৩৯ বছর! জানুয়ারি ২৮, ১৯৮৫। কে বলবে ঊনচল্লিশ বছর চলে গিয়েছে এর মধ্যে! মাইকেল জ্যাকসনকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম কেন মনে হচ্ছে মাইকেল কাছেই আছে! সময় যেন থমকে গিয়েছিল ২৯ তারিখ ২০২৪ এই অভাজনের মাথার ভেতর। কোথা দিয়ে দেড় ঘণ্টা সময় চলে গেল টের পেলাম না।
সুরের কী অমিত শক্তি! The Greatest Night in Pop — Netflix-এর এই ডকুমেন্টারি প্রতি মিনিটে এ-কথাই বলেছে, সুরের কাছে পৃথিবী বশ।
আফ্রিকাতে ইথিওপিয়াতে দুর্ভিক্ষ চলছে — আইরিশ ও ব্রিটিশ গায়করা একসাথে তাদের জন্য কনসার্ট করে সাহায্য পাঠিয়েছেন। অথচ আমেরিকার সিঙ্গাররা কিছু করছেন না। এ-সময় ফন্টে ভাবেন —
“The performers were predominantly white, and legendary artist and civil rights activist Harry Belafonte thought that top Black stars needed to be included in a charity single. ‘We have white folks saving black folks. We don’t have black folks saving black folks,’ says Lionel Richie in the documentary, paraphrasing how Belafonte pitched the project to him. ‘We need to save our own people from hunger.’ He was trying to get us, the younger group, involved in what was happening in Africa. I said, of course.”
মাইকেল ও রিচি শুরু করেন গান লেখার কাজ। মাইকেলের বাসায় রিচি যখন মাইকেলের পোষা সাপের মুখোমুখি হন তখন আবার মন আমার কাঁদে, হায় মাইকেল! কে আছে তোমার মতন এ গ্রহে এত দরদি! শৈশব আমাদের মাইকেলের ভেতর থেকে কখনো যায়নি।
মাইকেল যখন গেয়ে ওঠেন সেই ঐতিহাসিক গান, We are the world, we are the children আরও ৪৫ জন শিল্পী সহ তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ কণ্ঠ ঐ মাদকতা এই এক জীবনে আর কেউ নিয়ে আসেনি।
মানুষের জন্য মানুষ যখন এক হয় তখন যে সৌন্দর্য রচিত হয় তা স্বর্গীয়। আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠান শেষ করে সব শিল্পীরা ছুটে এসেছেন একটা গান সবাই মিলে গাইবেন বলে। ১১ ঘণ্টা লেগেছে একটা গান গাইতে। আর সবকিছু যিনি অ্যারেঞ্জ করেছেন সেই Quincy Jones স্টুডিওর ঢোকার দরোজায় লিখে রাখেন —
“leave your egos at the door.” With such a star studded lineup, ego management becomes a factor. This was an event to raise money for the famine and disease relief in Africa after all. This sign was a reminder to keep your ego in check.
আমি তো একচোখা দৈত্যের মতো শুধু মাইকেল জ্যাকসনের কথা বলে যাচ্ছি। শিল্পীদের নামের তালিকা দেখলে বুঝবেন কে ছিল না সেই ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইনে।
একটা গান, সুর কীভাবে একাত্ম করেছে এত মানুষকে তা উপলব্ধি করার বিষয়। মানুষের পাশে হৃদয় দিয়ে দাঁড়ানোর মতো তৃপ্তির, আনন্দের কাজ আর কিছু নেই। We are the world গানের ৪০ বছর পূর্তিতে তা দৃঢভাবে আবার বিশ্বাস করলাম নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টারি দেখে।
সময় সুযোগ পেলে আর্দ্র অন্তকরণে দেখে ফেলবেন এই অসাধারণ আপ্লুত-করা ডকুটি। আমার মাইকেল থাকুক আমার সাথে এভাবেই।
আফসানা কিশোয়ার রচনারাশি
গানপারে এমজে
- তুমি বাংলাদেশ ও অন্যান্য কবিতা || ফজলুররহমান বাবুল - May 27, 2025
- মেঠোসুর কলরব : আবহমানের উৎসব || রূপকার - May 17, 2025
- মেঠোসুর আনন্দযাত্রা : গানময় এক সংবেদনশীল বাংলাদেশ || বিমান তালুকদার - May 9, 2025
COMMENTS