গুলশান ২, হোটেল সেন্টার পয়েন্ট, দ্বিতীয় তলা, রুম নং ১০২। এখানেই ছিলেন কবি জয় গোস্বামী। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বই উৎসব উপলক্ষে ১ নভেম্বর ২০১১ তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। অবশেষে তার সঙ্গে আমাদের কথা বলার সুযোগ হলো। যদিও রুমে প্রবেশের আগ পর্যন্ত তার সাথে দেখা হওয়া না-হওয়া নিয়ে আমোদের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় ছিল। আমরা আপন মাহমুদ, ফেরদৌস মাহমুদ, জাহানারা পারভীন, মাসুদ হাসান, মাদল হাসান, মাহমুদ শাওন, জিমি, ইফতি জানতে চেয়েছিলাম কবির আত্মজীবনীর অংশ। জয়দা অন দ্য রেকর্ডে খুব বেশি কথা বলতে রাজি নন। তিনি চেয়েছিলেন সমস্ত আনুষ্ঠানিকতার উর্ধ্বে উঠে স্রেফ গল্প করতে আমাদের সাথে। এমনকি তিনি ছবি তুলতেও বারণ করছিলেন। ফলে এই লেখাটি লিখতে আমাদের স্মৃতির কুয়ো হাতড়াতে হলো। লেখাটি তৈরি করেছি আমি আর কবি আপন মাহমুদ । শূন্যের এই ক’জন কাব্যপ্রেমীর সাথে তিনি মেতেছিলেন এক দীর্ঘ ঘরোয়া আড্ডায়। তাকে ঘিরে যত-না প্রশ্ন, যত-না রহস্য তারচে’ আরও বেশি রহস্য আর প্রশ্ন রেখে তিনি হঠাৎই চলে গেলেন…
“আমি একজন নিয়তিতাড়িত মানুষ। আমার কোনো সম্পর্কই টেকে না। সব সম্পর্ক গড়ায় যেন বিচ্ছেদেরই দিকে। এমনকি আমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক দু’বার ভেঙে যেতে যেতে টিকে গেছে।”
এভাবেই কথা বলে উঠেছিলেন জয়দা।
নিয়তিতাড়িত? কোনো সম্পর্কই টেকে না? এটা কি আপনি কবি বলেই?
“না , এটা man to man vary করে। তবু কেন জানি মনে হয় নিয়তি দ্বারা আমি অনেক বেশি তাড়িত।
তাহলে প্রেম? প্রেম কী হয়নি আপনার?
“হয়েছে। মিলনে সুখও আছে।”
আপনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমার জীবদ্দশার মধ্যে, আমার ব্যক্তিগত জীবনে এবং সমস্ত পৃথিবীতে, এমনকি পৃথিবীর বাইরে যা-কিছু ঘটছে সবই আমার আত্মজীবনীর অংশ।” আমরা বলতে চাইছি আপনার জীবদ্দশায় অনেক সহিংস ঘটনা ঘটেছে, অনেক বর্বরতা পৃথিবীর বুকে অযথাই পা তুলছে। এইসবও কী আপনার আত্মজীবনীর অংশ?
