শিরোনাম রাষ্ট্রসংস্কার

শিরোনাম রাষ্ট্রসংস্কার

 

ঠোঁটকাটা হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন বটে, বাঙালি আন্দোলন করে, সাধারণত ব্যর্থ হয়, কখনো কখনো সফল হয়; এবং সফল হওয়ার পর মনে থাকে না কেন তারা আন্দোলন করেছিল। মনে না থাকার কারণে আন্দোলন তাকে বারবার প্রতারণা করে। কলার খোসা হাতে ঘরফেরত মধ্যবিত্ত নিমজ্জিত হয় হতাশায়। শ্রেণিটি পরগাছা। সমাজের ওপরতলায় ও নিচতলায় যারা বিচরণ করছে তাদের মাঝখানে স্যান্ডউইচ হয়ে বাঁচার তালে থাকে। ওপরতলার উচ্ছিষ্টভোগী হয়ে বাঁচার বেদনা তাকে পোড়ায়। নিচতলায় যারা ক্লায়কেশে দিন গুজরান করে, এখন ওই লোকগুলোর কাতারে নামতে হবে ভাবলে চোখমুখ শুকিয়ে আসে। না ঘরকা না ঘাটকা পরগাছা শ্রেণিটির সম্বল বলতে কেবল জলো আবেগ। তার মতোই অন্তঃসারশূন্য আবেগ! তো, সেই আবেগে থরথর পরগাছারা আবার একটি বিফল আন্দোলন (অথবা বিপ্লব) প্রসব করেছে। এর সাফল্য নিয়ে যদিও তাকে দোলাচলে ভুগতে দেখছি। সেইসঙ্গে দেখছি তার হৃদয়হীন আত্মবিলাস!

সাধের আন্দোলন প্রতিবিপ্লবের হাতে পড়ে ছিনতাইয়ের শঙ্কায় বড়ো কাতর এই মধ্যবিত্ত! বিপ্লব বাঁচিয়ে রাখতে নির্দয় হতে আপত্তি নেই। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লবকে একলার সম্পত্তি ভাবার পুরোনো বাতিক তাকে আবার পেয়ে বসেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে বোঝাই বিপ্লবের কাছে তার প্রত্যাশার অন্ত নেই। অন্যরা প্রত্যাশা করছে দেখলে যদিও কেঁপে উঠছে কলিজা। মধ্যবিত্ত ভাবছে, সে এর একমাত্র হকদার। বাকি যারা দাবি আদায়ে মাঠে নামছে, তারা হাসিনাপার্টির লোক। বিপ্লব বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত। প্রতিবিপ্লব প্রতিহত করার মাধ্যমে দেশে বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে;—আপ্তবাক্যটি তাই জপছে অবিরাম। বৈষম্যহীন সমাজের খোয়াব পূরণ করতে যারা গদিতে বসেছেন, উনাদের নিয়ে বল্গাহারা ভক্তি ও মুগ্ধতা ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে এই মধ্যবিত্ত আপাতত নারাজ। প্রশ্ন ও সন্দেহ জ্ঞাপনে ঘোর অনিচ্ছুক দেখছি তাকে!

দাবি আদায়ে সচিবালয় ঘিরে ফেলা নিচতলার আনসার বাহিনির একাংশকে শত্রু ঠাউরে বসতে এই মধ্যবিত্ত তাই দুবার ভাবেনি। প্রতিবিপ্লবী ডাকতে দ্বিধায় পড়তে দেখিনি তাকে। ছাত্রশক্তি নাকি আনসারগুলাকে পতিত স্বৈরাচারের লোক বলে জানতে পেরেছিল। শায়েস্তা করতে ধরে-ধরে পিটিয়েছে। ছাত্র ও আর্মি মিলে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে আনসারদের। প্রিজনভ্যানে পুরে গরাদে চালান করেছে আনসারলীগ হয়ে আসা ছদ্মবেশী প্রতিবিপ্লবীদের। মধ্যবিত্ত তাতে বেজায় খুশি! যাক বাবা, নষ্ট আনসারগুলার কারণে সাধের বিপ্লব বানচাল হতে বসেছিল। ছাত্ররা ঠেকিয়েছে। সমাজমাধ্যম জুড়ে কবি-লেখকের সে কী হিংস্র উল্লাস!

