সত্যজিৎ রায়ের বাড়ির সামনে তাঁর পরিচালিত সেরা সিনেমাগুলোর পোস্টার শোভা পাচ্ছে, বাড়ির সামনের রাস্তার নামকরণও হয়েছে তাঁর নামে, একমাত্র ছেলে সন্দীপ রায় এখনো বাড়ির ওপরতলায় থাকলেও দারোয়ান বললেন বাড়িটাই নাকি বিক্রি হয়ে গেছে!
ল্যান্সডাউন রোডের [বর্তমান শরৎ বোস রোড] ১৮৩ নাম্বার বাড়ির যে-পাশটায় কবি জীবনানন্দ দাশ ভাড়া থাকতেন, নাম বলায় বর্তমান ভাড়াটিয়া তাঁকে চিনতেই পারলেন না, বাড়ির পেছনের পুরোনো নিমগাছটি তবুও কবিস্মৃতি পাহারা দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত! হয়তো গাছের ডালে এখনো বসে শালিক আর সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপেঁচা! বাড়ির অদূরে ট্রামলাইন দেখে রূপসী বাংলার কবির জন্য আরও বাড়ল যেন বিষণ্ণতা!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তারুণ্যভরা ক্যাম্পাস শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি মনে করে দিলো বারবার! আহা — সোনালি সময়!
ছবি তোলা বারণ ছিল থিয়েটার রোডের ৮ নাম্বার বাড়িতে। ১৯৭১ সালে সেখানের পেছনের একটি কক্ষে থাকতেন আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বাংলার তাজ তাজউদ্দীন আহমদ, সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র পাঠাতেন নানান জায়গায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভেবে যুদ্ধ চলাকালীন তাজউদ্দীন কখনো পরিবারের সাথেও থাকেননি! সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন বললেন, “এখানে প্রবাসী সরকারের কোনো অস্থায়ী কার্যালয় বা অফিস ওরকম কিছু ছিল না, শুধু তাজউদ্দীন সাহেব একা থাকতেন। সিকিউরিটির জন্য তাঁকে পেছনের একটি ঘরে রাখা হতো।” ঘরটি কোমলমতি বাচ্চাদের নাচ শেখানোর ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহৃত হয় এখন।
কোলকাতার অলিগলি, পথঘাট, সারি সারি পুরোনো বাড়ি, হাতে-টানা রিকশা, ট্রাম-বাস, হলুদ ক্যাব, পৌরভবন, নিউমার্কেট, মটকার চা, মুসলিম খাবারের রেস্তোরাঁগুলো এখনো কিছু কিছু আছে ঠিকঠাক!
- ১০ কবিতা || হোসনে আরা কামালী - June 26, 2025
- ঘুম ও না-ঘুমের গদ্যলেখা || ফজলুররহমান বাবুল - June 12, 2025
- অবসাদ ও অন্যান্য || জওয়াহের হোসেন - June 11, 2025
COMMENTS