“দেখো, আত্মজীবনীর অংশ বলতে তো কেবল যাপিত জীবনের অংশ নয়, এখানে সৃষ্ট প্রতিটি ধ্বনি যা আমি শুনতে পাই, তার ভালো-মন্দ আমাকে বইতে হয়। শরীরটা আমি বইতে পারি, মনটা পারি না। এখানকার প্রতিটা ঘটনা-দুর্ঘটনার ফলাফল মনে নিয়ে, মেনে নিয়ে আমাকে বাঁচতে হয়। এ বড় কষ্টের। আমি অনেক উপর থেকে পড়ে-যাওয়া বিচূর্ণ, খণ্ড খণ্ড…। বিজ্ঞানীরা বলছে ২০৪৬ সালে মহাকাশের একটা উল্কাপিণ্ড পৃথিবীকে আঘাত করবে। বিজ্ঞানীরা যদি একে ধ্বংস করার চেষ্টাও করে, আর যদি তার কোনো-একটা অংশ পৃথিবীতে এসে পড়ে, তবে তার যে ফলাফল হবে তা অকল্পনীয়। তোমরা আমাকে ভুলে যাবে। আর হয়তো দেখা হবে না। আমার বয়স এখন ৫৩। আমি ১০ বছর পর এসেছি। আর আসতে পারব কি না জানি না। পৃথিবীর ধ্বংস হওয়াটা আমাকে দেখে যেতে হবে না। এটাই আনন্দের। আমার লেখা হয়তো তোমরা আর পাবে না। আমি আনন্দবাজার ছেড়েছি, ওখানে আমার বইয়ের বিজ্ঞাপনও আর ছাপা হবে না। তোমরা আমাকে খুঁজেই পাবে না। সব জেনেশুনেই আমি আনন্দবাজার ছেড়েছি।”
তাকে বেশ বিষাদগ্রস্ত দেখাচ্ছিল কথাগুলো বলার সময়।
“একজন লেখক যদি তার মনের কথাই না লিখতে পারল, তবে আর সে কিসের লেখক।”
লিটলম্যাগে লিখবেন…?
“ওখানকার লিটল ম্যাগের প্রতিষ্ঠান বিরোধীরা আমাকে বেশ্যার দালাল বলে।”
বেশ নির্লিপ্তভাবেই তিনি কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন। তার বিষাদগুলো তিনি লুকোতেই চেয়েছিলেন বলে মনে হয়।
আশির দশকের পর বাংলা কবিতার কেবলা বাংলাদেশমুখী। এক তরুণ এই বিষয়টি অবতারণা করলে তিনি বললেন,
“কেবলা?”
বোঝা গেল শব্দটিতে তিনি অভ্যস্ত নন। আমরা তাকে বোঝাতে সক্ষম হই। জয়দা খুবই আশাবাদী এপারের সাহিত্য নিয়ে।
“বাংলাদেশের সাহিত্য অসীম সম্ভাবনাময়। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ যে চলচ্চিত্রের নাম হতে পারে তা কলকাতায় ভাবাই যায় না। ওখানে অনেকেই তো কাজ করছেন। কই এমন নাম রাখার সাহস তো কারও দেখিনি। তোমাদের এখানে একটা মেয়ের নাম ‘ছোঁয়া’। ভাবা যায় বলো! ভাষার প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই ‘ছোঁয়া’ নাম রাখা যায়। এখানে ভাষা দিয়ে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। অনেক তরুণের কবিতা পড়লাম এই ক’দিনে। অসম্ভব ভালো লিখো তোমরা। কারণ ভাষার প্রতি তোমাদের তীব্র ভালোবাসা। বাঙলা ভাষাকে তোমরা অনেক বেশি ভালোবাসো। তাই হয়তো সম্ভব হচ্ছে এমন ভালো কবিতা লেখা।”
‘দারুচিনি দ্বীপ’ দেখেছেন?
“না।”
কিন্তু আপনাদের মনোভঙ্গি দেখে তো তা মনে হয় না। একটা অবজ্ঞার দৃষ্টিতে আপনারা বাংলাদেশের শিল্পসাহিত্যকে দেখে থাকেন। গত বছরের ‘কৃত্তিবাস’-এর এক সংখ্যায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৫০ বছরের বাংলা কবিতা বিষয়ক গদ্যে বাংলাদেশের কোনো কবির নাম পাওয়া যায়নি। আমরা ঠিক মিলাতে পারি না।
“কোনো-একজন ব্যক্তি কী লিখল আর কী লিখল না তা বড় কথা নয়। আর এছাড়া কলকাতার লিটলম্যাগাজিন আর সাহিত্যপত্রই বলো সবখানে বাংলাদেশের লেখকদের লেখা গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বই কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আর আমার স্ত্রী সকাল পাঁচটায় উঠে পড়তে বসে। আমি আটটা-সাড়েআটটায় উঠি। আমার শেলফে আখতারুজ্জাম ইলিয়াস, সেলিনা হোসেন, তসলিমা নাসরিন, নাসরিন জাহান এদের বই আছে। আমি লেখক বলেই এই বইগুলো আমার কাছে আছে তেমন বিন্তু নয় ব্যাপারটা। আমার স্ত্রী বইগুলো সেখানকার বুকস্টল থেকে কিনেছে। শুধু আমি নই আরও অনেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করে এবং পড়ে।”
খুব দৃঢ়তার সাথে এই কথাগুলো বলছিলেন। আমাদের এ-বিষয়ে আরও কথা ছিল। কিন্তু ভেতরঘর থেকে ফোন বাজছিল। তিনি উঠে যান। ফিরে এলে আলোচনা অন্যদিকে চলে যায়।
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় তো বলেছেন বাংলাদেশে সেই অর্থে কোনো লেখক নেই।
“সন্দীপন অনেক বড় লেখক। বিন্তু একজনের ব্যক্তিগত লেখা ধরে এ-কথা বললে তা বড় অবিচার হবে। একজনের কথা কী সর্বদা যথার্থ হতে পারে! বাংলাদেশের লেখকদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কলকাতা থেকে। তবে কি তাদের মূল্যায়িত করা হয়নি?”
