আনোয়ার হোসেন ইউল্যাবে অল্প সময়ের জন্য আমার সহকর্মী ছিলেন। খুব যে আলাপ হতো এমন না। ফটোগ্রাফি পড়াতেন। ক্রিয়েটিভ কোর্স। আমি রিসার্চ কোর্স পড়াই। ফলে তিনি হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন ক্রিয়েটিভিটির মামলা বুঝবার এলেম আমার নাই। ফটোআর্টিস্ট হিসেবে তাঁর গুণের কথা সবাই জানে। বলছেও। কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখতাম, ফটোগ্রাফির মডেল হিসেবেও দারুণ ছিলেন এই শিল্পী। সত্যি বলতে, সালভাদর দালির পর এত ভার্সেটাইল আর প্যাশনেট ফটোমডেল অন্তত চিত্রশিল্পী আর ফটোশিল্পীদের মধ্যে আমি দেখি নাই।
একা একাই মারা গেলেন তিনি। নিজের দেশে। কিন্তু একটা হোটেলে। দেশে এলে হোটেলেই থাকতেন তিনি। মাসুদ খানের সরাইখানা ও হারানো মানুষ-এর গল্প যেন :
জগতের যত সংসারছাড়া লোক
ঘুরেফিরে শেষে সরাইখানায় স্থিত
হোটেলে মরাই ভালো। একা একা। আমিও হয়তো কোনো হোটেলেই মরতে চাইব।
মৃত্যু ঘনিয়ে এলে ব্যালকনি সরিয়ে দেবেন। হোটেলে পাঠিয়ে দেবেন। ছেলেটা যে কমলালেবু খাচ্ছে, আমার জানলা থেকে যেন তা দেখা না যায়!
… …
- হালুমহুলুমভালুমবাসা, ব্রাত্য রাইসু! || সুমন রহমান - November 23, 2024
- শেখশাহি, সাংবাদিকতা ও স্বাধীন বাংলা || সুমন রহমান - August 23, 2024
- দেশান্তরী গরিবের কম্যুনিটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট || সুমন রহমান - July 11, 2024
COMMENTS