ভালো বলসেন, তা-ই তো বলবেন, ভালো ভালো কথা, আলো, প্রথম প্রথম, করতেসেনও অনেককিসু উন্নত উন্নত, করতেসিও তো তা-ই, তিনবন্ধু দুইভাই, মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি সবাই, ভালো বলতেসি, ভালো না-বলার কোনো কারণও তো নাই, হিম্মতের সওয়াল কেউ যদি ওঠায় তো পত্রপাঠ উহারে অ্যাডিয়্যু জানাই। কিন্তু কথাটা হইল, কবীর সুমন আমাদের কচি বয়সে একটা গান গায়া শুনাইসিলেন, বহুবার শুনসেন আপনিও, ওই গানের মাঝখানে একজায়গায় একটা লাইন : ‘তালে তাল দিয়ে যায় হ্যাঁ-হ্যাঁ বলা সঙ’ — তো, ওইটাই, আমরা তো সংসারী, থাকিলে সংসারে ডোবাখানা আর কচুরিপানা নিগ্যাটিভলি দেখার কিসু নাইও হয়তো, ম্যালেরিয়া-আমাশয়-উদরাময়-ডেঙ্গু হইলে মেডিকেলশাস্তর রইল তো, কড়ি দিয়া কিনিব উপশম। তবু, ভয়ঙ্কর এই জীবনানন্দীয় অব্যয় — এবং সংসারে নেসেসারি কিছু ব্যাপার টিকায়া রাখতে এই অব্যয় পদের কিসু কন্ট্রিবিউশন প্রমাণিত, শয়তানের অসোয়াসা বা আর-কোনো অজ্ঞাত কারণে আমরা মাঝে-মাঝে লিখতে প্রবৃত্ত/উপনীত/উপগত হই, ঠিক যেমন আপনি লেখেন শর্টগল্প কবিতা বা কালেভদ্রে আমি ইস্তারাসে স্যাটায়ারিক রম্য নিবন্ধ টুটাফাটা, আর লেখা মানেই-যে ভালো বা মন্দ বলার বাইরে যেয়ে একটা স্টেইট, সেইটা আপনি তো জানেনই। কিন্তু, আই সাপোজ আই গট ইয়োর পয়েন্ট, সংসারে সেইফ সাইডে থাকা ভালো, সো সবকিসুই ভালো বলার পলিসি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি — জিনিশটা আমারও লাইফের মটো। তবে স্ট্র্যাটেজিক্যালি এইভাবে এইধারা ভালো-বলা আমার কাছে মনে হয় গড়পরতা খারাপ-বলা অপেক্ষা অনেক বেশি ইফেক্টিভ। এই গেরিলা ওয়ারফেয়ার, আমি যদি ভুল না-করে থাকি, এই সময়ের একটা সাংঘাতিক উদ্ভাবন। উঠিবারে যে চাহে, হেরে আশমানে উঠায়া দিয়া মাটিতে আমরা মনের মতন কাজকাম করে যাইতে পারি। কিন্তু, কথাটা হলো কি, শৃঙ্খলা জিনিশটা ব্যক্তির জন্য দরকারি না নিশ্চয়, ব্যষ্টিবিকাশের জন্য দরকারি — এতে এখনও আবছা আবছা আস্থা আছে তো আমাদের। ভয় হয়, এমনকি, ব্যক্তিটাও যদি পথ হারায়া ফেলে, যদি ভেসে যায় — ভেসে গেলেই-বা কী, যদি বলেন, তো খামোশ রই — কিন্তু কত-কী-না করবার কথা ব্যক্তির, আর ব্যক্তি না-করে বলশেভিক-মেনশেভিক পার্টি এসে করে দেবে সেই প্রত্যয়েও তো পুরা আস্তিক থাকতে পারি না নানা কারণে। এখন, সবেধন নীলমণি দন-কোহিতো মহোদয়ও যদি টিঙটিঙা টাট্টু আর তালপাতার তলোয়ারখানা বারবার হারাইতে থাকেন, তাইলে বলেন দেখি কী-আর থাকে! এম্নে ক্যাম্নে হয়! অ্যানিওয়ে, এহেন ভয়, এইধারা আশঙ্কা, এগুলো তো খুব মানবিক বলিয়াই বিবেচনা করতে পারব, নয়? এইসব, এইসমস্ত। ক্রুয়েল তো থাকিই সবসময়, কেবল কদাচিৎ কাইন্ড-এনাফ হয়া উঠি, ভয় ও শঙ্কা নিয়া ভাবতে বসি, আননেসেসারিলি, এ-ই যা। ভালো, দুই মাসতুতো মিলে এই-যে ভাবলাম, ভালো না! লাফিং আউট লাউড … হাসুন, অট্ট অথবা হাল্কা। ভালোবাসুন অল্প-অল্প, পরিমাণমতো, চলচ্চিত্রনাট্য কবিতা আর শর্টস্টোরি লিখুন চুটায়া। অ্যাডমিন ক্যাডারের সদয় নির্দেশে অ্যাওয়ার্ডটা আমার নামেই ডিক্লেয়ার করা হলে লেখালেখি সিরিয়াসলি চালাব ধুমায়া।
- যেভাবে হয়ে ওঠে ‘এসো আমার শহরে’ || শিবু কুমার শীল - March 6, 2025
- Basudeb Dasgupta’s ‘Randhanshala’ The Cooking Place translated by Sourav Roy - March 4, 2025
- ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনা ও যুদ্ধদিনের ইউক্রেনীয় কবিতা || জয়দেব কর - February 17, 2025
COMMENTS