এর সাথে তো রাজনীতি জড়িত…
“দেখো কোনো পুরস্কার কমিটিতে আমি থাকি না। পুরস্কার রাজনীতির সাথে আমি জড়িত নই। ঐ জীবন আমি কাটাইনি। আর যে-জীবনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আমি যাইনি, তার মূল্যায়ন আমি কীভাবে করব? এ-বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।”
আবার ফোন। ফলে যা শুরু হয় তা আর শেষ হয় না।
কবি হিসাবে আপনি নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
“আমি লিখেছি। নিজেকে মূল্যায়ন করার আমি কেউ নই। পাঠকই আমাকে মূল্যায়ন করবে। নিজের সম্ভন্ধে কী আর বলব বলো।”
এই তরুণ বয়সে আমরা যেমন আপনাকে অনুভব করি তেমনি আমাদের মতো তরুণ বয়সে আপনি কাদের অনুভব করেছেন?
“আমার তেমন কেউ পরিচিত ছিল না। শঙ্খ ঘোষকে ভালো লাগত। শক্তিকেও। তবে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না। কবিতা পড়ে কবিতা লেখার দিকে আমি আসিনি। জীবনে কোনো ঘটনা ঘটলে তা থেকে কবিতা আসে।”
কোনো পূর্ববর্তী কবির কোনো প্রভাব কি আপনার উপর ছিল?
“দেখো আমি আনন্দবাজারে চাকরি করতাম। এখন যদি প্রশ্ন করো কত বেতন পেতাম তবে তা কী আর সমীচীন প্রশ্ন হবে? কাউকে যেমন প্রশ্ন করা যায় না আপনার বেতন কত, তেমনি কোনো কবিকে প্রশ্ন করা উচিত নয় তার উপর কার প্রভাব আছে। পাঠকই বলবে কাদের আমি অনুসরণ করেছ।”
আপনার প্রিয় কবি কারা?
“রবীন্দ্রনাথ, শঙ্খ ঘোষ।”
তার কবিতা সম্পর্কিত প্রায় প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। তবে কেন, অজানা। এ-জাতীয় প্রশ্নের উত্তর অতি সংক্ষেপে দিচ্ছিলেন।
সন্দীপনের গদ্য আপনার পছন্দ। আপনার গদ্যে তার কোনো প্রভাব…
“আপনারা আবার আমার বেতন জানতে চাওয়ার মতো অসমীচীন প্রশ্ন করছেন। এমন প্রশ্ন লেখককে করা উচিত নয়।”
ছন্দ বিষয়ে কিছু বলবেন?
