে এ-ডরপুক
জানি নিঃসংশয়
অণ্ড-দণ্ড জয়!
.
.
জাতীয় সাঁইত্রিশ মিনিট
নিষ্ফলা সাঁইত্রিশ মিনিট…
উড য়্যু প্লিজ রিপিট?

ছেড়ে-দে-মা-কেঁদে-মরি আমাদের গরিমার অতীত

দিয়াসিলা টেট তুমি, ইন রিপ্লাই হিয়ার য়্যু গ্য, লহো মোর টিট
টেইক দিস্ কল অ্যাজ অ্যা কর্ডিয়াল নেমন্তন্ন টু মেইক অ্যা ভিজিট
উইথ সুপারিতরু-এনশিউরকরণপূর্বক-সালিশে-শামিল-হবার পজিটিভ স্পিরিট

ড্যামিট, ব্রুট, চিট, হাতিশাল-ঘোড়াশাল, ক্ষ্যামা নাই কালপ্রিট!

নো কম্প্রোমাইজ, নহে নহে কোমলতা, নো রিট্রিট
রেফারি কই, কিংবা আম্পায়ার, শীষ দেখে যে নেবে বুঝে কে চিটা কে অ্যারোপ্লেনের গোছালো ককপিট
কে যে কম্পিটেন্ট আর কে-ইবা মিসফিট
ডাঙার মাল তিমি বলে, নো ড্যুড, নাথিং গ্যুড, রাবিশ এভ্রিথিং, অল বুলশিট!

বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল — ডেফিনিশন অফ ডেমোক্র্যাসি দ্য স্যুপারহিট
দে গাছের গায়ে গোবর লেপে, পেপারে ছেপে, তেলেসমাতিভিশনে দে বাইটের পরে বাইট
উই আর ইনোসেন্ট, উই দ্য ম্যাজাই ফ্রম ওল্ড বেথেলহেম, উই এভার রাইট
জাস্তি পিনা-খানা থাকিবেক, বুকটা ফাইট্টা যায় গানাও তৎসহিত, পোষায় ন যদি তো গ্যুডনাইট
সিনোরিতা, মাদমোয়েজেল, আমাদের তরফে ইহা ওপেন ইনভাইট
উইল রিমেইন ফরেভার, দেখিবাম এইবার, কয়ফুট আপনাগো পোলিটিক্যাল উইশডমের হাইট
অ্যানালিসিস ন-করিনু, ভাই, এই আমাদের অপরূপ শিলনোড়া ঘষাঘষিমূলক রেভ্যুল্যুশ্যন্যারি ফাইট
আবৃত্তিচিৎকৃত সুনীল জনগণের ছত্রিশ বছর কেটে গেল চক্ষে হেরিল না বাছারা কোনো ফোরসাইট
আশমান জুড়ে লাল টেলিফোন, মোবাইল পিয়ন, কন্সপিরেসির মিষ্টধ্বনি ক্রিং ক্রিং ক্রিং

বিয়াল্লিশ বছর ধরে দেখে গেনু রগড়ারগড়ি, চুদুরবুদুর, এইধারা ন্যাশন্যাল নারিংবিরিং
.
.
টু ফর
ভয়

এইটুকু বর্তমান বঙ্গের পরিচয় —
টু ফর উপায়ান্তরহীন এক অতিকায় ভয়

সব শালিকে প্রেম করে
আর দুই শালিকের মধ্যে কেবল ঝগড়া লাগিয়া রয়
হোয়াট অ্যা শেইম, বয়!

দিস্ ইজ নট অ্যা জোক, ভোলা মন, ওরে!
আজন্ম দেখিয়া যাইছি ঝগড়াশতক, ঝগড়াদশক
আদি-অন্তহীন এক ঝগড়ার সময়

ঝগড়ায় ঝগড়ায় গেল জুড়িয়ে কেৎলিভরা চায়ের সঞ্চয়
দুনিয়া দুইদিনের, টাইম ইজ নট ফর টাল্টিবাল্টি —
এই নিরুক্তি বোঝে এমনকি তিনবার-ফেল-মারা গবেট ও গবয়
কিন্তু হিংসা, হানি, আন্ধাইর করে রাখে আসমুদ্রহিমালয়
হিংসা পাল্টে দেয় চিরশাশ্বত প্রবচনের মধুক্তিনিচয়
হিংসায় কভু জয় নয়
হিংসায় চিরকাল ক্ষয়
হিংসাদেশে চিরকাল টু ফর ভয় …

হিংসা জ্যান্ত রেখে টু ইজ-ইক্যুয়্যাল-টু অন্তহীন অপচয়
.
.
ঔড টু অ্যা লোপ্রোফাইল ক্লাউড
লো-প্রোফাইল থাকো মেঘ
শীতের মতন থাকো নিচুকণ্ঠ, নতমনস্ক নর্তক

