রোজ্যারিয়ো উবাচ

রোজ্যারিয়ো উবাচ

কথাটা আমিই প্রথম বলছি ভাবতে পারলে ভালো হতো, যদিও তা না, কথাটা আমার আগে দুনিয়ার সকলেই ভেবেছে এবং বলেছে যে, এই দুনিয়ায় আমাদের সকলেরই কিছু দায়দায়িত্ব সকলেরই কিছু কর্তব্য আছে, এইগুলা আমরা সকলেই জানি এবং স্বীকারও করি, কিন্তু যখনই দায়দায়িত্বগুলো সম্পাদনের সওয়াল আসে তৎক্ষণাৎ আমরা সকলেই এমন আচরণ করি যেন ওইগুলা আমার নয় আর-কারোর করবার কথা।

আমাদের হাত থেকে উনারা কাড়িয়া ছিনাইয়া নিয়া গেসেন আমাদের হকহালাল জিনিশগুলা। আমরা এখন কি করব? বড়জোর যা করতে পারি তা হচ্ছে একটা আবেগিক স্তরের লেনাদেনা কাকুতিমিনতি আমরা চালাইয়া যাইতে পারি।

ইয়াদ করতে পারব না পুরাপুরি, কিন্তু এইটুক বোধহয় আবছা ইয়াদ করতে পারব যে মালটা কোত্থেকে যে এসে জুটেছিল আমার লগে, হপ্তাখানেক সেঁটে থাকে আমার বগলে, এরপরে একদিন দুম করে বলে বসে যে মালটার লগে নাকি আমার ছাড়কাট হওয়া দরকার। অতটা গা করি না আমি এইগুলার ব্যাপারে।

হলিউডের লোকগুলার লাইফস্টাইলই এমন যে তেমন-একটা সেক্স করবার ফুরসত তারা বাইর করতে পারে অল্প। অন্তত আমার কথা আমি বলতে পারি যে আমি তো খুব-একটা টাইম বাইর করতে পারি না লাইন মারার বা সেক্স-ফেক্স করার।

সবসময় এমন হয় যে মনের ভিতর হুদাই প্রশ্নেরা লাফায় আর বলতে থাকে কে এই গাড়িটা ভাড়া করেছে বা কই যাচ্ছি আমরা বা জায়গাটায় যাচ্ছিই-বা কোন কামে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু অত সওয়াল-জওয়াব না করে সোজা রাস্তাটাই ধরতে পারি এবং বলতে পারি যে শ্যাম্পেনের জন্যে থ্যাঙ্কস এবং আমি আরেকটা পেগ নেব।

অভিনয়ের একটা পর্যায়ে যেয়ে মনে হয় যে এই ক্যারেক্টারটার লগে প্রেমট্রেম কিছু-একটা হতে চলেছে বোধহয় এবং আমি বোধহয় এর লগেই জিন্দেগি গুজরাইতে চাইছি, কিন্তু অন্যদিক থেকে এমন একটা পর্যায় আসে যখন সীমারেখাটা টান দিয়া আঁকতে হয় আরও অগ্রসর হবার আগে।

ব্যাপারটা হাস্যকর যে এতকিছুর পরেও আমরা প্রেম করে যাচ্ছিলাম। যদিও ওই সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের যৌথ ব্যবসায় ব্যর্থ হয়েছি, আবেগের জায়গায় মিলমিশ হচ্ছিল না, খালি বিচ্ছেদটাই ছিল ঘোষণার অপেক্ষায়।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

বিদিতা গোমেজ

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you