“এ বিষয়ে মোটামোটা বই আছে। অনেকেই লিখছে, আজকালকার কবিতার ছন্দ কেমন হওয়া উচিত বা কবিতা কেমন লেখা উচিত। আমি দু-একটি পড়েছি। তবে এগুলো কবির কোনো উপকারে আসে না। কে কীভাবে লিখবে তা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ কাউকে বলে দিতে পারে না কবিতা কেমন হবে। তেমনি কবিতা ছন্দে লেখা উচিত কী অনুচিত আমি তা বলার কেউ নই। আমি যখন লিখি তখন আমি জানি না প্রথম লাইনের পর দ্বিতীয় লাইন কেমন হবে। ৫৫ লাইন লেখার পরও জানি না কবিতাটা হয়তো ২০০ লাইনের দীর্ঘ কবিতায় শেষ হবে। লাইনগুলো আসতে থাকে। আমি যখন লিখি তখন লেখা ছন্দোবদ্ধভাবে আসে। লিখে ফেলি। কীভাবে লিখি তা আমার জানা নেই।”
গদ্যছন্দে আপনার কাজ কম। আপনার প্রথম খণ্ডের অসংকলিত কবিতাংশে ‘দেবী’, ‘পুরুষ’, ‘কুষ্ঠ’ কবিতাগুলো গদ্যের ঢঙে লেখা। এমন কাজ আপনার কম।
“একজন কবির কবিতা সম্বন্ধে বলতে গেলে তার সমস্ত কবিতা পড়তে হবে। তারপর কথা বলতে হবে। আমি যখন কোনো কবির কবিতা পড়ি তখন আমি প্রকাশকালক্রমে বই ধরে ধরে পড়ি। আমার মোট ২৪টি বই প্রকাশিত। সমস্ত হয়তো পড়োনি। পরে আরও ৬টি বই আছে যা সমগ্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর তোমরা যে কবিতাগুলোর কথা বলছো তা গদ্যাকারে সাজানো। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবে ওগুলো অক্ষরবৃত্তে সাজানো। কেন বিশেষভাবে গদ্যে কাজ করিনি, তার উত্তর আমার অজানা। কাউকে খুঁজে পেতে হলে তাকে অনুসরণ করতে হয়। একটা লাইন লেখার পর পরের লাইনটা কী হবে তা আমার জানা থাকে না। দেখা যায় অপসৃয়তার খেলা চলে। কবি কিছু জানে না তার লেখা সম্বন্ধে। লাইন আসে আর হারিয়ে যায়। একবার পড়েছিলাম, ‘আমার মাথায় কবিতার প্লট এসে গেছে।’ পড়ে হেসেছিলাম । কিন্তু প্লট এলে সমস্যা কী। নানাজন নানাভাবে ভাবে, নানাভাবে লেখে। এতে দোষের কিছু নেই। এর মানে এই নয় যে ওভাবে কবিতা লেখা সম্ভব নয। আমি কোনো প্লট চিন্তা করে লিখি না। ধরো দুজন লোকের একই রোগ। ডাক্তার একই ওষুধ দিলো। একজনের সারে আর একজনের সারে না। কারণ দুজনের দেহের কাঠামো এক নয়। তেমনি একজন যা ভাবে আরেকজন তা না-ও ভাবতে পারে। আর একজনকে যে আরেকজনের মতো ভাবতেই হবে, এমন ভাবলে সমস্যা আছে। যে যার মতো। আমি জানি না আমি কী লিখব। আমি পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া লিখতে থাকি। বাসে বসে আছি, কেউ কথা বলছে, শব্দ হচ্ছে, টিকিটচেকার টিকিট চাইছে এরই মাঝে হয়তো চার লাইন কবিতা এসে গেল। বাস থেকে নামলাম, কবিতাটা হারিয়ে গেল। বাসায় ফিরলাম, বাথরুমের ট্যাপ ছাড়লাম, পানি পড়ার শব্দে আবার কবিতা চলে এল। লিখতে বসলাম টেবিলে, দু’তিন লাইন লিখেছি, চার নম্বর লাইন লিখছি … দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ, দরজা খুললাম, কেউ হয়তো আমার স্ত্রীকে খুঁজছে, বললাম বাড়ি নেই, সন্ধ্যায় আসুন, টেবিলে ফিরে এলাম; কিন্তু সেই চতুর্থ লাইনটা হারিয়ে গেছে। ওখানে অন্য একটা লাইন এসে ভর করেছে। এভাবেই লেখা চলতে থাকে।”
ওহি নাজিল হওয়ার মতো কি কবিতা আসে আপনার কাছে?