ডাগাউটসিটে বসে আছে যে-প্লেয়ারগুলো
কোচ ও করুণ দুই-তিন পেহলোয়ান
যারা হার জেনেও ছলছল খেলে চলেছে শেষদান পাশা
তাদের অলক্ষে এসে হ্যাং হয়ে থাকো ওই কাচঘেরা ছাউনিশীর্ষে
যেন তারা দেখিতে না-পায় এমন ভঙ্গিতে ফের লাস্ট হুইস্যালের আগে যেও চলে আলগোছে
একটু বেশি থাকতে হতে পারে খেলা টাই হলে, এক্সট্রা টাইমে এক্সট্রা ছায়া দিতে

এসবের কিচ্ছুটি নাহি যদি পারো, ওগো মেঘ, লো-প্রোফাইল মেঘ
ওই উঁচু … আরো উঁচু … উঁচুতে … উঁচুতে
ভেসে বেড়াও ব্যোদলেয়্যরের প্লেগ্রাউন্ডে
রেইনমুক্ত মাঠ আর কর্দমাক্ত স্কাইভিউ নজরে রেখে গেয়ে ফেরো গান —

জলের, যেনবা নিজেরই, ট্রাউজার-পরা সাঙাতের খোঁজে এটুকু ধ্বনিপ্রাণ :

দূরে-থাকা মেঘ তুই দূরে দূরে থাক
যতটুকু পারা যায় সামলিয়ে রাখ

ওগো মেঘ, জিগজ্যাগ, ওগো এনসার্কলড রেইনক্যুইন
ওগো কার্ভেশ্যাস কন্যাকুমারিকা
আমরা না-হয় থাকি তোমা’ পানে চেয়ে, যেন চক্রবাক, যেন দ্বাদশ ক্রিকেটার
বাউন্ড্রিলাইনে, ক্যাচ উঠলে ধরি, অথবা না-ধরেই ডিগবাজি খাই

লো-প্রোফাইল, তোমার মতো, তোমার দিকে দেখি, তোমাতে তাকাই
.
.
মোমেন্টারি ফিলিংস্ এক্সপ্রেসড্ বাই অ্যা ননভায়োলেন্ট অ্যান্ড অম্নিভোরাস নোটটেইকার
ডানদিকে চায়া দেখি
একদঙ্গল আমাশয়, উদরাময়, ঐতরেয় গবয় আর করুণাময়ের মোচ্ছব;
বাঁয়ে ঘাড় ফেরাতে — এ কী!
বুকিশ বুজরুকি নিয়া না-হক বচসারত বদুখাঁ আমলের যত পতিত গর্দভ!

মধ্যিখানে থেকে দ্যাখো সইতেসি দুইদিকের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক চু…

দন কোহিতের কাহানি তো দুনিয়ায় কারো কাছে অবিদিত নাই
আমি সেই নিদারুণ তালপাতার সেপাই
আমার সকল গান তুমি তো শোনো না তবু, প্রভু, বোবাকালা তোমারে শোনাই
.
.

সাহিত্যসাময়িকীপীড়িত শুক্রবার সকালের ব্রেইকিং স্ট্যাটাস
অদ্ভুত আঁধার এক
এসেছে জগতে আজ
যখন আলোর গতি
রুখে দেয় শব্দবাজ
শত শত মিডিয়াভাল্চার

বন্দরে, অন্দরে, বনে
এদের মসীর স্ট্রোকে
অতি মর্ষকামীটিও
হেরে সর্ষেপুষ্প চোখে!
ইহা কালচারাল ক্যারিয়নের আহার…

খেতে যদি পারো খাও
না-পারিলে চুপ রাও
মতিভ্রম ঘটে যদি
দুর্গতি নিরবধি —
সিলি এই রেফ্রেন্স না-দিলেও হতো

আইজ্ঞে, যেমন কি না
হপ্তাসাহিত্যবীণা
না-বাজালে বেঁচে যেত
সৌধকুচ কটিক্ষীণা
দুঃখিনী-বর্ণমাল্যে-বোনা বাংলাসাহিত্য

দ্যাখো কী ফ্যান্টাস্টিক
অ্যা গ্রুপ অফ ফাকিং ফ্রিক
ঘুরে ঘুরে আমাদেরে করে
চিৎকারিয়া প্রার্থনাঘরে
কান-ঝালাপালা আব্বা আমাদের শুক্রবাসর

পরগতিপ্রিয় হুজুরেরা
খাসা সাহিত্যশম্বুকেরা
কার্টুনে ভড়কায়ে
ধরে যায়া খতিবের পায়ে —
বেহুলা নাই কোথাও, শুধু লোহালক্কড়…

বায়তুল মোকারমের দেশে
বিপ্লব সম্ভবপর নয় —
এই ডিক্রি হলে শেষে
বাংলাকাইব্য বেঁচে রয়
খতিবের খাস দিলের অভিলাষে

তাঁহার পাক-কদমে একতাসৈনিকের নতশির ঠেসে…

দেয়ারফোর, যাও হে অরুণবরুণকিরণতরুণ সভাবাধ্য কবি!
সেচো সর্ববঙ্গসুরভিতা সাহিত্যমোহিনী, নিতম্ব নরম রেখে, হেসে —

একটি মোটরকার যায়, মহাকালসড়ক দিয়া, গাড়লের মতো কেশে
.
.
অ্যান অ্যাপোলিটিক্যাল ওভারটোন ইন ডিসগাইস্ অফ ভার্সিফিক্যাশন
অশেষ করেছ তুমি —

কারে?
নহে, নহে! নেভার আমারে —

এক্কেরে শেষ করে দিতে চেয়েছ কতবার, আমারে, বারেবারে
তবু রোদন করি নাই গিয়া তব দ্বারে
ভিখ মাঙি নাই
উপেক্ষা করেছি তোমার সদাপ্রভু করুণাবিলানো বড়াই

হিংসায়, ঈর্ষায়, ইউ হ্যাভ বিকাম ক্রেইজি
সঙ্গীন উঁচায়া আসছ আমারে কতলিতে আমার নিঃশ্বাসের ট্রেইল খুঁজি খুঁজি

কিন্তু আমার লেঙ্গুর তুমি বিছড়ায়া পাবা?
আবহমান বাতাসে কেমনে বসাবা তব কন্সপিরেসির থাবা?
অতটা অলমাইটি তুমি নহ
হম্বিতম্বি ইচ্ছা-যা-হয় করো অথবা
চালাও তোমার চাবুক-হান্টার খরগোশের পিঠে অসহ —

আমারে ধরিতে সেপাই তোমার নাকানিচুবানি নাকাল
অলক্ষে দেখো লাফিং আউট লাউডলি পিয়াল-তমাল-শাল —

দেখে এহেন তব গরুখোঁজা হাল
আমি কিছুটা চান-সদাগর, কিছুটা রামপ্রসাদ
পদ্যপ্রচারযন্ত্রে ফাঁস করে ফিরিতেসি যুগে যুগে তোমার ন্যাক্কারজনক ফাঁদ
আমি হাওয়া, দ্য ওয়াইল্ড উইন্ড, আবহমানের

আমি খ্রিস্টপূর্বাব্দ সময়ে একবার
আমি দুইবার আমি তিনবার আমি ফিরিয়াফিরিয়া বারবার
মুখোশ খুলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়াছি তোমার বাপের —

আমারে তুমি ধরিবা?
ওরে আমার পিৎলা ঘুঘু, গুবরপোকার গ্রীবা!
লাইনে ফেরো, ঘুরে যাচ্ছে হাওয়া দ্যাখো, কবে আর বদলিবা!
‘বদলে যাও, বদলে দাও’ মার্কা স্ক্যাম বদল নয় —
অন্যবদল — শীতে যেমন বর্ষাকালীন বাতাস বদল হয়
এমনই লীলা, আস্পদ্দা এমনই তব —
আমারে তুমি করিবারে চাহো মূষিক-পুনর্ভব!
রচাইতে চাও আমায় দিয়া তোমার নরকঋতুর স্তব!

রে পাওয়ারস্ট্রাকচার, রে ঠিলাভরতি ইন্টেলেক্টের নচ্ছার!
আমি নহি, আয়্যাম নট, নেভার এভার
উড লাইক টু বি ইয়োর কেশকর্তনকারক কোর্টজেস্টার
.
.
রাইম অফ অ্যান আনরিপেন্টেন্ট কর্পোরেট কোলাবোরেটর
ফিরিলাম ঘরে
দেশোদ্ধার করে
দিনভর কাজ
ভুয়া বেলেহাজ
বেতমিজ মন
খোঁজে ভ্যাকেশন
এই তো ফুরলো
ছুটিদিনগুলো
লুটোপুটো ডুব
বেদিশা বেকুব
দেখিতে দেখিতে
বর্ষা যায় শীতে
বেজে ওঠে বীণ
শারদীয় দিন
কিছু মৃদু আলো
কিছু জমকালো
বাদবাকি তেতো
পায়েস সমেত
ছুটিহীন ক্লীব
অবলা অজীব
বাঁচা কিছুক্ষণ
বাকিটা মরণ
সেই হেতু আজ
মনে হলো কাজ
প্রাণে মেরে ফেলে
হাইডে জেকিলে
এইভাবে বাঁচা
ছুটিহারা খাঁচা
আমি গিনিপিগ
কোথা তুমি মৃগ!
মায়ার হরিণ
জমাতেছি তৃণ
লুটি নিতে আসে
তেরোটা বাঘডাশে
কর্তানাম ভজি
থাকি ঘাড় গুঁজি
খুঁজি অবকাশ
ছুরিনিম্নে শ্বাস
ইট’স মা’ লাইফ
বন জোভি সিংস্
গ্লিটারিং নাইফ
ফ্যল্-অ্যাপার্ট থিংস্
ভারবাহী গাধা
সাধো রাধা রাধা
আজব নিখিলে
বাঁচো অন্ত্যমিলে
কেরানি হে কাক
দিন কেটে যাক
তা-ধিন তা-ধিন
ভ্যাকেশনহীন
অন্তিমে যেয়ে
যাবে ছুটি পেয়ে
রুখিতে কে পারে
সেই ছুটিটারে!
দেশোদ্ধার শেষে
সেই ছুটিদেশে
তুমি ও মনিব
দোঁহে সাম্যসঞ্জীব…
.
.
বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে এই ভোরে আর বিচ্ছিন্ন বিদঘুটে লাগতেসে ভেতরে
আমার মুক্তি
আলোয় আলোয়
এই আঁধারে …

আমার মুক্তি —
আলোয় আলোয়?
নো, ড্যুড! —
আলোয় নয়
এই আঁধারে —
আমার মুক্তি ….

সামাজিক চুক্তি
রুশোর যুক্তি
ড্যাম ইট, ম্যান!

ডায়েরিতে ভুক্তি
চুলফালানির অন্ত্যমিলোক্তি
হুদাকামের হরিশ্চন্দ্র সেন!

বৃষ্টিঋদ্ধ কোনো ভোরে
একদিন পৈখ যাইব উড়ে
ফুড়ুৎ!
ফুরাইব রঙ, ফুশ!
হায় রে মানুষ —

শ্রী শ্রী ভুয়ানন্দ বেহুঁশ!
.
.
উইকেন্ডের গান
তেরা তো বিস্তার হ্যায় ম্যায়দান
ওড়না ধারতি তেরি শান
তেরি সরহানে হ্যায় ছাতান
প্যাহেন লে পুরা আসমান
তু পাগড়ি বাঁধ মিলখা
আব তু ভাগ মিলখা … আব তু জাগ মিলখা … তু বান যা নাগ মিলখা …
তু পাগড়ি বাঁধ মিলখা … তু গোলি দাগ মিলখা … ও তু হ্যায় আগ মিলখা …
ও তু ভাগ মিলখা … আব তু ভাগ ভাগ ভাগ মিলখা …
কদম হ্যায় তেরি হাহাকার
তেরি নাস-নাস লোহা তার
তু হ্যায় আগ মিলখা
ও ব্বাস তু ভাগ মিলখা…

দেখিয়া যা সার্কাসতাঁবুখান
আজান দ্যায় শামীম ওসমান
রাণীমার দয়ার শরীরপ্রাণ
উনি তার আপন আম্মাজান
হৃদয়ে হিস্টোরিক্যাল টান
ওদিকে বর্মী আগুয়ান
বাজিছে উইকেন্ডে এ-গান
জাপানি দিয়াছে সম্মান
কই গেলি দুষ্টু পোলাপান
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগকাপ্তান
ওরে মোর ক্রেইজি জেনরেশান
বিরোধীর মুণ্ডু কেটে আন
ব্যান্ড বাজা তোড়ি-বিলাসখান
হ্যায় মেরে গাব্বার ডিয়ার সান
মায়ের আশীর্বাদ আল্লার দান
তু হি রে তু হি মেরি জান
সিরিফ তু ইনোসেন্ট ইনসান
ম্যায় তুঝে দেগা কদরদান
ব্বাস তু ডর না মাৎ ওসমান
ওরে তু রু না মাৎ ওসমান
মেরে মাসুম বাচ্চো তু ঘাবড়া মাৎ ওসমান
মেরি সবসি আচ্ছি সবসি পিয়ারি ল্যাড়কা শামীম ওসমান
আব তু জারা সামঝে-সামহালকে খেলনা স্টার্ট কার-দে ওসমান
তেরা মা-কি দোয়া আউর ছায়া তেরা সাথ-সাথ রহেগা ওসমান
এবার আয় ওরে যুযুধান
বাবুজি খেলা দেখে যান
মালকিনের এ কী মুস্কুরান
লোকে কয় এ-ই তো আস্লি দান
চেত্নাবাজ থাইকো হে টানটান
দে ভেঙে যত আড্ডাস্থান
ছবির হাট গুঁড়িয়ে কর ময়দান
কেটে নে মুক্তকণ্ঠখান
নামায় দে শালাগোর গর্দান
কায়কোবাদ লেখো মহাশ্মশান
জনগণ করো অগ্নিস্নান
ন পোষায় দাওগে হে পিঠটান
তেরা মুন্না নেভার এভার বিগড়া যায়েগা আম্মাজান
দৌ উই হ্যাভ সিন্ দ্য ডিক্লাইন অফ ট্রেচারাস রোমান …