হে মধ্যবিত্ত, তুমি বড়ো ভুলোমনা। ভুলে গেছো, বৈষম্যের প্রতিবাদে আনসার বাহিনি নয়ের দশকেও আওয়াজ তুলেছিল। সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দিয়েছিল তখন। কত রাজা-রানী দেশে এল গেল! আনসারের দাবি শোনার সময় হয়নি কারো। হতভাগারা জন্মের অচ্ছুত! এখনো তাই। বিপ্লববেহুঁশ কবি-লেখকদের অতশত ভাবার টাইম নেই। ছোটলোক আনসারগুলা হাসিনাপার্টির লোক জেনে রক্তে ক্রোধের ফুলকি ছুটছে উনাদের। না, কোনো দয়ামায়া দেখানো যাবে না। গদিনসীন রাজার পেটোয়া বাহিনি ছাত্রশক্তি যা করেছে ঠিক করেছে। ব্যাটাদেরকে আচ্ছামতো ডলা দিয়েছে তারা। দাবি চাইতে সচিবালয় ঘেরাওয়ের সাহস করবে না কভু। সত্যমিথ্যা যাচাইয়ের দরকার আছে কোনো? ছাত্ররা যা বলছেন, রাষ্ট্রসংস্কারে গদিনসীন সরকার যা বলবেন,—সেগুলো একমাত্র সত্য; বাকি সব মিছে। সচিবালয় ঘেরাও করতে আসা আনসারকে হাসিনাপার্টি জানতে পেরে মধ্যবিত্ত কাজেই বেজায় ক্ষুব্ধ। তারা পিটুনি খেলো দেখে মনে খুশির হাওয়া। আনসার ফিনিশ  ব্যানারে সয়লাব থেকেছে সমাজমাধ্যম। সয়লাব ছিল দেশ!

ঢাকা শহরে রিকশাচালকরা হাসিনা-অত্যাচারে কোণঠাসা ছিল। মধ্যবিত্ত ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে নিজের ভাবছিল বোকাগুলো। তারা ভাবছিল, এতদিন তো দাবির কথা তুলতে পারিনি। দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলে হাসিনার পেটোয়া বাহিনি খেদিয়ে দিয়েছে। নতুন রাজারা ভালো মানুষ। বৈষম্য দূর করতে গদিতে বসেছেন। মোদের কথা নিশ্চয় শুনবেন। ব্যাস, আগপিছ না ভেবে বোকাগুলো রাস্তায় নেমে পড়েছে। রিকশাচালক নামে দেখে মধ্যবিত্ত বেজায় খাপ্পা। সমাজমাধ্যমে বিরক্তি ঝেড়েছেন দেদার,—ছোটলোকের বাচ্চাগুলা আর নামার টাইম পেল না! দাবি কি হাতের মোয়া? রাস্তায় নেমে ক্রিং ক্রিং বাজিয়ে চাইবি আর টুপ করে তোদের হাতে পড়বে! এতই যখন শখ, হাসিনার কাছে কেন চাইলি না? তখন তো নামার সাহস ছিল না তোদের! প্রতিবিপ্লব ঘটাতে কারা তোদের রাস্তায় নামিয়েছে সে আমরা বুঝি। দাঁড়া, ছাত্ররা আসতেছে, পিটিয়ে লাশ বানাবেনে!

বেকুব রিকশাচালকের ওপর ঝাল ঝাড়ছেন মধ্যবিত্তে শরিক কবিলেখক। বড়ো ভুলোমন উনাদের! ভুলে গেছেন, চব্বিশের হাসিনা খেদাও আন্দোলনকে বৈষম্যবিরোধী ও রাষ্ট্রসংস্কার  নামে তেনারাই ডাকছেন বটে! যদি তা-ই হয় তাহলে আনসার আর রিকশাচালকরা তো জন্ম থেকে বৈষম্যের শিকার। জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো / আর কতদিন বলো সইবো / এবার আদেশ করো, তুমি আদেশ করো / ভাঙনের খেলা খেলবো…;—মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার পর গানের কলিগুলো তারা গাইছে অবিরাম। দেশটাকে হাসিনা তার বাপের মনে করত। দেশ সবার, কারো বাপের না;—এই বীজমন্ত্র বুকে নিয়েই তো বিপ্লব  হলো। তাহলে? দেশটা কি এখন কেবল মধ্যবিত্ত ছাত্রজনতার? দাবি জানানোর অধিকার তার একলার? এমন তো হওয়ার কথা নয় বাহে! কথা তো এ-রকম ছিল না হে ছাত্রশক্তি, হে নয়া বিপ্লবের কাণ্ডারি!

মানছি, বোকাসোকা আনসার আর রিকাশাচালকরা ভুল সময়ে ভুল দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। নামতেই পারে। মুরুক্ষু মানুষ। লেখাপড়া জানে না। একটা বুঝতে আরেকটা বুঝে বসে। তা-বলে তাদের ওপর রাগ ঝাড়তে হবে? নিরলে দাবিগুলো কি শোনা যেত না? দাবির কতখানি যৌক্তিক সেটি কি ভেবে দেখা যেত না একবার? পূরণ করা সম্ভব কি না সেটি কথাবার্তা বলে মীমাংসা করা যেত না? রাজা-উজিরের কাজটা কী তাহলে? কথা সত্য, সকলে দাবি নিয়ে নেমে পড়ায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। কাজকম্মোয় বিঘ্ন ঘটছে বিলক্ষণ। বিঘ্ন যেন না ঘটে তার জন্য কৌশল কি ঠিক করা যেত না? দাবি নিয়ে যারা প্রতিদিন রাস্তায় নামছে তাদেরকে শান্ত করতে বিকল্প পথ ভাবার সময় হয়নি এখনো? বিপ্লবের ফসল রাজা-উজির কিন্তু সেদিকে গেলেন না। সচিবালয় ও রাজার বাসভবনের চারধারে কেউ জড়ো হতে পারবে না। যার যত দাবি সেগুলো লিখে জানাতে পারে;—দেশজুড়ে ঘোষণাটি রাষ্ট্র করে মামলা মুলতবি করলেন রাষ্ট্র সংস্কারে নিবেদিত সরকার! মধ্যবিত্ত খুশি। মনে প্রশ্নের ঝড় নেই। তারা খুশি এই বিশ্বাসে, পতিত স্বৈরাচারের উসকানি পেয়ে এরা রাস্তায় নেমেছিল। সবগুলো হাসিনাপার্টি। প্রতিবিপ্লবী। ডাণ্ডা দিয়ে ঠাণ্ডা করা বড়ো দরকারি।

প্রতিবিপ্লবের শঙ্কাকাতর মধ্যবিত্তকে কত কি করতে দেখছি এখন! অন্যায়কে বৈধতা দিতে কলিজা কাঁপছে না। দেখছি হৃদয়হীনতা। দেশে কী চলছ তার খবর পাওয়ার উপায় কার্যত অবরুন্ধ। হাসিনা সরকারের কুকীর্তিগুলো তবু লিক হতো তখন। গণ ও সমাজমাধ্যমে আচমকা বেরিয়ে আসত খবর। বিপ্লবী জোশে কবি-লেখকরা ঝাঁপিয়ে পড়তেন। দেশে ভয়ের সংস্কৃতি কায়েম করা হয়েছে বলে আওড়াতেন কত-না বিপ্লবী বুলি! এখন তার কুছ নেই। সব লাপাত্তা। হাসিনা সরকার পাদ দিলে লাইভে ছুটতেন টিভিহাম্বাদিক। এখন লাইভে যেতে হিসাব করেন উনারা। সংবাদ পাঠকপাঠিকার চোখেমুখে জেল্লা নেই। রোবটের মতো পড়ছেন দিনের খবর! কেন? প্রশ্নের উত্তর নেই। আছে কেবল নিরুত্তর ভক্তি। বিমোহিত বচনে মউ মউ সমাজমাধ্যম।

বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব শেষে গদিনসীন সরকাররাজে ওসব ঘটার জো নেই। ছাত্রশক্তির ভয়ে সকলে এখন বিটিভি। সংবাদপত্র ম্যাড়মেড়ে। টকশোরা নিরামিষ। সমাজমাধ্যমে রাতদিন ভক্তি-বন্দনার মচ্ছব। ঢপ করে ছাত্রনেতাদের পায়ে পেন্নাম ঠুকছেন কবি-লেখক। উনারা বেজায় খুশি। যুক্তির বাহারে রঙিন :—না না একে কণ্ঠরোধ বলো না। কণ্ঠরোধ তো হাসিনা করেছিল। প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে সকল খবর সামনে আনতে নেই। খবরবাহকরা ছাত্রশক্তির ভয়ে সংযত আছে। এটা থাকা দরকারি। বোঝো না কেন, রাষ্ট্রসংস্কার চলছে। বিরক্ত করা যাবে না। সংস্কার যারা করছেন তারা কীভাবে কী করছেন সেগুলো ফাঁস করা উচিত নয়। পাবলিক কিছু না-বুঝে ঝামেলা করবে। উনারা হলেন আশার প্রদীপ। কাজ করতে দিতে হবে। পনেরো বছরের জঞ্জাল সাফ করতে তারা কাজ করছেন। ঝামেলা করলে হাসিনাপার্টি সুযোগ পাবে। প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে হবে ভাই। ছাত্রশক্তি জিন্দাবাদ।

