সত্যি বলতে কি, অভিনয় শিখবার জন্য আমি ইশকুলে যাই নাই কখনোই। নিপাট সাজানোগোছানো একটা স্ক্রিপ্ট ভেঙেচুরে কেমন করে অভিনয়কলা ফলাইতে হয় তাও শিখি নাই আমি। কিন্তু গোড়া থেকেই আমি অভিনয়ক্লাসের পাঠ নিচ্ছি, নিয়ে আসছি এখনও রোজ, সেই ক্লাসগুলায় আমারে কেউ অভিনয় নিয়া ডিরেক্ট কিছুই শেখায় না। তারা আমারে শেখায় আমার নিজের সম্পর্কে, নিজেরেই চিনতে শেখায়, এরচেয়ে বেশি কিছু না বা এর বাইরে কিছুই না।
যখনই চিত্রনাট্য পড়ি বা কোনো ক্যারেক্টার নিয়া প্রস্তুতির কাজটা করি, এমন না যে সেই মেয়েটার চরিত্রকাঠামো লক্ষ করি, কখনোই ঠিক এইভাবে দেখি না যে মেয়েটা শুরুতে এমন হলেও পরের দিকে যেয়ে ভিন্নরকম হয়ে যাবে ইত্যাদি। কিন্তু চরিত্রের এই দিকগুলা নিয়া বোঝাপড়া একটা তো থাকেই। তবে সেই বোঝাপড়াটা সচেতন কোনো বুদ্ধিবিবেচনা না যেমনটা ভাবে বেশিরভাগ লোকে, এইটা সাবকনশাস একটা আন্ডার্স্ট্যান্ডিং বরং।
অভিনয় আমার কাছে একটা ফান। সবসময় আমি জিনিশটাকে খেলাচ্ছলে দেখি। কিন্তু অভিনয় করতে যেয়ে ভাষার চিহ্নতাত্ত্বিক হইবার বা স্ট্র্যাটেজিক ম্যুভ লইবার বাসনা আমার হয় না কখনোই। ভিন্ন কিছু করতে যেয়ে উদ্ভট কিছু বা পণ্ডিতি কিছু করবার খায়েশ আমার নাই। ভিন্নধারার কিছু তো সবসময় করতে চাই। স্ক্রিনপ্লে দেখে বা পড়ে আমি যদি নিজেকে যথেষ্ট উদ্বেলিত মনে করি, তখনই বুঝি যে এই জিনিশটা আমারে করতে হবে।
জর্জ ক্লুনি নিজের জর্জক্লুনিনেসের বাইরে বেরোতে খুব-একটা চান্স পান বলে মনে হয় না। আমার সঙ্গে দেখা হবার প্রথম দিনে এই ক্লুনিনেসের খোলস থেকে উনি বাইরাইতে পারেন নাই। কিন্তু পরে উনি আর আমার কাছে জর্জ ক্লুনি হয়া থাকেন নাই। তিনি আমার কাছে একটা দারুণ হৃদয়ের মানুষ, আমার কাছে তিনি ক্যান্টাকির ক্লুনি।
মানবিক চিত্রনাট্যের দেখা পেলে আমি তাড়িত হই, সাড়া দিতে একটুও দেরি করি না। মানবিক চিত্রনাট্য বলতে সেই স্ক্রিপ্টগুলাই বুঝি আমি যেইগুলা খুবই র, রিয়্যাল এবং রিস্কি। বিশেষ করে স্কেয়ারি ক্যারেক্টারগুলা আমার ভাল্লাগে। এই ধরনের ক্যারেক্টারে আমি প্লে করতে চাই। তাই বলে হরর স্কেয়ারি নয়, বিপন্নতার বিচারে স্কেয়ারি।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- শৈলিন উডলির কথাগুলি (৭) - August 11, 2019
- কেইটের কথাবাত্রা (১০) - July 25, 2019
- টিল্ডা টোল্ড (২) - May 12, 2019
COMMENTS