ওল্ড অ্যান্ড ইয়াং || ইমরুল হাসান

ওল্ড অ্যান্ড ইয়াং || ইমরুল হাসান

ডেক্সটার-এর সিজন থ্রিতে এই কাহিনিটা আছে। শহরের ডিফেন্স অ্যাটর্নি এলেন উলফ, দুইবার ডিভোর্স হইছে, এখন সিঙ্গেল, নিজের জব নিয়া খুবই সিরিয়াস; ডেক্সটারের বস মারিয়া লাগোর্তা-র লগে খাতির হয় উনার। দুইজনেই ফোর্টি প্লাস ফিমেইল। একটা প্রোগ্রাম থিকা আইসা বার-এ বসেন; তখন বার্টেন্ডার ইয়াং পোলাটার লগে ফ্লার্ট করতে থাকেন। মারিয়া কয়, এইগুলা কি করো … অপরিচিতদের সাথে এইগুলা করাটা তো রিস্কি। তখন শে কয়, দুইটা বাজে জামাইয়ের সাথে থাইকা আমি বুঝছি যে, দুনিয়ার আসল হ্যাপিনেস হইল ইয়াং পোলাপানদের লগে ফ্লার্ট করা!

পরে রাতে ওই পোলা আসার কথা থাকে বইলাই মার্ডারারটা ইজিলি এলেনের রুমে ঢুকতে পারে। মানে, কমবয়সী পোলাদের লগে ফ্লার্ট করাটা ঠিক কি বেঠিক এইটা নিয়া সরাসরি কোনো কথা নাই। সবারই তো কিছু না কিছু উইকনেস থাকে, স্ক্রিপ্টরাইটার হয়তো ফোর্টি প্লাস উইমেনদের এই অভ্যাসরে ক্রিটিসাইজ করতেও চান নাই। কিন্তু দ্যান-অ্যাগেইন, এই সাজেশনটাই আবার রিভিল কইরা ফেলেন যে, ফোর্টি-প্লাস হইলে এইরকম করাই যায়! এইটা বলাটাও একটু ঝামেলারই।

উমবার্তো ইকো ইন্টারপ্রিটেশন আর ওভারইন্টারপ্রিটেশন লেকচারের একদম শেষে নিজের পার্সোন্যাল একটা কাহিনি বলতেছিলেন। উনার ফুকো’স  পেন্ডুলাম-এ ইয়াং কাসাবোন একটা ব্রাজিলিয়ান মেয়ের প্রেমে পড়ে, মেয়েটার নাম আম্পারো। ব্রাজিলিয়ানদের নর্ম্যালি এইরকম নাম থাকে না, তো এইটা মিলাইতে গিয়া আরেক কাহিনি কওয়া লাগে উনারে। বইটা ছাপা হওয়ার পরে এক ফ্রেন্ড তারে কইল, ‘আরে, মাইয়াটার নাম আম্পারো রাখছো কেন? এইটা একটা পাহাড়ের নাম না… ওই যে, গুয়াজিরা গুয়ানতানামিরা  গানটাতে আছে?’ তখন ইকোর পুরা কাহিনি মনে হইল। ইয়াং বয়সে উনি এক মাইয়ার প্রেমে পড়ছিলেন, ওই মাইয়াটা এই গানটা গাইত … তো, ইয়াং বয়সের প্রেমের কথা লিখতে গিয়া উনার কনশাসনেসের বাইরে ওই মেমোরিটা চইলা আসছে উনার লেখায়। এইটা কোনো ইন্টারপ্রিটেশন না, জাস্ট পার্সোন্যাল ঘটনা হিসাবে বলছেন। কিন্তু আমার মনে হইতেছিল, একজন বাজে লেখক এই জিনিশগুলিরে ফেইক করতে পারেন আসলে; বাজে মানুষেরা যেমনে পারেন, লাইফে। মানে, ইনসার্শনগুলি কনশাস হইলেই ভালো, না-জাইনা না-বুইঝা আর্ট কইরা ফেলার চাইতে।

আবার, ডেক্সটারের ঘটনার পজিটিভ ভার্শন হইল গ্লোরিয়া (২০১৩) সিনেমাটা। একজন ফ্রি-স্পিরিটেড উইমেন সেইম এইজের একজনের লগে অ্যাফেয়ার করতে গিয়া ধরা খান। এইজ কোনো ঘটনা না আসলে। ঘটনা হইল, একটা সার্টেন এইজরে বা সার্টেন ফিলিংসরে কিছু অ্যাক্টিভিটির মধ্যে আটকাইয়া ফেলাটা। মানে, ফ্লার্ট করাটা কখনোই ইশ্যু না, অবস্টেকল হইল ফ্লার্ট করার লাইগা নিজেরে সর্ট অফ ‘কচি মাইয়া’ বইলা ভাবতে পারাটা। এইজ টুয়েন্টিতেও আপনি সিক্সটির বিহেভ করতে পারেন। যখনই আপনারে কওয়া লাগে, মাই নেইম ইজ খান … বা আই অ্যাম অ্যা উইমেন … তখনই আপনি আসলে বলতে চাইতেছেন এর একটা ইমবেডেড মিনিং আছে, যেইটা আপনি হওয়ার পরেও সেইটা না। ধরেন, খান বা উইমেন বলার পরে যেই হাসিটা চইলা আসে, এর লাইগা পরের কথাটা আর শোনাই যায় না। লজিক্যাল ট্রুথ আসলে মিনিং পয়দা করে না, মিথিক্যাল ট্রুথগুলি করে।

আর মিথগুলা আসলে আগে থিকাই আছে। আপনি জাস্ট আবিষ্কার কইরা ফেলেন (তখন ইন্টেলেকচুয়ালিটির সেন্স ইর্মাজ করে আপনার)। বা ফিট-ইন করতে থাকেন (ফেইক-ল্যভে হাবুডুবু খাইতে থাকেন, মাছের মতন, এইটা যে পানি, সেই ফিলিংসটাই গায়েব হয়া যায়)।

Movie title: Gloria ।। Directed by Sebastián Lelio ।। Starring: Paulina García ।। Language: Spanish ।। Running time: 110 minutes ।। Released in 2013

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you