মধ্যবিত্ত জিন্দাবাদে মশগুল। ভক্তিরসে মাখামাখি। হিরোদের পায়ে ঢপ করে পেন্নাম দিতে ব্যস্ত। ফাঁক গলে তবু কিছু-না-কিছু বেরিয়ে আসছে। বিপ্লবে যোগ দিতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের যারা মানা করেছিল সেইসব শিক্ষক বিপদে পড়েছেন। ছাত্ররা জোর করে তাদের দিয়ে পদত্যাগে সই করাচ্ছে। বাপ-মায়ের বয়সী শিক্ষকের গায়ে হাত তুলছে তারা। গালে থাপ্পড় দিচ্ছে। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দিচ্ছে। মধ্যবিত্ত কবি-লেখকের কাছে এগুলো অভব্যতা নয়। এটি হচ্ছে মব জাস্টিস। যাদেরকে মারছে, পদত্যাগে সই করাচ্ছে, তারা সবকটা অসভ্য দুর্নীতিবাজ। ছাত্রছাত্রীদের ওপর নিপীড়ন করেছে এতগুলা বছর। যেমন কর্ম তেমন ফল পাচ্ছে তারা। শিক্ষকদের একনাগাড়ে হাসিনাপার্টির লোক ঠাউরে উল্লাসে ঢেঁকুর তুলছে মধ্যবিত্ত শিক্ষিতসমাজ। কে দোসর আর কে নয়…, ইত্যাদি অতশত যাচাইয়ে কারো মন নেই।  প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে প্রতিহিংসা পরম বৈধ। সুতরাং, ছাত্রলোগ, তোমরা যা করছ তার সব ঠিক হ্যায়। মারহাবা…! কেয়াবাত…! চালিয়ে যাও চড়থাপ্পড়। আমরা আছি পেছনে…, সমাজমাধ্যমে পড়ে আছি তোমাদের বাহবা দিতে।


দেশটাকে নরক বানিয়ে তোলা হাসিনা সরকারের চোর-ডাকাত-খুনিগুলা দিগবিদিকজ্ঞানশূন্য। পালাতে গিয়ে ধরা পড়ছে প্রতিদিন। ফাঁক গলে বিগত দিনের চোর-ডাকাত পিলপিল বেরিয়ে আসছে কয়েদখানার শিকলি কেটে। সমস্যা নেই ইয়ার! বিপ্লবে এসব ঘটবে। তারা তো চোর-বাটপার নয়। তারা হলেন ফেরেশতা। হাসিনা জোর করে কয়েদ রেখেছিল। ধরপাকড়, গরাদে চালান, বদলি আর বরখাস্তের মচ্ছব দেখে সকলে তাই দিলখোশ। ইচ্ছা করলেই যাকে-তাকে মামলা ঠোকা যাচ্ছে। ডিগবাজি জায়েদ খান আর ফাজিল শাহরিয়ার নাজিম জয় সহ পঞ্চাশজনের নামে একযোগে মামলা ঠুকেছে কেউ। তারা নাকি খালেদা হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল! ওদিকে ব্লগার হত্যার আসামিরা জামিনে মুক্ত। জেলখানা থেকে বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে আসছে। নির্বিচার এসব হামলা-মামলা-জামিন বড়ো কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পিত চেষ্টা কি না সেটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ও সন্দেহ নেই কোথাও!  বিপ্লবের মেওয়া হাতে পাওয়ার অপেক্ষা ছাড়া! নিজের দাবিগুলা নিয়ে কবে কখন যুতমতো মাঠে নামবেন তার প্রস্তুতি সারছেন মধ্যবিত্ত। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে সচিবালয়ে ঘেরাও করবেন তখন। ঘেরাওটি এখানে আবার প্রতিবিপ্লব নয়। আন্দোলনে যারা শরিক, এটি তাদের অধিকার। বৈষম্যহীন সমাজ তৈরির বীজমন্ত্র তাতেই সাধন হবে বটে!

সমাজ সত্যি বৈষম্যহীন হতে চলেছে। ছোটলোক আনসার, রিকশাওয়ালা আর চাষা-মজুর ছাড়া বাকিরা সবাই বিপ্লবী। কবি-লেখকরা তো অতিকায় বিপ্লবী এক-একজন! উনারা না বড়ো ভুলোমনা! ভুলে গেছেন, উনাদের এ-যাবত করা সকল বিপ্লব দিনশেষে চেনা থেকে অচেনা হয়ে ওঠা লোকের ঘরে উঠেছে। এমন লোক যারা অচিরে উনাদেরকে প্রতিবিপ্লবী নামে ডাকতে শুরু করবে। প্রেমিকা হারানোর বেদনা নিয়ে ফিরতে হবে ঘর। মধ্যবিত্ত কবি-লেখকরা তখন কি করবেন? তারা কি আবার খোয়াব দেখবেন? সমাজমাধ্যমে সান্ত্বনা দেবেন একে অন্যকে,—বুঝলে না ভাই, আগেরটা কিছু খবিসরা মিলে শেষ করেছে, এখন নতুন আরেকটা ক্যামনে শুরু করা যায় সেইটা ভাবতে হবে।
আহমদ মিনহাজ


জুলাই জেনোসাইড : গানপার সংকলন
আহমদ মিনহাজ  রচনারাশি

Support us with a click. Your click helps our cause. Thank you!

পরের পোষ্ট

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you