স্যং : ভাগ মিলখা ভাগ; সিঙ্গার : আরিফ লোহার, সিদ্ধার্থ মহাদেব; মিউজিক : শঙ্কর-এহসান-লয়; লিরিসিস্ট : প্রসুন জোশি; ম্যুভিনাম : ভাগ মিলখা ভাগ; কাস্ট : ফারহান আখতার, সোনম কপুর ও কলাকুশলী; সিনেমাটোগ্র্যাফি : বিনোদ প্রধান; ম্যুভিডিরেক্টর : রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা
দিজ পার্টিক্যুলার ভার্শন ওনলি ফর দি বে অফ বেঙ্গল রিলিজড অন এফবি ইন জুন টুথাউজ্যান্ডফোর্টিন
.
.
হে
বড় পাপ হে!
‘সামছু মিয়ার দেশে রে
বিয়ার বাদ্যিবাজনা বাজে রে’
গেলবার যারা দাওয়াত পাও নাই
না-পায়া মনের দুঃখে কুঁইকুঁই করিয়াছ
করিয়াছ নানাবিধ হাউকাউ-ধানাইপানাই
এইবার তাহাদের কেউ কেউ দাওয়াত পাইয়াছ
সকলেই নয়, কেউ কেউ, যাহাদের হৃদয়ে সারমেয়বত্তা আছে
তাহারাই কবি, তাহারাই লিখক, তাহারাই তিলোত্তমসম্ভবা তালবাহানা
যাহারা তোমরা, হা গো বন্ধু, এইবারও দাওয়াত পাও নাই, হে, আছো বড় দুঃখে
জেনো হে জেনো, পরেরবার, আগ্লি সালো মে, ইয়ার, তেরি ইনভাইট আয়ে গা, লড়াকু হে!
ডাকু হে সুলতান-সুলতানা, বাবু-বিবিয়ানা, সাহেবসুবোর সনে তেরা আসন-বসন হইব বৈঠকখানা
লাইনঘাট মেনো, কমরেড, বলশেভিক হও অথবা মেনশেভিক, শঙ্খ ঘোষের শব্দরাজি না-পড়িও কদাপি
পৃথিবীতে পাপ বলে কিছু নেই, আছে পুণ্যিরাজা পুণ্যিরাণী, আছে হে, আছে হে হে হে, মুর্গিপাখনার কাঁপাকাঁপি
আছে অনির্বচনীয় গোলামগিরি, হা হা আর হি হি, হেহ হেহ হে, হে হে, জ্বে জ্বে, জ্বি জ্বি, পুচ্ছফুরফুরা ঝিঁঝি
শিরাটনে খাইমু মামু শিয়ালের স্ট্যু, শকুনের রোস্ট, শজারুরেজালা আর তেলাপোকাপাতিত ওয়াইন
বড় বাপের পোলা আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত, কতদিন পোলাও-কোর্মা খাইতে পাই না, ভাগিনা, আমি বাংলার আইনস্টাইন
দুঃখ কোরো না, তোমরা যারা, পাওনি নিমন্তন্ন এবার, তোমরা যারা ভাগ্যহারা, ওরে অবুঝ শিমের মাচা
এবার যারা পাইল দাওয়াত তাদের পন্থ ফলো করো ওরে, তাদের তরিকা মানিয়া এবে কৌশলে তোর নিতম্বখান নাচা
আসছে বছর লিচ্চয় পাইবি, লিচ্চয় লিচ্চয়, ওরে আমার জিয়ন্তে-মরা লেঙ্গুটিয়া ভাই, একটু সবুর কর
ফলবে মেওয়া পাইবি দাওয়াত খাইবি সুখে তেলেঝুলে ভাত সঙ্গে খাবি শিক-ঢুকানো শূকর ও শম্বর
একটু কেন ভাবিয়া তোরা দ্যাখ-না ওরে কেমন করে ঘূর্ণিপাকে দেশে এবং দেশান্তরে ঘটে যুগান্তর
তোরা লাফালাফি শুরু কর, ওরে, বজ্রমুষ্টি এবং খিস্তি নীলিমার নীলে ফেসবুকে আর চোখে-মুখে জোরসে উঁচিয়ে ধর
ফাটায়া ফালা, মার ঠাপায়া, চালায়া যা, খা ছড়ায়া, পায়ের চিপায় পিঁপড়াকামড় যা ভুলি’ সত্বর
পাছার দিকে দেখিস কেনে, হে হে হে হে, দ্যাখ-না আগা কেমন মোটা কত্ত দণ্ডবৎ, হুকুম হইলে দে-না নাকে খৎ
পাছায় কিছু শব্দ শুনি, সিন্ডি সিন্ডি, ক্রফোর্ড নয় হে, কেট কেট কেট, নহে নহে প্রিয়, উইন্সলেট-ব্ল্যানশেট
তোমাদেরে আমি ভালোবাসি ওগো, সমান সমান, পাওনি কিংবা পাইয়াছ যারা দাওয়াত ও সোহবৎ
ইহবারে পাওনি পরবারে পাবে, হে হে হে হে, কেননা সামছু মিয়া আঁটকুড়া আর বহেন বিয়া ফিরিফিরি প্রতিবার
বাদ্য বাজাও, কুঞ্জ সাজাও, কই গো তোমরা, সামছু মিয়ারে নওশা-সাজে কেমন দ্যাখো লাগিছে চমিৎকার
বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি, পরের বারের তরে, ওরে, কাতার বান্ধি খাড়াও তোমরা ইয়ার!
হারাসনে রে বিশ্বাস তুই খড়ের গাদায়, সেথা পাইবি ঢুঁড়ে নির্মূল্য ধনরতন, পাইবি রাস্তা ভাগলবার
তয়, এই শর্মা না-যদি পায় আসছে বছর সামছু মিয়ার বিয়ার ইনভিটেশন লেটার
খবর আছে কয়া দিনু, মুই আৎমহৎমা করিমু, ওষ্ঠে অঙ্গুরীয় ছুঁমু, মুই জহর খায়ি মরি যিমু
অনশন বসিমু, গতরে কের্সেনতেল ঢালি দিশলাই দিমু
বুকে বোমা বান্ধিয়া সামছু মিয়ার বাসরঘরের চকির তলায় যায়া হান্দামু
লখাই সহিত বেহুলারেও খামু
তোরা যে যা-ই বলিস ভাই আমার সামছু মিয়ার বিয়ার দাওয়াত চাই
আগামী একবচ্ছর আমি চাইরপাশ দেখিশুনি বেশুমার সহিংস লড়াই লড়াই লড়াই করি যাই
লড়াই করার ছলে — পেটের খবর এইটাই — নিজের ধান্দাটা শানাই
‘রাজার ফুলবাগানে যাই’, হায়, ‘একটু হাঁটিয়া বেড়াই, রাই’ …
হে লিটারেরি ফেস্টিভ্যাল ঢাকা, বাংলা অ্যাকাডেমি, নভেম্বর ২০১৩
.
.
মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়েইলার্স ২০১৬
নো, উওম্যান্, নো ক্রাই
নো, উওম্যান্, নো ক্রাই
রাষ্ট্র তোমায় কাঁদাবেই জেনো
পালানোর পথ নাই

