মা-বাবার পরই শিক্ষকের স্থান, এই বোধটা এখনো মনে রয়ে গেছে। এখন তো শিক্ষকদের পদত্যাগ করানোটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতে হয়তো আর কেউ শিক্ষকতা পেশা বেছে নেবেন না। অথচ এই শিক্ষকতা পেশাটাই ছিল সমাজের সবচাইতে সম্মানের।
আমাদের জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা স্কুলে মার খেয়ে বাসায় গিয়ে বেতের দাগ লুকিয়ে রাখতাম, বাড়ির কেউ দেখে ফেললে আরো দুই ঘা মাইর বেশি খাবো এই ভয়ে। স্কুলে যে-স্যারকে খুব ভয় পেতাম, অভিভাবকরা সেই স্যারকেই অনুরোধ করতেন যাতে উনি আমাকে প্রাইভেট পড়ান। স্যারদের নিয়ে অভিযোগ করব, সেই সাহস বা প্রশ্রয়ের সুযোগ অভিভাবকরা দিতেন না। কোন স্যার কোন রাজনৈতিক দল সাপোর্ট করেন, কোন স্যার কোন ধর্মের এটা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথাও ছিল না। বরং এত কড়া শাসন, কান ধরে উঠবস, রোদে দাঁড়িয়ে থাকা, বেতের ঘা খাওয়ার পরেও স্যারদের অসম্মান করার ইচ্ছা কখনো দুঃস্বপ্নেও জন্মায়নি।
কোনো একটা অদ্ভুত কারণে হয়তো, যত দিন যাচ্ছে, যত বয়স বাড়ছে, আমাদের স্যারদের প্রতি শ্রদ্ধাও বাড়ছে। রাস্তাঘাটে মাঝেমধ্যে স্যারদের দেখলে কথা বলতে গেলে একটা অস্থিরতা কাজ করে, প্রচণ্ডরকম শ্রদ্ধাবোধে মাথা নিচু হয়ে আসে। শুধু আফসোস হচ্ছে এখনকার জেনারেশনের জন্য। শিক্ষক মেরে শিক্ষিত হওয়া যায় না।
পূজা শর্মা রচনারাশি
জুলাই জেনোসাইড, লাল জুলাই
- ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনা ও যুদ্ধদিনের ইউক্রেনীয় কবিতা || জয়দেব কর - February 17, 2025
- মাসুম পারভেজ : কবি, কাব্যগ্রন্থহীন || সরোজ মোস্তফা - February 7, 2025
- ছত্তার পাগলার সন্ধানে আহমেদ স্বপন মাহমুদ ও সরোজ মোস্তফা - January 28, 2025
COMMENTS