দেয়ার ওয়াজ আ মোমেন্ট : ফার্নান্দো পেসোয়া || আনিকা শাহ

দেয়ার ওয়াজ আ মোমেন্ট : ফার্নান্দো পেসোয়া || আনিকা শাহ

ফার্নান্দো পেসোয়ার পঁচাত্তরটা নাম ছিল। সেগুলাকে সে কখনও ছদ্মনাম বা সিউডোনিম বলত না। বলত হেটেরোনিম। কারণ নামগুলা শুধু নাম ছিল না, আলাদা একেকজন মানুষ ছিল। যেমন আমরা অনেকেই হয়ে থাকি — একেক প্রেক্ষাপটে একেক ব্যক্তি। নিচের কবিতাটা ফার্নান্দো পেসোয়ার লেখা, ফার্নান্দো পেসোয়ার নামে। এই ফার্নান্দো পেসোয়া একটা মুহূর্তের মধ্যে বসবাস করে — তার আগেও না, পরেও না। যেমন আমরা অনেকেই করে থাকি। আর সেটাই, হয়তো, যথেষ্ট। 

কবিতাটার নাম ‘দেয়ার ওয়াজ আ মোমেন্ট’, আই হ্যাভ মোর সোল্‌স দ্যান ওয়ান  বই থেকে পাওয়া। পর্তুগিজ থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ জোনাথন গ্রিফিনের, ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ আমার।
আনিকা শাহ, জানুয়ারি ২০২১, সিডনি


এ ক টা  মু হূ র্ত  ছি ল
ফার্নান্দো পেসোয়া


একটা মুহূর্ত ছিল
যখন তুমি
আমার জামার হাতার উপর
(কাহিল হয়েই, বোধহয়,
ভেবেচিন্তে না)
তোমার হাত রাখলা। আর
সরায়ে নিলা। আমি
টের পাইলাম তো, নাকি না?

জানি না। কিন্তু মনে করতে পারি
টের পাই এখনও
কেমন যেন স্মৃতির মতো,
দৃঢ়, রক্তমাংসের,
যেখানে তুমি হাতটা রাখলা, সেখানে
অর্থ তৈরি হইল — কেমন যেন,
না-বোঝার-মতো —
কিন্তু এত আলতো করে…
এসব কিছুই না, আমি জানি।
জীবনের রাস্তাঘাটে, অবশ্য,
অনেককিছুই — অমন বহুত —
না-বোঝার-মতো।

আমি কি জানি,
যখন আমি টের পাইলাম তোমার হাত
এসে বসল
আমার জামার হাতার উপর
আর একটু করে, একটু করে,
আমার মনের ভিতর,
তখন নতুন একটা
ছন্দ ছিল কি না জগতে?

যেন তুমি,
অজান্তেই,
আমাকে ছুঁয়ে ফেলছিলা
ভিতরে, আমাকে বলতে
কোনো রহস্যের কথা,
আচমকা, অপার্থিব,
না জেনেই যেন
যে রহস্য ছিল।

যেমন গাছের ফাঁকের
হাওয়া বলে
অজান্তেই
কোনো অস্পষ্ট
আনন্দের কথা।

… …

COMMENTS

error: