এবির জন্যে এলিজি ||  ইমরান ফিরদাউস

এবির জন্যে এলিজি ||  ইমরান ফিরদাউস

ইদানীং আইয়ুব বাচ্চুর মনের তপ্ত বুকে ক্লান্তির প্রজাপতি করছিল বসবাস কি না — তা অজানাই রয়ে যাবে। তিনি চিরতরে চলে গেলেন, আমাদের তাকে বা তার গীতমালাকে ভুলতে না দিয়ে।

গতকাল রাতে বিবেক আমার স্মৃতির পর্দাঘেরা অতীতকে ডেকে জিজ্ঞেস করছিল আশির দশকের উন্মাতাল তরুণী ময়না কি আজ পড়ন্ত বেলায় কবিতার লাইন চুরি করে অবিচুয়ারি লিখছে আইয়ুব বাচ্চুর জন্য? বা বাচ্চু কি দাফনের বাঙ্কারের ফুলশয্যায় শুয়ে শুয়ে ভাবছে আমায় ছাড়া আর কতদিন রবে?

আইয়ুব বাচ্চু মানে এলআরবি  ব্যান্ড — কৈশোরের প্রথম হাতে-নেওয়া ডবল অ্যালবামের ফিতা। বাচ্চু মানে বাংলা রকগানের খাটুনিদার প্লেয়ার — সাইকেডালিক কিড। এই যেমন ১৯৯৪ ঈসায়িতে রচিত ১২ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ‘সুখ’ নামের গানটা। আধো পিঙ্ক ফ্লয়েড চেনা বাল্যকালে, এই ট্র্যাক একতোড়া বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, সেই মফস্বলের হাতে-বেলা-রুটির সকালে ব্যাপারটা আমি বলব কাকে?

ভোররাতের নষ্টপ্রায় ভাতের মতন এই নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কালে বিষাদ যখন ভালোবাসা, তখন —

ইদানীং আমার সুখের তক্তপোশে
বেদনার ছারপোকার অবাধ যাতায়ত
ইদানীং আমার প্রেমের ছদ্মবেশে
ছলনার সংলাপের নিত্য সহবাস

এবং ইদানীং আইয়ুব বাচ্চু (১৯৬২-২০১৮) মরে গেলে পর, আমাদের দাঁতের মর্যাদার কথা মনে পড়ে যায়।

প্রচ্ছদচিত্রে ব্যবহৃত মূল ফোটোগ্রাফের শিল্পী ইমতিয়াজ আলম বেগ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you