গ্যুড ফ্রেন্ডস্ উই হ্যাভ লস্ট
ভবিষ্যতেও তাই
হারানোর নাই সীমানা-শুমার
হারাতেই জন্মাই

হেরে যেতে যেতে ক্লেশে বেঁচে থাকি
ভিড়ের এই বিরানায়
মার খেয়ে খেয়ে বসি গিয়ে ফের
রাষ্ট্রের আঙিনায়

রাষ্ট্রের হেন লঙ্গরখানা
আমি খিদমতগার
তারই নির্দেশে মম হাতে হয়
মাতৃকাসংহার

তবু তুমি বাঁচো তোমার মতন
দৈব দুর্বিপাকে
হ্যাং অন্ হানি ইন্ দিস্ ট্র্যাশ্
ধর্ষকামীর ঝাঁকে

আমিও তো শোনো স্কন্ধকাটা
আমিও তো অসহায়
দুধমাখা ভাত ফেলিয়া গিয়াছি
দুর্বৃত্তের নায়

এখনও যদি-বা আসি ফিরে আমি
ফিরায়ে দেবে না কোল?
নিজের ভাগেতে না-রেখেই জানি
দিয়ে দেবে তণ্ডুল

তুমি আর আমি দুজনেই জেনো
একই শিকারীর শিকার
বাঁচার আশায় বখে গেছি আমি
মেনেছি নিজের হার

“হেরে যাও তবু হারিয়ে যেও না
রাষ্ট্রের রংবাজ” —
তুমি বলো আর আমি শুনে যাই
মাতৃকান্না আজ

আসিব ফিরিয়া আবার এদেশে
এ-যাত্রা হলে শেষ
ফেরাকালে ফেলে আসব সমূহ
রাষ্ট্রছদ্মবেশ

তখন থাকিব দুইজনে এক
পায়ের ওপর ভর
রাষ্ট্রবাহন ছাড়াই দেখিব
জোড়াসাঁকো-পতিসর

ওয়ান্স অ্যাগেন্ আই গ্যট্ টু স্যে ম্যান্
ফেলো না চোখের পানি
ডোন্ শেড নো টিয়ার্স, উওম্যান্!
ফিনিক্সপাখির গল্পটা আমি জানি।
.
.
মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়েইলার্স ২০৪০
সিটডাউন্ লিনডাউন্
লিনডাউন্ অল্ য়্যু, রাইট?
লেট’স্ গিভআপ্ দ্য ফাইট

গেটডাউন্ সিটডাউন্
লিনডাউন্ অন্ য়্যুর ন্যি
লেট’স্ কাম্ ওয়েইট অ্যান্ড স্যি

ওয়েলডান্ ওয়েলস্যেড
ওয়েলপ্লেড গ্রুম্ অ্যান্ড ব্রাইড
লেট’স্ গ্য গেট দ্য রাইড

ডিংডং ডিংডং
লিস্যন্ আপ্ দ্য বেল্
প্যুসি’স্ ইন্ দ্য ওয়েল্

হিপ্ হিপ্ হোররে
ইট’স্ হোলি হোলি ডে
লেট দ্যায়ার ডিক্ টু প্লে

নো ফ্রন্ট নো ক্ল্যাশ্
ব্লিসফ্যুল্ ব্রো অ্যান্ড ড্যাড
স্লটার য়্যুর ডটার ইন্সটেড

হোপ্ ফর টুমরো
টুডে লেট’স্ গ্য স্লিপ্
দ্য নাইট ইজ্ ডার্ক অ্যান্ড ডিপ্

শাটআপ্ স্কাউন্ড্রেল্
কিপ্ ইট আপ্ কিলরয়!
কাস্ট য়্যুর ভৌট ফর জয়

হ্যাভ ফান্ স্টে টিউন্ড
ঔনলি উইথ দ্য ক্যুয়িন্
ফর হুম্ দ্য স্কাই ইজ্ ক্লিন্

রেডি স্টেডি
বিসাইড দ্য রেপিস্ট
ভিক্টিম্স্ নেভার এক্সিস্ট

ডোন্ট য়্যু ওয়াচিং
ব্যাটিং অফ দ্য ব্রুট
অ্যা বিগ্ হ্যান্ড ফর দ্যায়ার ল্যুট

নো সাইন্ নো প্রুফ
ক্যাচ মি ইফ য়্যু ক্যান্
উই অল্ আর কাংগ্রেসম্যান্

লেফটিস্ট রাইটিস্ট
কাম’ন্ গ্র্যাব্ দ্য গ্রিল্
ইট’স্ চিলি চিকিন্ ফ্রিল্

উইপিং টাইগার্স
লেডি উইথ দ্য ল্যাম্বস্
শি লিড অ্যা গ্রুপ্ অফ ভ্যাম্পস্

হোল্ড টাইট দ্য হ্যান্ডল্
ট্র্যাভেল্ থ্রু দ্য নাইট
ইট’স্ টোয়েন্টিফোর্টি ফ্লাইট

সো-ফার সো-লং
উইথ আস্ সিং অ্যালং
দ্য রুলার্স হ্যাভ নো রং

রকিং রলিং
ফাকিং ফর দ্য ফ্রডস্
চিয়্যুয়িং ক্যান্ডিফ্লস্

অন্ স্টেইজ্ অফ স্টেইজ্
ওয়ান্ অ্যান্ড ওনলি ক্যুয়িন্
অপোজিশন্স ডুয়িং শিটি থিং

গেটআপ্ স্ট্যান্ডআপ্
স্ট্যান্ডআপ্ অ্যান্ড রিসাইট
ইট’স্ টোয়েন্টিফোর্টি ফ্লাইট

অন্ স্টেইজ্ অফ স্টেইজ্
ওয়ান্ অ্যান্ড ঔনলি ক্যুয়িন্
ভিশন্ অফ রেড অ্যান্ড গ্রিন্

লিভ লং রুল্ লং
ব্যাঙ্ক অ্যান্ড স্টক্ মার্কেট
লেট মি বি বিগ্ অ্যান্ড ফ্যাট

স্টেপআপ্ স্ট্যান্ডআপ্
বিট দ্য ড্রাম্ অ্যান্ড ড্রিম্
অন্ বিহাফ অফ ক্যুয়িন্’স্ স্কিম্

শাটআপ্ দ্য ওয়েইলার্স
নো মোর আর্গ্যুমেন্ট
স্টে ওয়ার্ম ইন্ য়্যুর ট্যান্ট

বেইবি ইট’স্ ভিশন্ অফ গোয়িং ভ্যাগ্
লেট’স্ ড্রিঙ্ক ইন্ডিয়ান্ রয়্যাল্ স্ট্যাগ্
রাস্তাফ্যারিয়্যা পাব্লিশড ইন্ অ্যা লিটলম্যাগ্ …
.
.
মার্লে অ্যাগেইন্
বাফালো সোলজার
পথ খোঁজো বেরোবার

কিবা রাত্রি কিবা দিন
উদ্যত সঙ্গিন

তোমার দিকেই করা তাক
রাষ্ট্রীয় কড়া পাক

হোমিয়োপ্যাথিক ডৌজে
রহিয়াছ মৌজে

ডেমোক্রেসি ডিডাংডিং
মন্ত্রীমিনিস্টারের শিং

ফাঁকা মাঠে একটা হাঁস
লোক-দেখানো বৈদা চাষ

বিরোধীরা চাঙ্গে
একলাই করপাঙ্গে

বন্ধু আছে ইন্ডিয়া
কান্দিস না রে বিন্দিয়া

কান্নাকাটির টাইম নাই
টোয়েন্টিফোর্টি দেখতে চাই

কিন্তু আলিম-ওলামা
সঙ্গে থেকে দাও হামা

হামাগুড়ি লম্ফঝাঁপ
হিংসাগানে নাহি পাপ

ভোট চাই না ভোটারের
দয়া চাই আমলাদের

নয়া নয়া লাঠিয়াল
নিত্য নব বুদ্ধিফাল

কামঅন্, বাফালো সোলজার
গর্ত খোঁজো পগারপার

কত ধানে কত চাল
ব্যাঙ্ক লোটে বেসামাল

যাই চলে ম্যারিকা
দাস্যখতে দীপশিখা

ফাইটিং অন্ অ্যারাইভ্যাল্
ফাইটিং ফর সার্ভাইভ্যাল্

আমি মহা চ্যাটের বাল
গাইতাসি রিভাইভ্যাল্

বরং বাফালো সোলজার
শর্ত মানো জমিন্দার

ভাগেযোগে খাও গুড়
বাঁচো বাছা সুমধুর

তলে তলে রসাতল
কংসরাজ্য কোলাহল

বাঘা তেঁতুল বুনো ওল
হুদাই করে খলবল

সমাজ একটা আস্ত বন
সোশ্যাল্ কম্মুনিকেশন্

জংলি যত জানোয়ার
বোধিলুপ্ত অন্তঃসার

এইটা খোঁচায় ওইটারে
ধুন শুনিয়া ফাল পাড়ে

বেচারা ঈশ্বর
তর্কে হারায় বাড়িঘর

যে খাওয়ার সে খাইয়া যায়
ভুখা থাকে ঝগড়ায়

বলছি শোনো চমৎকার
ববমার্লে-সুসমাচার

বলেই কিন্তু থামছি
মঞ্চ হইতে নামছি

কিন্তু কোথায় কে জানে
চাপাতিবাজ ময়দানে

একলা কিংবা জটলায়
ঘায়েল করবে এই আমায়

আমার লাইফের আগামী
লিগ্যাসি ছাড়া বান্দ্রামি

বলছি শোনো চারটে লাইন্
গোল কোরো না থাকো ফাইন্ :

If you know your history,
Then you would know where you coming from,
Then you wouldn’t have to ask me,
Who the ‘eck do I think I am.

বেইবি, বাফালো সোলজার
পথ খোঁজো বেরোবার

টাকাবাদ্য টঙ্কার
ধ্বনি তোলো ওঙ্কার

পথে নামো সখি হে
দেখতে ভালো পাইনে

কেউ কি আছে এখনও
মোষ তাড়াবে বন্য

নাই নাই তবু গাই
গাইতে গাইতে গর্তে যাই

হীরক রাজা সিনেমায়
মার্লে ড্রাম পিটায়া যায়

হাট্টিমাটিম টিমটিম
খোঁয়াড়ে পেড়ো না ডিম

মাঠে পাড়ো ওমলেট
সুর তোলেগা খালিপেট

কামঅন্, বাফালো সোলজার
পথ খোঁজো বেরোবার

বেইবি, বাফালো সোলজার
পথ খোঁজো বেরোবার …


প্যাট্রিয়োটিকা ।। জাহেদ আহমদ ।। লেখাকাল ২০১৩-২০১৬ ।। গানপারপ্রকাশ ২০২৩


COMMENTS

error: