ইলিয়াস, খোয়াবনামার : পঁচিশেই, তিন নাম্বার বার || শফিউল জয়

ইলিয়াস, খোয়াবনামার : পঁচিশেই, তিন নাম্বার বার || শফিউল জয়

 

শুভ জন্মদিন, ওস্তাদ৷ বঙ্গীয় উপন্যাস সাহিত্যে আপনি একমেবাদ্বিতীয়ম।

চিলেকোঠার সেপাই’-এর ঢংটা, যাকে বাজারে ইওরোপিয়ান সাহিত্য বলে ঠাউর করা হয় — ওইটা মনে হয় তা-ই৷ ওসমান, শশী ডাক্তার আর ওয়ালীউল্লাহ-র যুবক মাস্টার — এরা তো কমবেশি একটাই ক্যারেক্টার৷

বলা হয় ইলিয়াস না কী ক্যান্সারে মারা যাওয়ার আগে ’৭১ নিয়ে একটা উপন্যাস লিখতে চাইছিলেন (বা লেখা শুরু করে দিছিলেন)। না-লিখে মারা যাওয়াতে একসময় একটু খারাপ লাগতো — ’৪৭ আর ’৬৯ ইলিয়াস যেইভাবে ডিল করলেন — ’৭১টাও সেইভাবে সে আমাদেরকে দেখাইতে পারতেন৷

পরে মনে হয়, আসলে ’৬৯ এর পর ’৭১-এ আর তেমন কিছু হয় নাই উল্লেখযোগ্য৷ খালি রক্তের বিনিময়ে ফর্মালিটিটা সম্পন্ন করা হইছে ’৭১ সালে৷

এবং তারপর যা হওয়ার কথা ছিল ঘটনাপ্রবাহ — তা-ই হইছে৷ কিন্তু পুরা চিলেকোঠার সেপাইতে সেটার ইঙ্গিত নাই সম্ভবত ততটা৷

যেটার ইঙ্গিত আছে, আমার ধারণা মাহমুদুল হকের ‘জীবন আমার বোন’-এ হক সাহেব তা খুব সীমিত পরিধির মধ্যে সমাপ্ত করতে পারছেন৷ এত বৃহদাকার পৃষ্ঠাখরচ শুধু ইলিয়াসের গদ্যের জন্যেই পড়ে ফ্যালা যায়৷ ভালোও লাগে, কিন্তু স্রেফ বাংলা সাহিত্যের স্ট্যান্ডার্ডেও নতুন কিছু মনে হয় অতোটা লাগে না।

তবে, খোয়াবনামার দিকে তাকায়া থাকবে পূর্ববঙ্গের অধিবাসীরা, অনেকদিন৷ আমিও তাকায়া আছি তিন নাম্বার বার পড়ার জন্যে৷ দুই হাজার পঁচিশেই সেটা৷


শফিউল জয় রচনারাশি
গানপারে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

Support us with a click. Your click helps our cause. Thank you!

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you