কেইটের কথাবাত্রা (৩) 

কেইটের কথাবাত্রা (৩) 

বয়স আপনার যা-ই হোক, জোয়ান হোন বা বুড়া ব্যাপার না, আপনি জীবনে ব্যর্থ অথবা সফল তা-ও গণ্য নয়, মাকে আপনার জীবনের প্রত্যেকটা পদে পদে দরকার হবে, মায়ের অভাব আপনি ফিল করবেন সবসময়।

জীবন যদি নিজের মতো যাপন করাটাকে কেউ পাগলামি বলে, তাইলে আমি খালি পাগল নয়, একদম উন্মাদ হয়ে যেতেও রাজি আছি।

এমন কাজ আমি করতে রাজি হই না যেই কাজ করতে যেয়ে আমার সাহসের গুড়গুড় আওয়াজ আমি নিজেই শুনতে পাই না বা আমার হৃদয় ফেটে পড়তে উদ্যত হয় না উত্তেজনায়।

আমার কোনো অনুতাপের বোধ নাই। কিচ্ছুটি নিয়াই রিগ্রেট করি না আমি। রিগ্রেট করা মানেই হচ্ছে পেছনের দিকে হাঁটা। আমি সামনের দিকে আগানোয় বিশ্বাস করি।

বাচ্চাকাচ্চারা আপনার দুনিয়াটারে একটা পার্সপেক্টিভে এনে থিতু করে আপনারে। এই পার্সপেক্টিভের বাইরেকার সবকিছুই দৃশ্যত গৌণ হয়ে যায় আপনার কাছে বাচ্চাকাচ্চা আসার পরে।

নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া আর ভেসে ভেসে এঞ্জয় করার মুহূর্ত অবশ্যই আছে জীবনে, এইটা দরকারিও, তবে আমি সবসময় তক্কে তক্কে থাকি কখন বাড়ি ফিরব আর ফিরেই আমার জুতা সাফ করে তাকিয়ায় গুছিয়ে রাখব।

আল্লার দোহাই নিজেরে এত গুরুত্বপূর্ণ মনে কইরেন না। আপনি বড়জোর নিজের জীবনে নিজের বলয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ নারী এবং এরচেয়ে বেশি কিছু না।

আমি মনে করি আমাদের চারপাশের তরুণীদের এইটা জানা দরকার যে ম্যাগাজিনপ্রচ্ছদের ছবিগুলো সমস্তই রিটাচড। প্রচ্ছদে যেমন দেখায় তেমন চেহারা মানুষের হয় না বাস্তবে।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

পড়ুন: 

কেইটের কথাবাত্রা (৪)

গানপার

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you