“ঠিক তেমনও নয়।”
নানা গল্পের মাঝে এক-সময় কথা ওঠে সাহিত্যের নানা তত্ত্ব নিয়ে —
“তত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা আছে। মানুষ নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য তত্ত্ব তৈরি করে। সে তত্ত্বের একেকটা পাথরের আড়ালে লুকায়, তারপর হয়তো অন্য একটা পাথরের আড়ালে। তত্ত্বের পাথর দিয়ে সেগুলি ঠেকায়। আর তা না হলে তো সে আর বেঁচে থাকতে পারত না। কিন্তু কবিতার জন্য তত্ত্বের দরকার নেই। আমার এমনই মনে হয়।”
আপনার মায়ের কথা বলুন।
“মা আমায় আপন মনে থাকতে দিয়েছিলেন। তিনি তাত্ত্বিক ছিলেন না। তাত্ত্বিকরা পৃথিবীকে আপন মনে থাকতে দেয় না।”
‘…কই কবি ? কবি সে কোথায় ? / যে ধরে সহস্রধারা মন? / যে ধরে সমস্ত ছন্দ? ধরে / কনিষ্ঠায় গিরিগোবর্ধন?’ কিন্তু একজন কবির পক্ষে কনিষ্ঠায় গিরিগোবর্ধনের মতো একটা পর্বত তুলে ধরা সম্ভব? আপনি কি কবিকে অসম্ভব সম্ভব করার কথা বলছেন?
“ছন্দ বলতে শুধু স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত নয়। জীবনের ছন্দ একজন কবিকে বুঝতে হয়। কৃষ্ণ গিরিগোবর্ধন কনিষ্ঠা আঙুলে শূন্যে তুলেছেন।”
তবে কি আপনি কবিকে ঈশ্বরের সাথে মিলিয়ে ফেলছেন?
“না, কবি ঠিক ঈশ্বরও নয়।”
এইটা, আড্ডাটা, আগে একবার ‘লাল জীপের ডায়েরী’ সাইটে ছাপা হয়েছিল। ওখানে এর শীর্ষে যে-কথাগুলো যুক্ত ছিল তা — “না, কবি ঠিক ঈশ্বরও নয়” / জয় গোস্বামীর সাথে আড্ডা / গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মৃদুল মাহবুব ও আপন মাহমুদ — গানপারে ছাপানোর সময় একটু বদলে নেয়া গেল নামকরণের দিক থেকে। এবং খুঁটিনাটি প্রুফ খুঁটে খুঁটে দেখে প্যারাস্পেস যথাস্থানে অ্যালোকেইট করে এই রূপ পরিগ্রহ করল গানপারে। নেসেসারি কন্সেন্ট নিয়া গানপারে আর্কাইভড হলো কথাবস্তুটা। আরেকটা তথ্য এ-ই যে, পূর্বপ্রকাশে যে-তথ্যটা অ্যাড করা ছিল গোড়াতেই তা হচ্ছে এই বাক্যটা — আড্ডাটি এইখানে লিখিত হয়েছে কবি মৃদুল মাহবুবের জবানিতে । এইটা লালজীপে ছাপা হয় ২০১২ জুনে, এবং অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের একদম শুরুতে সেই বছরেই কবি আপন মাহমুদ ইন্তিকাল করেন। কবি মৃদুল মাহবুব গানপারে এই ছাপার ব্যাপার ওয়াকিফহাল এবং অনাপত্তিপত্র পাঠিয়েছেন আবেদনের প্রেক্ষিতে কালবিলম্ব না করে। থ্যাঙ্কস্ জানায় গানপার সেইজন্যে। — গানপার
… …
- শিরোনাম রাষ্ট্রসংস্কার - September 6, 2024
- হাসিনাপতন : পাঠোত্তর প্রতিক্রিয়া ও তাৎক্ষণিক সংযোজন || মোস্তাফিজুর রহমান জাভেদ - September 4, 2024
- শিক্ষকের পদ || পূজা শর্মা - August 27, 2024
COMMENTS